ডোমকল, 23 সেপ্টেম্বর : মাদ্রাসার নামে রসিদ ছাপিয়ে জঙ্গি সংগঠনের জন্য টাকা জোগাড়ের কাজ চলত । সেই কাজ করত আল মামুন কামাল । গোয়েন্দা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে । তাকে সম্প্রতি আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় ।
স্বল্পভাষী মামুনকে সহজেই বিশ্বাস করতেন স্থানীয়রা । সে ধর্মের বই পড়ত । নিজের মতো থাকত । মাদ্রাসার নামে রসিদ ছাপিয়ে টাকা তুলত । সেই অর্থ সবই জঙ্গি সংগঠনে দেওয়া হত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ।
এই মাদ্রাসার মাথায় ছিল আল মামুন । সেখানে শিশুদের শিক্ষার নামে মগজ ধোলাই চলত বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর । সীমান্ত পেরিয়ে অনেকের আনাগোনা ছিল নদী তীরের চারদিক ঘেরা এই মাদ্রাসায় । বেশ কয়েকবার সেখানে গোপন বৈঠক হয়েছে বলেও তদন্তে উঠে এসেছে । আশ্চর্যের বিষয়, গ্রামবাসীদের অনেকেই সেই বৈঠকের কথা জানতেন । কিন্তু তাঁদের অনুমান মাদ্রাসার উন্নয়ন নিয়েই বৈঠক করত আল মামুন ।
ধৃত জঙ্গিদের চারদিনের NIA হেপাজত, আসরে নামছে ED
পেশায় রাজমিস্ত্রি । কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত মামুন । দু'বছর আগে এলাকায় ফিরে আসে । আর কেরালা যায়নি । পাটকাঠির ছাউনি দেওয়া একটা ছোট্ট ঘরে দুই সন্তান ও স্ত্রী'কে নিয়ে সংসার । আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মামুনের পরিবার । চেয়ে চিন্তেই সংসার চলত ।
ওই মাদ্রাসার নামে দশ লাখ টাকা তুলেছিল সে । এক টাকাও নিজের সংসারের জন্য ব্যয় করেনি । কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না । ধর্মীয় আলাপ আলোচনা করত । গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কার্যত অল্প বয়সিদের মগজ ধোলাই করে তাদের জ়িহাদি গড়ে তোলাই লক্ষ্য ছিল মামুনের । মাদ্রসার জন্য বাইরে থেকেও টাকা আসত বলে তদন্তে উঠে এসেছে ।
এদিকে সুতি, লালগোলা, বীরভূমের লোহাপুরে আরও তিনটি মাদ্রাসা গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর ।