বহরমপুর (মুর্শিদাবাদ), 4 জানুয়ারি: মৌমাছি প্রতিপালন করে লাভের মুখ দেখছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ৷ সরকারের তরফে এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ৷ সেই প্রশিক্ষণের পর মৌ-পালনে লাভবান হচ্ছেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মৌ-পালনে বিশেষজ্ঞ মহিলারা (Self-Help Groups Women get Benefit from Beekeeping in ATMA Project) ৷ আর এই উদ্যোগের মূলে হরিহরপাড়া ব্লকের কৃষি অধিকর্তা মৌমিতা দাস ৷
মৌমাছি পালনে এগিয়ে আসছেন স্বয়ংম্ভর গোষ্ঠীর মহিলা ৷ সরকারি স্তরে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়েই তাঁর মধু সংগ্রহ করছেন ৷ আর এই মৌমাছি পালন করে লাভের মুখ দেখছেন হরিহরপাড়ার মহিলা মৌপালকরা ৷ মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তার উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ মূলত এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি বা এটিএমএ বা আত্ম প্রকল্পের অধীনে বারুইপাড়ার একটি কৃষি উৎপাদন সংস্থা মৌমাছি প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ দেয় ৷
প্রশিক্ষণের পর কৃষি দফতর থেকে মৌমাছি পালনের ও মধু সংগ্রহের যাবতীয় সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে ৷ তাই সরষে ফুলের মরসুমেও মৌমাছি পালন করে ভালো মধু সংগ্রহ করছেন হরিহরপাড়ার বারুইপাড়ার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ৷ ভেজালহীন খাঁটি ওই মধুর চাহিদাও রয়েছে বাজারে ৷ ফলে ভবিষ্যতে মৌমাছি প্রতিপালনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করা ও তা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তাঁরা ৷
মৌমাছি পালনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে ৷ ঠিক মতো প্রশিক্ষণ না থাকলে, মৌমাছির হুলে আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ৷ এমনকি ঝাঁকে হামলা করলে মৃত্যুও হতে পারে ৷ তাই এতদিন জঙ্গলে মধু সংগ্রহের কাজে মূলত পুরুষেরাই যেতেন ৷ তবে, জঙ্গলে না গিয়ে কৃত্রিমভাবে, সরকারি সহায়তায় নির্দিষ্ট জায়গায় মৌমাছি প্রতিপালন করে মধু সংগ্রহ অনেক বেশি সুবিধার ৷ এমনকি এতে লাভও অনেক বেশি ৷ বছরের বারো মাস মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করার উপায় থাকছে ৷ সেই আশায় এবার মৌমাছি প্রতিপালনে আগ্রহ দেখাচ্ছে গ্রাম বাংলার মহিলারা ৷
আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মীদের সাহায্যে কাশফুলের পণ্য তৈরির উদ্যোগ সাঁকরাইলে ব্লক প্রশাসনের
এই সময়ে মূলত সরষে চাষ হয় ৷ সরষে ফুলে ভরে থাকে ক্ষেত ৷ সেই ফুলেই শীতের এই মরশুমে হরিহরপাড়া ব্লকের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা মৌমাছি প্রতিপালন করে লাভবান হয়েছে ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, সরষে ফুলের থেকে মৌমাছিদের সংগ্রহ মধুর গুণগত মান অনেক ভালো ৷ আর এর দামও ভালো পাওয়া যায় গুণগত মানের কারণে ৷ এমনকি প্রথমদিনেই 25 কেজি মধু সংগ্রহ করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ৷