বহরমপুর, 25 অক্টোবর : জেলা সভাপতিকে নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সামশেরগঞ্জে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল উস্কে দিলেন নবনির্বাচিত দলীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলাম । রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম ৷ তিনি বলেন, ‘‘একমাস আগে সামশেরগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনে শিল্পপতি তথা জেলা সভাপতি ও সর্বোপরি জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের আপ্ত সহায়ক-সহ তাঁদের নুর পরিবার এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সকলেই কংগ্রেসের হয়ে ভোট করেছে ।’’
এদিনই খলিলুর রহমানের ডাকা বিজয়া সম্মিলনীতে অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে বিধায়ক জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী ডাকা হয়েছিল নুর পরিবারের নিজস্ব জায়গায় । তাই সেখানে তিনি হাজির না থাকার সিদ্ধান্ত নেন ৷
যদিও বেশ কিছু বিধায়কের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান জানান, সকল বিধায়ককে ডাকা হয়েছিল । অনেকে অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি । কয়েকজন আবার চিকিৎসা করাতে বাইরে গিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Adhir Ranjan Chowdhury : সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীকে ভয় দেখানো হচ্ছে, অভিযোগ অধীরের
দলীয় বিধায়ক ও জেলা সভাপতির এই দুরকম মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ৷
তখন থেকেই খলিলুর রহমানের সঙ্গে আমিরুল ইসলামের দূরত্ব বাড়ে । পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে এসে ঠেকে । শপথ গ্রহণের পর রবিবার দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম । বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এই বার্তা আগেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে । রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই পরিস্থিতিতে খলিলুর রহমানের পক্ষে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ ।
আরও পড়ুন : WB Election : জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জেও বিপুল জয় তৃণমূলের