ETV Bharat / state

Jakir Hossain: প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার 11 কোটি ! - Murshidabad

আয়কর দফতর তাঁর বাড়ি ও অন্য কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ তাতে মেলে প্রায় নগদ 11 কোটি টাকা (Income tax raid in Jakir Hossain House) ৷ তবে এই টাকা যে তাঁর তা স্বীকার করে নিয়েছেন জাকির হোসেন ৷

Jakir Hossain
আয়কর দফতরের হানা
author img

By

Published : Jan 12, 2023, 11:53 AM IST

Updated : Jan 12, 2023, 2:12 PM IST

আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযানে তাঁর বাড়ি থেকে 11 কোটি টাকা মিলেছে, কী বললেন জাকির হোসেন

জঙ্গিপুর, 12 জানুয়ারি: আবার টাকার পাহাড় ! এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে 11 কোটি টাকা উদ্ধার হল । আয়কর ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে জমানো ছিল থরে থরে নগদ টাকা ৷ বুধবার আয়কর দফতরের তিনটি দল জাকির হোসেনের বাড়ি, বিড়ি ফ্যাক্টরি, তেল মিল, রাইস মিলে হানা দেয় ৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চলে ৷ এরপর জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "আমি তদন্তে সাহায্য করেছি ৷ আমি জেলায় সর্বোচ্চ আয়করদাতা ৷ আর আজ সামনে এলো নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ৷" আয়কর দফতর সূত্রে খবর, প্রায় 11 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷ আর এই খবর চাউর হতে এদিন সকালে বিধায়কের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ (Income Tax raid in Jakir Hossain house, factories) ৷

বুধবার সকাল দশটা নাগাদ আয়কর দফতরের 10-12 জনের দল সামশেরগঞ্জে ঢোকে ৷ তাদের সঙ্গে ছিল বিএসএফ জওয়ান । সামশেরগঞ্জ ও সুতি ব্লকের একাধিক জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান ৷ তল্লাশির তালিকায় ছিল জাকির হোসেনের বাড়ি, ডিব বিড়ি ফ্যাক্টরি, তেল মিল ও রাইস মিল ৷ জাকির হোসেনের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ৷ সেই নথিপত্র থেকে আয়কর দফতরকে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ প্রায় 10 ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান ৷ রাত 8টা নাগাদ বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা ৷ এরপরে সংবাদমাধ্যমের সামনে জাকির হোসেন বলেন, "আমি তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি ৷"

আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়! স্ট্র্যান্ড রোডে উদ্ধার 43 লক্ষ টাকা, ধৃত 3

তিনি আরও বলেন, "তাঁরাও (আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা) সহযোগিতা করেছেন ৷" তিনি দাবি করেন, "আমাদের খাতায়-কলমে সব ঠিক আছে ৷ আমি ব্যবসায়ী ৷ আমি সবসময় কর দিয়ে ব্যবসা করি ৷ আমি জেলায় সর্বোচ্চ আয়কতদাতা ৷" কতজন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "আমি গুনিনি ৷ তবে 10-12 জন এসেছিলেন ৷ আর সব মিলিয়ে 20-25 জন ৷ তাঁরা সব জায়গায় গিয়েছিলেন ৷" এর মধ্যেও তিনি স্বীকার করে নেন, "ব্যবসা করলে উনিশ-বিশ হয়তো থাকতে পারে ৷ ব্যবসা করলে এরকম হয় ৷ কিন্তু আমি মনে করি, আমি সব আয়কর দিয়েছি ৷ তাতে কোনও ত্রুটি নেই ৷" আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা লিখে দিয়ে গিয়েছেন যে, জাকির হোসেন তদন্তে সহযোগিতা করেছেন । সে সময় একথাই জানিয়ে ছিলেন জাকির হোসেন ৷

তবে এই বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ায় তিনি কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রকাশ করেন ৷ জাকির হোসেন (Jakir Hossain faces labour problem after income tax raid) বলেন, "আমাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয় ৷ সব জায়গায় তা বন্ধ হয়ে যাবে ৷ সেই জন্য বাড়িতে এই টাকাটা ছিল ৷ তা দেখানো ছিল অর্থাৎ খাতায়-কলমে দেখানো ৷ ব্যাঙ্ক থেকে তোলা টাকা ৷" তিনি জানান, রাইস মিলে চাষিদের নগদ টাকা দিতে হয় ৷ এছাড়া বিড়িশ্রমিকদের নগদ টাকা দিতে হয়, তেলমিলেও নগদ টাকা দিতে হয় ৷ তিনি বলেন, "চাষবাসের ক্ষেত্রে এবং বিড়ি শ্রমিকরা সাধারণ পড়াশোনা জানেন না ৷ তাই তাঁদের পুরো টাকাটাই নগদে দিতে হয় ৷"

আরও পড়ুন: এবার খড়দা, অধ্যাপকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ 32 লক্ষ টাকা !

আয়কর দফতরের তল্লাশি অভিযানে তাঁর বাড়ি থেকে 11 কোটি টাকা মিলেছে, কী বললেন জাকির হোসেন

জঙ্গিপুর, 12 জানুয়ারি: আবার টাকার পাহাড় ! এবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি থেকে 11 কোটি টাকা উদ্ধার হল । আয়কর ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে জমানো ছিল থরে থরে নগদ টাকা ৷ বুধবার আয়কর দফতরের তিনটি দল জাকির হোসেনের বাড়ি, বিড়ি ফ্যাক্টরি, তেল মিল, রাইস মিলে হানা দেয় ৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চলে ৷ এরপর জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, "আমি তদন্তে সাহায্য করেছি ৷ আমি জেলায় সর্বোচ্চ আয়করদাতা ৷ আর আজ সামনে এলো নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ৷" আয়কর দফতর সূত্রে খবর, প্রায় 11 কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ৷ আর এই খবর চাউর হতে এদিন সকালে বিধায়কের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষ (Income Tax raid in Jakir Hossain house, factories) ৷

বুধবার সকাল দশটা নাগাদ আয়কর দফতরের 10-12 জনের দল সামশেরগঞ্জে ঢোকে ৷ তাদের সঙ্গে ছিল বিএসএফ জওয়ান । সামশেরগঞ্জ ও সুতি ব্লকের একাধিক জায়গায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান ৷ তল্লাশির তালিকায় ছিল জাকির হোসেনের বাড়ি, ডিব বিড়ি ফ্যাক্টরি, তেল মিল ও রাইস মিল ৷ জাকির হোসেনের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু নথি ৷ সেই নথিপত্র থেকে আয়কর দফতরকে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ প্রায় 10 ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান ৷ রাত 8টা নাগাদ বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা ৷ এরপরে সংবাদমাধ্যমের সামনে জাকির হোসেন বলেন, "আমি তদন্তে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি ৷"

আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের টাকার পাহাড়! স্ট্র্যান্ড রোডে উদ্ধার 43 লক্ষ টাকা, ধৃত 3

তিনি আরও বলেন, "তাঁরাও (আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা) সহযোগিতা করেছেন ৷" তিনি দাবি করেন, "আমাদের খাতায়-কলমে সব ঠিক আছে ৷ আমি ব্যবসায়ী ৷ আমি সবসময় কর দিয়ে ব্যবসা করি ৷ আমি জেলায় সর্বোচ্চ আয়কতদাতা ৷" কতজন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "আমি গুনিনি ৷ তবে 10-12 জন এসেছিলেন ৷ আর সব মিলিয়ে 20-25 জন ৷ তাঁরা সব জায়গায় গিয়েছিলেন ৷" এর মধ্যেও তিনি স্বীকার করে নেন, "ব্যবসা করলে উনিশ-বিশ হয়তো থাকতে পারে ৷ ব্যবসা করলে এরকম হয় ৷ কিন্তু আমি মনে করি, আমি সব আয়কর দিয়েছি ৷ তাতে কোনও ত্রুটি নেই ৷" আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা লিখে দিয়ে গিয়েছেন যে, জাকির হোসেন তদন্তে সহযোগিতা করেছেন । সে সময় একথাই জানিয়ে ছিলেন জাকির হোসেন ৷

তবে এই বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ায় তিনি কর্মীদের বেতন দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রকাশ করেন ৷ জাকির হোসেন (Jakir Hossain faces labour problem after income tax raid) বলেন, "আমাদের কর্মচারীদের বেতন দিতে হয় ৷ সব জায়গায় তা বন্ধ হয়ে যাবে ৷ সেই জন্য বাড়িতে এই টাকাটা ছিল ৷ তা দেখানো ছিল অর্থাৎ খাতায়-কলমে দেখানো ৷ ব্যাঙ্ক থেকে তোলা টাকা ৷" তিনি জানান, রাইস মিলে চাষিদের নগদ টাকা দিতে হয় ৷ এছাড়া বিড়িশ্রমিকদের নগদ টাকা দিতে হয়, তেলমিলেও নগদ টাকা দিতে হয় ৷ তিনি বলেন, "চাষবাসের ক্ষেত্রে এবং বিড়ি শ্রমিকরা সাধারণ পড়াশোনা জানেন না ৷ তাই তাঁদের পুরো টাকাটাই নগদে দিতে হয় ৷"

আরও পড়ুন: এবার খড়দা, অধ্যাপকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ 32 লক্ষ টাকা !

Last Updated : Jan 12, 2023, 2:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.