রানিনগর, 8 সেপ্টেম্বর: অগ্নিগর্ভ রানিনগর। থানায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুস্কৃতীরা । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কার্যালয়ে । পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। তান্ডবের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের দিকে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরের ঘটনা ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রানিনগরে গোধনপাড়া মাঠে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জনসভা ছিল । সেই সভায় কংগ্রেস সমর্থকদের আসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এরপর সভা শেষ হতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা । তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও থানাতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা । অশান্তির খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ ৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সময় থেকেই রানিনগর জ্বলছিল । বাম-কংগ্রেস জোটের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত নুইয়েপড়েছিল এই এলাকায় । পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডোমকল মহকুমায় বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে বাম কংগ্রেস জোট । তারপর থেকেই রাজনৈতিকভাবে রানিনগরে আগুন ধিক ধিক আগুন জ্বলছিল । যা নিয়ে আজ কংগ্রেসের জনসভাত কার্যত হুংকার দেয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । যা আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় ৷
এদিনের সভা শেষে হামলা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয় । কংগ্রেস কর্মীরা থানায় গিয়েছিল । সেখানে যারা জড়ো হয়েছিল, পুলিশের হাতে মার খেয়েছে । পুলিশের অনুসন্ধান করে দেখা দরকার কেনও তারা উত্তেজিত হল। কেনই বা থানায় হামলা চালালো । আমি বলছি না কংগ্রেস কর্মীরা যা করেছে ঠিক করেছে । তবে পুলিশের উচিত ঘটনার কারণ খুঁজে দেখা । কেউ ইন্ধন জুগিয়েছে কি না তাও জানা দরকার ৷"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল দুই সার্কাস দলের জোকার, কটাক্ষ অধীরের