ফরাক্কা, 4 ডিসেম্বর: ফরাক্কা 34 নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গড়িয়ে রেললাইনে নেমে এল পণ্যবাহী লরি। সেই সময় ওই লাইনেই চলে আসে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। ট্রেনের চালক লাইনের উপর লরি দেখে এমারজেন্সি ব্রেক কষায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেল রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। তবে এমারজেন্সি ব্রেক কষায় রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যায়। রবিবার রাতে দেড়টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুরের ব্রিজের নীচে রেললাইনে উপর একটি বালি বোঝাই লরি চলে আসে। তাতেই বিপত্ত! রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ছেড়ে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের সমস্ত যাত্রীই নিরাপদে রয়েছেন। লরির চালক ও খালাসি গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে নেমে যাওয়ায় নিরপদেই রয়েছে। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও নিউ ফরাক্কা জিআরপি থানার পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলের আধিকারিকরাও। লাইন থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিন সরানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, আজ সকালে আরও একটি ইঞ্জিন আনা হচ্ছে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেসকে গন্তব্যস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। ফরাক্কার বল্লালপুরে আচমকা রেললাইনের উপর চলে আসে একটি লরি। তাই দেখে দ্রুত এমারজেন্সি ব্রেক কষেন রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের চালক। এমারজেন্সি ব্রেক ধরায় আগুন ধরে যায় রেলের ইঞ্জিনে। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। লরির চালক ঘুমিয়ে যাওয়ায় বা গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়ায় গাড়িটি জাতীয় সড়ক থেকে গড়িয়ে রেল ট্র্যাকে চলে আসে বলেই প্রাথমিক অনুমান রেল আধিকারিকদের ৷ তবে লরির চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। লরিটি লাইন থেকে সরিয়ে রেলট্র্যাক ফাঁকা করার কাজ চলছে। ওই ট্রেনের যাত্রী অভিজিৎ মোদক বলেন, "চালকের তৎপরতায় বহু যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। কোনও যাত্রীরই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।"
আরও পড়ুন: