মালদা, 7 অগস্ট: বেকারত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অনলাইন প্রতারণায় ব্যবহার করছে চক্রের পাণ্ডারা । দেওঘর থেকে বসেই অপারেট হচ্ছে পুরো চক্র (Online Scams Using the Opportunity of Unemployment) । অনলাইন প্রতারণার তদন্তে জড়িত যুবকদের জেরা করে এমনই তথ্যের হদিশ পেল সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ।
গতবছর পিটিএস মোড়ের এক বাসিন্দা 5 লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ জানিয়েছিলেন সাইবার ক্রাইম থানায় । মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তকারী অফিসাররা দেওঘরের লিংক পান । অন্য একটি প্রতারণার ঘটনায় ধৃত দুই যুবককে রিমান্ডে মালদায় নিয়ে আসা হয় । জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের যুক্ত থাকার কথা উঠে আসে । যে চারজনের নাম প্রতারণা চক্রে উঠে আসে তারাও প্রতারণার অভিযোগে দেওঘর থানার পুলিশি হেফাজতে রয়েছে । তাদেরও রিমান্ডে মালদায় নিয়ে আসা হয় । পিটিএস মোড়ের বাসিন্দার প্রতারণার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট 6 জনের জড়িত থাকার সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা । তবে ধৃতদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া করতেই মিলল আরও তথ্য ।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেল প্রতারক
তদন্তকারী অফিসাররা লক্ষ্য করেন, এই ঘটনায় ধৃত সোমকুমার মণ্ডল, সাগির আনসারি, সামসের আনসারি, উমাকান্ত মণ্ডল, মোজাফ্ফর শেখ ও সামির আনসারি, সকলের বয়স 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে । এরা কেউই তেমন শিক্ষিত নয় । তবে কীভাবে এরা সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে? জিজ্ঞাসাবাদে অফিসাররা জানতে পারেন, ধৃতরা সকলেই দিনমজুর । লকডাউনে কাজ হারিয়ে তারা কাজের খোঁজ চালাতে থাকে। সেই সময় এই চক্রের পাণ্ডাদের সঙ্গে পরিচয় হয় ধৃতদের । ওই চক্রের পাণ্ডারা ধৃতদের টেলি কলারের প্রশিক্ষণ দেয় ।
ধৃতদের টেকনিক্যাল কোনও বিষয় দেখতে হত না । তাদের শুধু প্রথম পর্যায়ে ব্যবহার করা হত । প্রথম পর্যায়ে তারা ভুক্তভুগীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে সন্তুষ্ট করত । দ্বিতীয় পর্যায় থেকে শুরু টাকার খেলা । সেখান থেকে পুরো বিষয়টা মূল পাণ্ডাদের হাতে । তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, আড়ালে থেকে এই চক্র চালাচ্ছে কিছু মাস্টার মাইন্ড । সেই মাস্টার মাইন্ডদের ধরতে দেওঘর পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ ।