মুর্শিদাবাদ, 1 এপ্রিল : তিন জায়গায় হানা দিয়ে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ দশ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করল। ঘটনায় এক বাংলাদেশি সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে দলের পান্ডাকে এখনও ধরা যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার।
গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ সাতঘরিয়া আমবাগান থেকে গ্রেপ্তার করে আনারুল শেখ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দাকে। তার কাছ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। আনারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ রতনপুরের বাসিন্দা ফটিক শেখকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হয় আরও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে গভীর রাতে হানা দিয়ে এক ভাড়া বাড়ি থেকে মোদাশ্বর আলি, রুহুল শেখ ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোদাশ্বর ও রুহুল মালদার বৈষ্ণবনগর থানার দেওয়ানপুরের বাসিন্দা। রবিউলের বাড়ি বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জে। ওই ভাড়া বাড়ি থেকে সাত লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। গত তিন মাস ওই ভাড়া বাড়ি থেকেই জাল নোটের কারবার চালাত তারা। রবিউল বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই ভারতে এসেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে জাল নোট পাচারের পান্ডাকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, "ধৃতদের একজন জাল নোটের কারবারে ওয়ান্টেড আসামি। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আদর্শ আচরণ বিধি নির্বাচন লাগু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।"
ধৃতদের দশ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।