মালদা, 28 ফেব্রুয়ারি : শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট চুরি, ছাপ্পা, অবাধ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা ৷ প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যে 12 ঘণ্টার বাংলা বনধেরও ডাক দিয়েছে বিজেপি ৷ এবার মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভায় খোদ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। নির্বাচনের দিন দেদার ছাপ্পার পরেও সংশ্লিষ্ট পৌরসভার তাবড় তৃণমূল নেতারা জিততে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। আর সেই কারণে কমিশনও আসরে নেমেছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের (Vote rigging allegation against state election commission at English Bazar municipality in Malda) ৷
ঘটনার স্বপক্ষে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি। একই পথে যেতে পারে বামেরাও। বিরোধীদের প্রশ্ন ইংরেজবাজার পৌরসভায় ভোটদানের হার নিয়ে। সেখানে সর্ষের মধ্যেই ভূত দেখছেন তারা। নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর কমিশনের তরফে ভোটদানের পরিসংখ্যান প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছিল। তাতে স্বাক্ষর ছিল রিটার্নিং অফিসারের। বিরোধীদের দাবি, বিকেল পাঁচটায় অবজারভারের স্বাক্ষরিত রিটার্নে ইংরেজবাজারে ভোটদানের হার ছিল 80.21 শতাংশ। তখনও ভোট দেওয়ার লাইনে ছিলেন বহু মানুষ ৷ তাদের ভোটদান সম্পন্ন হলে সামগ্রিক ভোটদানের হার আরও বাড়বে বৈ কমবে না ৷
কিন্তু ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর ফাইনাল টার্নআউটে দেখা যায় ইংরেজবাজার পৌরসভায় ভোটদানের হার 77.56 শতাংশ। এটা বাস্তবে কীভাবে সম্ভবপর ? বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের জয় নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণের পর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোট চুরি করেছে কমিশন। এ ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : কাঁথির পৌরভোট বাতিলের দাবিতে বিজেপির মামলা গ্রহণ করল হাইকোর্ট
সিপিআইএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৌশিক মিশ্র বলছেন, "আমরা বরাবরই বলে এসেছি নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের ভোট করানোর মূল কারিগর। ভোট লুট থেকে চুরি, শাসকদলকে জেতাতে সবই করা হচ্ছে | বিকেল পাঁচটার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের স্লিপ ইস্যু করা হয়। বিকেল পাঁচটায় কমিশন জানাল, ইংরেজবাজারে ভোট পড়েছে 80.21 শতাংশ। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষের পর তারাই আবার জানাল, ইংরেজবাজারে ভোটদানের হার 77.56 শতাংশ। তাহলে কোনটা ঠিক? এর উত্তর কমিশনকেই দিতে হবে।"