শিলিগুড়ি, 1 ডিসেম্বর : প্রতিটি পরীক্ষার মতো গতকাল রাতের প্রস্তুতিতেও খামতি ছিল না । খামতি ছিল না টেনশনে । প্রশ্নপত্র, কেরিয়ার, শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন সবকিছু মাথায় নিয়ে গতকাল রাতেও ঘুমোতে যায় দিপীকা । কারণ, পরের দিনই অর্থাৎ আজ তাঁর B.Ed -এর পরীক্ষা । বাড়িতে এই রাতটাই যে শেষ তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি সে । সকালের শুরুটা যে জীবনের অন্তিম মুহূর্ত ডেকে আনবে তাও ভাবার বাইরেই ছিল তাঁর । দুর্ঘটনার পর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বান্ধবীদের কাছে তাঁর একটাই আপশোষ, ফাইনাল পরীক্ষাটা আর দেওয়া হল না ।
B.Ed-এর ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া হল না শিলিগুড়ির দিপীকার মোদকের । দেখা হল না বাবা-মা'র সঙ্গেও । কী প্রশ্ন আসবে, কেমনভাবে লিখব, কী কী লিখলে বেশি নম্বর পাবো, হয়তো এই সব ভাবনার মধ্যেই দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ । ফরাক্কায় বাসের সঙ্গে তেলের ট্যাঙ্কার সংঘর্ষে ঘটনাস্থানেই সব স্বপ্নের জলাঞ্জলি দিয়ে পরিবার ছেড়ে চলে গেলেন দিপীকা । পরীক্ষার হলের বদলে তাঁর ঠাঁই হল মর্গে । বেঁচে ফিরলেন তাঁর দুই বান্ধবী ।
শিলিগুড়ি পৌরনিগমের সুকান্ত নগরের বাসিন্দা দিপীকা । বাবা দিলীপ মোদক পেশায় ব্যবসায়ী । হৃদযন্ত্রে সমস্যার জন্য দিলীপবাবু স্ত্রীকে নিয়ে গেছেন বেঙ্গালুরুতে । ফিরবেন আজই । ফিরলেই জানানো হবে দিপীকার মৃত্যুর কথা । এবিষয়ে দিপীকার দিদা খুশি সরকার বলেন, "B.Ed পরীক্ষা দিতেই মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল । যদিও আজ সকালেই ওর বান্ধবী ফোন করে জানায় বাস দূর্ঘটনায় মারা গেছে । ও খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল । পড়াশুনায় খুবই আগ্রহ ছিল । কিন্তু এক পলকে সব শেষ হয়ে গেল ।"