রঘুনাথগঞ্জ (মুর্শিদাবাদ), 10 নভেম্বর: বেগুনবোঝাই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হল 4 কুইন্টাল গাঁজা (Ganja Seized) ! এই ঘটনায় গাঁজা পাচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও (Two Men Arrested) করা হয়েছে ৷ বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ থানা (Raghunathganj Police Station) এলাকায় ৷
এই এলাকাটি জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অন্তর্ভুক্ত ৷ পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে গাঁজা উদ্ধারের পরই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া ওই গাঁজা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ যার বাজারদর কয়েক লক্ষ টাকা ৷ কিন্তু, কীভাবে মিলল এই সাফল্য ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকা দিয়ে যে গাঁজা পাচার করা হবে, সেই খবর গোপন সূত্রে আগেই পেয়েছিলেন তাঁরা ৷ তার প্রেক্ষিতেই শুরু হয় নাকাতল্লাশি ৷
আরও পড়ুন: গাঁজা পাচার করে জেলে স্বামী, পাচারে নেমে গ্রেফতার স্ত্রীও !
বুধবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার কুলোর মোড়ে পুলিশের একটি দল প্রত্যেকটি গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল ৷ সেই সময়েই বেগুনবোঝাই একটি গাড়ি তল্লাশির জন্য থামান পুলিশকর্মীরা ৷ গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তি পুলিশকে জানান, পাইকারি বাজারের জন্য বেগুন নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ৷ কিন্তু, পুলিশ এই যুক্তি মানেনি ৷ এরপর গাড়ির পণ্য রাখার জায়গা থেকে বেগুনের বস্তা সরাতেই দেখা যায়, থরে থরে সাজানো রয়েছে অনেকগুলি প্যাকেট ৷ সেই প্যাকেট খুলতেই ভিতরে ঠেসে রাখা গাঁজা বেরিয়ে পড়ে ৷
এরপরই ওই গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ আটক করা হয় পাচারে ব্যবহৃত চারচাকার ছোট পণ্যবাহী গাড়িটিও ৷ একইসঙ্গে, গাড়ির চালক-সহ দুই সওয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ দাস ও রাহুল আলি ৷ তাঁদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাঁজার এই 'কনসাইনমেন্ট'টি উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়ি থেকে আনা হচ্ছিল ৷ গন্তব্য ছিল নদিয়ার রানাঘাট ৷ ধৃতদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ৷ অন্যজনের বাড়ি দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় ৷ তবে, এই বিষয়ে এর থেকে বেশি তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি ৷
পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার সঙ্গে আন্তঃজেলা পাচারচক্রের যোগ রয়েছে ৷ তার জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করা দরকার ৷ বৃহস্পতিবার ধৃত দুই ব্যক্তিকে বহরমপুর আদালতে পেশ করা হবে ৷