সামশেরগঞ্জ, 26 এপ্রিল: 30 ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হার মানলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী । মৃত্যুর আগে একান্তে করা ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ছড়াল চাঞ্চল্য । ওই ভিডিয়োতে অভিযোগ করা হয়েছে, স্ত্রী'কে প্রধান করার লোভ দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে । অভিযোগ, সেই টাকা নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান-সহ আরও দু'জন ৷ সোনা বন্ধক দিয়ে, জমি বিক্রি করে, ধার করে সেই টাকা দিয়েছেন বলে ভিডিয়োবার্তায় জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বিশ্বনাথ হালদার।
মূলত সামশেরগঞ্জের নিমতিতার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সামিউল হক এবং প্রধান মইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী । বিষ খাওয়ার আগে নিজের অভিযোগ ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন তিনি । নিজের বক্তব্যের বয়ান ভিডিয়ো করার সময় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বিশ্বনাথ হালদারকে । মঙ্গলবার দুপুরে নিজের বাড়িতে বিষ খান তিনি।
জানাজানি হতেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর মাহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মঙ্গলবার রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন নিমতিতা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সামিউল হক। সামিউল হক বলেন, "এই অভিযোগ মিথ্যা । মৃত্যুর জন্য আমি দু:খিত । বেঁচে থাকলে সত্য জানতে পারা যেত ।" পালটা বিশ্বনাথকেই আর্থিক সাহায্য করেছেন বলে দাবি করেছেন অঞ্চল সভাপতি ।
ঋণের বোঝা সহ্য করতে না-পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বিষ খেয়ে মাকে বিশ্বনাথ জানান, "আমি বিষ খেয়েছি । আর বাঁচব না ।" এরপরেই প্রকাশ্যে আসে বিশ্বনাথ হালদারের অভিযোগের ভিডিয়ো । অঞ্চল সভাপতি ছাড়া এই চক্রে রয়েছে আরও বেশ কয়েকজনের নাম । থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । যদিও মৃতের স্ত্রী মালা হালদার বলেন, "কী কারণে বিষ খেয়েছেন আমাদের জানা নেই ।"
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে ভয়েস রেকর্ড কার ? বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চায় সিবিআই