রঘুনাথগঞ্জ ও কলকাতা , 14 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার বলি আরও 1। গত শনিবার ভোটের দিন হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী ৷ তাঁরই মৃত্যু হল শুক্রবার সকালে ৷ মৃতের নাম সইবুর রহমান (60)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বড়শিমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের চর বাজিতপুরে। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় রঘুনাথগঞ্জের চর বাজিতপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
জানা গিয়েছে, সইবুর কলকাতার নীলরতন সরকার (এনআরএস) হাসপাতালে ভরতি ছিলেন ৷ এদিন সকালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত শনিবার ভোটের দিন কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ । গত সোমবার সইবুর রহমানের এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনিও চিকিৎসাধীন ছিলেন । তাঁর নাম মইদুল শেখ। তিনিও তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই পরিবারের দুই ভাই হিংসার বলি হলেন । ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিক গোলমালের খবর মিলেছিল। সেদিনই হিংসায় প্রাণ হারান কংগ্রেস ও তৃণমূলের পাঁচজন। রাজনৈতিক সংঘর্ষে জখম হন প্রায় শতাধিক। গত সোমবার তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় । বৃহস্পতিবার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাগরদিঘির এক কংগ্রেস কর্মীর । এরপর শুক্রবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও একজনের ।
আরও পড়ুন: শুধু মুর্শিদাবাদেই হিংসার বলি 5; মোটের উপর নির্বিঘ্নেই ভোট, দাবি পুলিশসুপারের
এ দিকে বৃহস্পতিবার সুতি ও নবগ্রাম দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছে দু'জন । যদিও এই দুই মৃত্যুর পিছনে প্রত্যক্ষ রাজনীতির অভিযোগ এখনও স্পষ্ট নয় । সব মিলিয়ে এই নিয়ে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত ভোটের বলির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 10 জন । এখনও বেশ কয়েকজন আশংকাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন ।