বহরমপুর, 23 ফেব্রুয়ারি: পরীক্ষা চলাকালীন কোনও না-কোনও কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পরীক্ষার্থী। সে কারণে মেডিক্যাল টিম মোতায়ন করা হয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। আজ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ৷ সে মতো এদিন পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা পর মুর্শিদাবাদের বহড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠে জজান তেনারাম নামের এক হাইস্কুলের ছাত্রী সোমাতুন খাতুন হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে (On First Day of Madhyamik Three Examinees are Ill)। কক্ষে থাকা পরীক্ষককে জানালে তিনি প্রধান শিক্ষককে জানান। তখন পরীক্ষার খাতা-সহ তাকে মেডিক্যাল টিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চেক-আপ করে ওষুধ দেওয়া হয় ৷
এরপর টিচার্স রুমে প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে সোমাতুন খাতুনকে পরীক্ষার খাতা দেওয়া হয়। বহড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রলয় সূত্রধর জানান, ছাত্রীটি অসুস্থ বোধ করলে তাকে মেডিক্যাল টিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওষুধ দেওয়ায় সুস্থ বোধ করার পর টিচার্স রুমে বসে থাকে সে। তার অভিভাবককে জানানো হয়েছে। পরীক্ষার সময় শেষ হলে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। যদিও অসুস্থতার কারণে প্রথম দেড় ঘণ্টার পর সোমাতুন আর সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা।
পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ফলে পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের বেডে বসেই তাদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ৷ জানা যায়, পরীক্ষার্থী সারমিনা খাতুন ধুলিয়ানের হাউসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ৷ তার পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে লালমাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সকালে সে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ভরতি হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: চোখের সামনে হাতি ছেলেকে তুলে আছাড় মারল, আক্ষেপ বিষ্ণু দাসের
অপরদিকে রুনা খাতুন 177 হরিপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (কামিল) ছাত্রী, তার পরীক্ষার কেন্দ্র ভবানীপুর বারকাতিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। গতকাল রাত্রে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। যে কারণে রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তারা উভয়েই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহম্মদ মিস্তাফিজুর রহমান জানান, এমন অবস্থাতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎপরতায় হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে দুই পরীক্ষার্থীর। তারা উভয়েই জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহম্মদ মিস্তাফিজুর রহমান জানান, এমন অবস্থাতে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎপরতায় হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে দুই পরীক্ষার্থীর।