মালদা, 4 জুন: পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা দেখে সময় মতো ঠিক পরীক্ষাকেন্দ্রেই পৌঁছে ছিলেন বিশ্বজিৎ ঘোষ । কিন্তু সেই পরীক্ষাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থী হওয়া সত্বেও তাঁর পরীক্ষা দেওয়া হল না । শুধুমাত্র তিনি ছেলে বলে ৷ কারণ এই স্কুলটি বালিকা বিদ্যালয় ৷ তাই একমাত্র পুরুষ পরীক্ষার্থী হওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল না ৷ এর জন্য পুলিশ নিয়োগের বোর্ডকেই দায়ী করেছেন ওই পরীক্ষার্থী ।
রবিবার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল । জেলার অন্যান্য স্কুলের মতো পরীক্ষার সিট পড়েছিল মালদা শহরের বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও । সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পৌঁছে ছিলেন রতুয়ার বালুপুর এলাকার পরীক্ষার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ । অ্যাডমিট কার্ডে বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র লেখা রয়েছে তাঁর ৷ তবে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বিশ্বজিতের রোল নম্বর থাকলেও ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে । পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা বিশ্বজিৎকে জানান, এই পরীক্ষাকেন্দ্র শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য । বিশ্বজিৎকে তড়িঘড়ি বোর্ডে মেইল করার পরামর্শ দেন পুলিশকর্মীরা । তাও করেন তিনি । কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তাঁর ।
বিশ্বজিৎ বলেন, "কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের পরীক্ষা ছিল । আমার অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষাকেন্দ্র বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় লেখা ছিল । সেই মতো পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম । কিন্তু আমাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয়, এই পরীক্ষাকেন্দ্র শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য । তবে আমার অ্যাডমিট কার্ডে কেন এই পরীক্ষাকেন্দ্র লেখা ছিল? পুলিশকর্মীদের কথা মতো আমি বোর্ডে মেইলও পাঠিয়েছি । কিন্তু এখনও কোনো উত্তর আসেনি । বোর্ডের ভুলের জন্য আমার পরীক্ষা দেওয়া হল না ।”"
আরও পড়ুন: ফোর্থ সাবজেক্ট নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে পরীক্ষায় বসতে বাধা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে
ঘটনাপ্রসঙ্গে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি । তবে পুলিশকর্মীদের একাংশের মতে, হয়তো ওই পরীক্ষার্থী নিজেকে মেয়ে হিসেবে পরিচিতি দিয়ে ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন । সেই মতো ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্রও মেয়েদের স্কুলে পড়েছিল । তবে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে পুরুষদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি না থাকায় ওই যুবকের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি ।