কান্দি, 19 এপ্রিল: বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল, তবে তার আগেই খুন হল নাবালিকা । হবু স্বামীর ভাই তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার মা ৷
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার ভরতপুর থানার ভরতপুর বাগান পাড়ার বাসিন্দা 16 বছরের কিশোরীটি আলিয়া হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত । ভরতপুরের বাসিন্দা ওয়াদ আলির ছেলে প্রতীকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল । বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা । হবু স্বামীর ভাই সাবির নাবালিকার মাকে শাসানি দেন বলে অভিযোগ ৷ তিনি নাকি বলেন, যেদিন ওই মেয়েকে পাবেন সে দিনই জবাই করবেন ৷ এমনই অভিযোগ করেন মৃতার মা । তিনি এও জানান, মঙ্গলবার সাবির তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে সন্ধে 6টা নাগাদ ডেকে নিয়ে যান । তারপর থেকে মেয়ে নিখোঁজ ।
ভরতপুর থানায় মঙ্গলবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে মিসিং ডায়েরি করা হয় । এরপর বুধবার সকালে ভরতপুর বাগান পাড়ার মাঠে এক পুকুরের ধারে পাওয়া যায় নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । মৃতের ভাই জানায়, সে বাজারে কাজ করে । বাড়ি ফিরলে তার মা জানায় যে, তার দিদি বাড়ি নেই । খোঁজাখুঁজি শুরু করে তারা । তারপর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করে । তারপর রাতে নানা দিকে খুঁজতে বেরোয় তারা । সকালে দেখে বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে পুকুর পাড়ে পড়ে রয়েছে তার দিদি ।
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ৷ মৃতার মামা জানান, "ও বড় মেয়ে । কেউ ওকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে নতুবা ও সেখানে যাবে কেন !" তবে এই ঘটনায় কে জড়িয়ে রয়েছে সে বিষয়টি তাঁদের অজানা বলে জানান তিনি । অন্যদিকে, মৃতের মা সরাসরি অভিযোগ তুলছে হবু জামাইয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে । কারণ তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন সাবির । প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার ৷
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় বৃদ্ধা মা'কে ধর্ষণের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে