ফরাক্কা, 8 অগাস্ট : হরেকরকম হেয়ারস্টাইল ! কারোর চুল স্পাইক করা ৷ কারও চুল বিভিন্ন রঙে রাঙানো ৷ কেউ বা আবার চুলের ছাঁট দিয়েছে কোহলি স্টাইলে ৷ আর এতেই নাকি স্কুলের পঠন পাঠনে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছে নিউ ফরাক্কা হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ৷ তাই এবার পড়ুয়াদের যথেচ্ছ হেয়ার স্টাইলে রাশ টানতে রীতিমতো নাপিত থেকে পুলিশ ডেকে সেমিনারের আয়োজন করা হল আজ ৷
স্কুল শিক্ষকদের বক্তব্য, ক্লাস ফাইভ থেকে টেন পর্যন্ত ছাত্রদের মধ্যে হেয়ার স্টাইল নিয়ে চলছে রীতিমতো প্রতিযোগিতা । হেয়ার কাটিংয়ের সঙ্গে রয়েছে চুলে রং করাও । আর এর প্রভাব পড়াশোনাতেও পড়ছে বলে মনে করছেন প্রধান শিক্ষক মণিরুল ইসলাম । তাঁর মতে, এতে নষ্ট হচ্ছে স্কুলের পরিবেশও । তাই এবার পড়ুয়াদের শৃঙ্খলাপরায়ণ করতে সরাসরি চুলের উপর নজর দিতে চাইছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ সেই কারণে আয়োজন করা হয়েছিল সেমিনারের ৷
সেমিনারের ট্যাগ লাইন ছিল 'আসুন আমরা সমাজ গড়ি, বিকৃত সংস্কৃতি পরিহার করি ' । কে না উপস্থিত ছিলেন সেখানে ? IC, BDO, শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিক, এলাকার নাপিত বাদ যাননি কেউই । সকলেই স্কুল কর্তৃপক্ষের এই অভিনব উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন ৷ পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন । এতে অবশ্য এলাকার নাপিতদের উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে ৷ কিন্তু তাতে তাঁরা পিছু হঠতে রাজি নন ৷ স্কুলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরাও ৷
ফরাক্কা ব্লক নাপিত সংস্থার সম্পাদক সন্তোষ টাকুর বলেন, "অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে । আমরা ছাত্রদেরও বোঝানোর চেষ্টা করব৷ আমরা বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি ৷ " বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মণিরুল ইসলাম বলেন, পড়ুয়াদের আরও সুশৃঙ্খল করতেই এই উদ্যোগ । চাই স্কুলে সঠিক নিয়ম বজায় থাকুক ৷"
এবার থেকে তাই নিজের ইচ্ছামতো চুল কাটতে মানা !