মুর্শিদাবাদ, 28 এপ্রিল: সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা বজায় রাখতে ও রাস্তাঘাটের পরিষেবা উন্নত করতে 28 মার্চ মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর থেকে 12 হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির বিষয়ে সূচনা করেছিলেন ৷ তারপর একমাস কেটে গিয়েছে ৷ নতুন রাস্তা তৈরি বা সংস্কার কতটা হয়েছে তা নিয়ে সন্দিহান মুর্শিদাবাদ বড়ঞা 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার মানুষজন ৷ এই পঞ্চায়েতের অধীনে হরিধ্বনি গুপিপুর গ্রামের মানুষজন এখন পাকা রাস্তা না-হওয়ায় চরম বিপাকে ৷ চারিদিকে জল মাঝে গ্রাম। আশপাশের গ্রামে ঢালাই রাস্তা হলেও কোনও উন্নয়ন নেই এই গ্রামে। বাসিন্দাদের একটাই অভিযোগ, ভোটের আগে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও ভোট মিটে গেলেই আর দেখা মেলে না কারোর ৷ পঞ্চায়েত প্রধানও আসেন না, অন্যান্য পঞ্চায়েতের সদস্য়রাও আর এমুখো হন না বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে ৷
বড়ঞা বিধানসভার বড়ঞা 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে ডাঙাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলি বলেন, "হরিধ্বনি গ্রামের উপর দিয়েই বড় রাস্তায় যাওয়া যায়। বর্ষা এসে গেলে রাস্তা দিয়ে চলা যায় না। গ্রামীণ রাস্তাগুলির অবস্থা খুব খারাপ। কাজের কাজ কিছুই হয়নি ৷" সান্ত্বনা প্রামাণিক ও শৈবা বাগদি অভিযোগ করে বলেন, "গ্রামের চারিদিকে জল ৷ সেই সঙ্গে বর্ষা পড়লেই প্লাবিত হয়ে পড়ে পুরো গ্রাম। বাড়ির বাইরে বেরোনো যায় না। ভোটের পর আর ফিরেও তাকায় না কেউ। রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়। এমনিতেই রাস্তা খারাপের জন্য বড় গাড়ি আসে না ৷ বর্ষার সময় জল ভরে যায়, ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যায় পড়তে হয় ৷ কোনওদিনই সংস্কার হয়নি এই রাস্তার।"
আরও পড়ুন: গ্রামে 1 কোটি ধোঁয়াবিহীন উনুন দেবে পরিবেশ দফতর, পাইলট প্রোজেক্ট শুরু 5 গ্রামে
আরও এক বাসিন্দা ভুবনেশ্বর বাগদি বলেন, "পঞ্চায়েত কোনও কাজ করে না ৷ জলকাদা মিশে এক হাঁটু হয়ে যায়। জন্ম থেকে এ গ্রামের বাসিন্দা কোনও দিন কেউই এই রাস্তা সংস্কার বা তৈরি করার দিকে ফিরে তাকায়নি।" অন্যদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
মাহে আলম ৷ তিনি বলেন, "বিরোধীরা শাসক দলের কাজের বিষয়ে বিরোধীতা করছেন। কাজ সব জায়গায় হয়েছে এবং চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে কাজ ৷ নতুন করে টেন্ডার করে রাস্তার কাজ চলছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কয়েক জায়গায় বাদ রয়েছে তবে সেই সব জায়গাতেও কাজ হবে ৷ 10 জনের মধ্যে 8 জন তৃণমূল, 2 জন অন্য দলের হবে। ফলে তারই উস্কানিতে ভুল প্রচার হচ্ছে।"