ETV Bharat / state

WBCS 2020 Result: বিড়ি বেঁধে জীবন শুরু, কঠোর অনুশীলনে বিসিএসে বাজিমাৎ

author img

By

Published : Feb 3, 2023, 9:13 PM IST

পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না ৷ ছোটবেলায় পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে বিড়ি বাঁধা ৷ বিডিওর চেয়ারে বসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা নবীরুলের (WBCS Main Result 2020)৷

ETV Bharat
নবীরুল ইসলাম

বিড়ি বেঁধে জীবন শুরু করে বিসিএসে 15 ব়্যাঙ্ক করলেন সুতির নবীরুল

সুতি (মুর্শিদাবাদ), 3 ফেব্রুয়ারি: ছোটবেলায় আর্থিক স্বচ্ছলতা ভালো ছিল না ৷ পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে বসে যেতেন বিড়ি বাঁধতে ৷ সেই ছেলেই এবার বসতে চলেছেন বিডিওর চেয়ারে ৷ বৃহস্পতিবার 2020 সালের ডব্লিউবিসিএস (WBCS Exam 2020) পরীক্ষার সম্পূর্ণ ফলাফল বেরোতেই দেখা যায় জেনারেল ক্যাটাগরিতে 15 ব়্যাঙ্ক করেছেন সুতি থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে নবীরুল ইসলাম । ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি ৷ যার বাবা-মা দুজনেই বিড়ি শ্রমিক ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় 2020 সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিসের মেন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় এলাকাজুড়ে (Nabirul Islam Rank 15th in WBCS 2020)৷ নবীরুলের কথায়, "জীবনের বড় কিছুকে টার্গেট হিসাবে দেখলেই সাফল্য আসবে । সেখানে কঠোর পরিশ্রমকে সেভাবে দেখা উচিত নয় । রেজাল্ট জানার মুহূর্তে ট্রেনে ছিলাম ৷ তাই এই আনন্দের অনুভূতি কারোর সঙ্গেই ভাগ করে নিতে পারিনি ৷ এরপর রাতে বাড়ি ফিরতেই সকাল থেকে শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে হাজির হন বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা ।"

আরও পড়ুন: WBCS এগজ়িকিউটিভ 2020 পরীক্ষায় বসল 80 শতাংশ পরীক্ষার্থী

সুতি ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ইরফান আলি ও ফিরোজা বিবির চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে নবীরুল দ্বিতীয় ৷ প্রথম থেকেই অভাবের সংসার ছিল ৷ তবে নবীরুলও ছোট থেকে তা বুঝেছিলেন ৷ সময়মতো পড়াশোনা করে বাড়িতে মাকে বিড়ি বাঁধার কাজে সাহায্য করতেন ৷ 2005 সালে অরঙ্গাবাদ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও 2007 সালে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন নবীরুল ৷ এরপর 2013 সালে বি.টেক সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে যোগদান করেন । পরবর্তীতে ধূলিয়ান পৌরসভা এবং 2019 সালে সুতির কৃষি বিভাগে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক (কেপিএস) পদে জয়েন করেন । চাকরির পাশাপাশি চলত পড়াশোনা ৷ এরপর 2020 সালে পরীক্ষায় বসেন ৷ প্রিলি পাস করার পর মেন পরীক্ষা হয় 2021 সালে ৷ তাতেই কার্যত বাজিমাৎ করলেন মুর্শিদাবাদের নবীরুল । এখন ট্রেনিং সম্পন্ন করার পর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে যোগ দেবেন তিনি ।

ছেলের এহেন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মা ফিরোজা বিবি ৷ তাঁর কথায়, "ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল ৷ কোনওদিন একে পড়তে বসা বা স্কুলে যাওয়ার জন্য বলতে হয়নি ৷ আবার পড়াশোনার পাশাপাশি আমার সঙ্গে বিড়িও বাঁধত ৷ দিনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বিড়ি বেঁধে ফেলত ছোটবেলায় ৷ তখন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করত ৷ যার জন্য এই সাফল্য ৷"

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে WBCS ও UPSC-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিড়ি বেঁধে জীবন শুরু করে বিসিএসে 15 ব়্যাঙ্ক করলেন সুতির নবীরুল

সুতি (মুর্শিদাবাদ), 3 ফেব্রুয়ারি: ছোটবেলায় আর্থিক স্বচ্ছলতা ভালো ছিল না ৷ পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে বসে যেতেন বিড়ি বাঁধতে ৷ সেই ছেলেই এবার বসতে চলেছেন বিডিওর চেয়ারে ৷ বৃহস্পতিবার 2020 সালের ডব্লিউবিসিএস (WBCS Exam 2020) পরীক্ষার সম্পূর্ণ ফলাফল বেরোতেই দেখা যায় জেনারেল ক্যাটাগরিতে 15 ব়্যাঙ্ক করেছেন সুতি থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামের ছেলে নবীরুল ইসলাম । ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি ৷ যার বাবা-মা দুজনেই বিড়ি শ্রমিক ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় 2020 সালের রাজ্য সিভিল সার্ভিসের মেন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় এলাকাজুড়ে (Nabirul Islam Rank 15th in WBCS 2020)৷ নবীরুলের কথায়, "জীবনের বড় কিছুকে টার্গেট হিসাবে দেখলেই সাফল্য আসবে । সেখানে কঠোর পরিশ্রমকে সেভাবে দেখা উচিত নয় । রেজাল্ট জানার মুহূর্তে ট্রেনে ছিলাম ৷ তাই এই আনন্দের অনুভূতি কারোর সঙ্গেই ভাগ করে নিতে পারিনি ৷ এরপর রাতে বাড়ি ফিরতেই সকাল থেকে শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে হাজির হন বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা ।"

আরও পড়ুন: WBCS এগজ়িকিউটিভ 2020 পরীক্ষায় বসল 80 শতাংশ পরীক্ষার্থী

সুতি ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ইরফান আলি ও ফিরোজা বিবির চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে নবীরুল দ্বিতীয় ৷ প্রথম থেকেই অভাবের সংসার ছিল ৷ তবে নবীরুলও ছোট থেকে তা বুঝেছিলেন ৷ সময়মতো পড়াশোনা করে বাড়িতে মাকে বিড়ি বাঁধার কাজে সাহায্য করতেন ৷ 2005 সালে অরঙ্গাবাদ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও 2007 সালে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন নবীরুল ৷ এরপর 2013 সালে বি.টেক সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে যোগদান করেন । পরবর্তীতে ধূলিয়ান পৌরসভা এবং 2019 সালে সুতির কৃষি বিভাগে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক (কেপিএস) পদে জয়েন করেন । চাকরির পাশাপাশি চলত পড়াশোনা ৷ এরপর 2020 সালে পরীক্ষায় বসেন ৷ প্রিলি পাস করার পর মেন পরীক্ষা হয় 2021 সালে ৷ তাতেই কার্যত বাজিমাৎ করলেন মুর্শিদাবাদের নবীরুল । এখন ট্রেনিং সম্পন্ন করার পর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার পদে যোগ দেবেন তিনি ।

ছেলের এহেন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি মা ফিরোজা বিবি ৷ তাঁর কথায়, "ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল ৷ কোনওদিন একে পড়তে বসা বা স্কুলে যাওয়ার জন্য বলতে হয়নি ৷ আবার পড়াশোনার পাশাপাশি আমার সঙ্গে বিড়িও বাঁধত ৷ দিনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার বিড়ি বেঁধে ফেলত ছোটবেলায় ৷ তখন থেকেই কঠোর পরিশ্রম করত ৷ যার জন্য এই সাফল্য ৷"

আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে WBCS ও UPSC-র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.