বহরমপুর, 2 ডিসেম্বর: আমাদের এখানে এখনও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) চালু হয়নি যে সুইচ টিপলেই কাজ হয়ে যাবে । দু’পক্ষের কথা শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় । শনিবার বহরমপুরে এসে একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।
শুক্রবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আমন্ত্রণে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদে আসেন । অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিচারপতি হাজারদুয়ারীও পরিদর্শন করেন । তাছাড়া ওই সংস্থার ক্যানসার ইউনিট-সহ একটি পাঠাগারের উদ্বোধন করেন । পরে বহরমপুর রবীন্দ্রসদন মুক্তমঞ্চ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ।
নানা অনুষ্ঠানের মাঝে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘বিচারপতিদের আলাদাভাবে দেখার কোনও প্রশ্ন ওঠে না । সবাই সকাল 9টা থেকে রাত 9টা পর্যন্ত কাজ করেন । দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় । তাতে সময় লাগে । আবার বিচারপ্রার্থীরাও অনেক সময় নিয়ে থাকেন । ফলে কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয় না ।’’ এরপরই তিনি রসিকতার সুরে বলেন, ‘‘আমাদের এখানে এখনও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স চালু হয়নি যে সুইচ টিপলেই কাজ হবে ।’’
উল্লেখ্য, এ দিন সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামেন । সেখানে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয় । তারপর তিনি সোজা সার্কিট হাউসে যান । সেখান মুর্শিদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় । কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হাজারদুয়ারি পরিদর্শনে যান বিচারপতি । প্যালেস মিউজিয়ামের ভেতর ঘুরে দেখেন ।
এরপরে সয়দাবাদের শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে এসে একটি ক্যানসার ইউনিটের উদ্বোধন করেন তিনি । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘‘এরকম কর্মকাণ্ড একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই করতে পারে ।’’ এরপর তিনি শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারের একটি পাঠাগারের উদ্বোধন করতে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে আসেন । রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠান শেষ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে কলকাতা ফিরে যান ।
আরও পড়ুন: