ETV Bharat / state

Trinamool Congress: ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বান্ধবীর সঙ্গে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা ! ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে হইচই মালদায় - CPIM

Malda TMC Leader's Extramarital Affair: মালদার রতুয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়েছেন বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে মালদায় ৷

Trinamool Congress
Trinamool Congress
author img

By

Published : Aug 5, 2023, 6:24 PM IST

তৃণমূল নেতার পরকীয়ার অভিযোগ ঘিরে হইচই মালদায়

মালদা, 5 অগস্ট: পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক তৃণমূল নেতা, এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার রতুয়ায় ৷ গ্রামবাসীরা ওই নেতা ও তাঁর বান্ধবীর বক্তব্য রেকর্ডিং করে একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ৷ সেই ভিডিয়ো ক্লিপ এখন ভাইরাল ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে এই নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরে ৷ এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

মালদার রতুয়া-1 ব্লকের একটি গ্রামে দিন চারেক আগে এই যুবতীর বাড়িতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলাম ৷ তিনি ওই ব্লকে শাসক দলের সোশাল মিডিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন ৷ 21 জুলাই লোকজন নিয়ে কলকাতার দলীয় সভাতেও গিয়েছিলেন ৷ ঘটনার দিন রাতে তাঁকে ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন গ্রামের লোকজন ৷ তাঁরা মনিরুল ও তাঁর বান্ধবীর বয়ানের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন ৷

সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে গ্রামবাসীদের জেরায় মনিরুল দাবি করেন, সেদিনই তাঁর সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক তৈরি হয় ৷ যদিও তাঁর বান্ধবী স্বীকার করে নেন, তাঁদের মধ্যে এক বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ৷ শাসকদলের নেতার এহেন কাজে হতবাক এলাকাবাসী ৷ বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ খুলতে রাজি নন গ্রামের কেউ ৷ তাতে শাসকের রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ৷

আরও পড়ুন: পরকীয়া ! স্বামীকে অন্য মহিলার ঘর থেকে হাতেনাতে পাকড়াও স্ত্রী'র

কিন্তু শাসক দলের সমালোচনা করার এমন ইস্যু ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা ৷ এই নিয়ে সিপিএমের রতুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “ব্যাপারটা শুনেছি ৷ আসলে তৃণমূলের উঁচুতলার নেতার যা করছেন, নিচুস্তরের নেতারাও সেটাই করছেন ৷ বড় বড় নেতাদের বান্ধবীদের ঘরে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে ৷ আবার কোনও প্রভাবশালী নেতার বিদেশি বান্ধবীরও খোঁজ মিলছে ৷ রাশিয়া, আমেরিকা, কোথায় বান্ধবী নেই ! আসলে এদের অঢেল টাকা ৷ এত টাকা কোথায় খরচ করবে ? তাই আনন্দ-ফুর্তি করছে৷ বান্ধবী জোটাচ্ছে ৷ যে ছেলেটি এখানে বান্ধবীর সঙ্গে ধরা পড়েছে, তার বয়স 55 বছরের উপরে ৷ সে’ও বান্ধবী জোগাড় করে নিয়েছে ৷ তৃণমূল একটা লুম্পেনের দল ৷ ওদের সবাই তো এসব কাজেই থাকবে ৷”

নজরুলের সুরেই রতুয়া-1 ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সিং বলেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার ৷ এই কালচারে ওই দলের বড় থেকে ছোট, সবাই জড়িয়ে ৷ আমার মনে হয়, তাঁরা বান্ধবী ছাড়া চলতে পারেন না ৷ আসলে এই বান্ধবীরা একেকটি ব্যাংক ৷ কাটমানির টাকা এসব ব্যাংকেই থাকে ৷ এর আগে তৃণমূলের অনেক বড় নেতার বান্ধবী দেখেছি ৷ অভিষেকের বান্ধবীও নাকি বিদেশে আছেন ৷ এসব নিয়ে কিছু বলতে লজ্জা করছে ৷”

আরও পড়ুন: হাতেনাতে ধরা পড়ল স্বামীর পরকীয়া, প্রেমিকাকে মার স্ত্রী'র

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলছেন, “তৃণমূল তো জলসাতেও টাকা ছেটায় ৷ আমরা সেটা দেখেছি ৷ তারা ধর্ষণ, খুন করে ৷ পুলিশ তাদের ধরে না ৷ মুখ্যমন্ত্রী ছোট ঘটনা বলেন৷ ওদের তাবড় তাবড় নেতারা এসব ঘটনায় জড়িত ৷ এই রাজ্যে অনেক খুন, ধর্ষণ হয়েছে ৷ কোনও ঘটনার কিনারা হয়নি ৷ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি৷ রতুয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে ৷ এলাকার মানুষ ওই নেতাকে পরকীয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছে ৷ এখন অবশ্য তাঁকে দলের বলে স্বীকার করবেন না তৃণমূলের নেতারা ৷ কারণ, অপরাধ করে ধরা পড়লে তাঁরা দলের কাউকে নিজেদের বলে স্বীকার করেন না ৷ এটাই ওদের কালচার ৷”

এদিকে জেলা তৃণমূলের নেতা দেবপ্রিয় সাহার বক্তব্য, “শুনলাম, রতুয়ায় তৃণমূলের কোনও নেতা কোনও অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে ৷ আমি শুধু বলব, দল সবসময় আইনের শাসন মানে ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷ যদি ও তৃণমূলের কর্মী হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, দল তার পাশে থাকবে না ৷ আমরা কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই ৷”

তৃণমূল নেতার পরকীয়ার অভিযোগ ঘিরে হইচই মালদায়

মালদা, 5 অগস্ট: পরকীয়া করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক তৃণমূল নেতা, এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার রতুয়ায় ৷ গ্রামবাসীরা ওই নেতা ও তাঁর বান্ধবীর বক্তব্য রেকর্ডিং করে একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ৷ সেই ভিডিয়ো ক্লিপ এখন ভাইরাল ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ তবে এই নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরে ৷ এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

মালদার রতুয়া-1 ব্লকের একটি গ্রামে দিন চারেক আগে এই যুবতীর বাড়িতে গিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা মনিরুল ইসলাম ৷ তিনি ওই ব্লকে শাসক দলের সোশাল মিডিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন ৷ 21 জুলাই লোকজন নিয়ে কলকাতার দলীয় সভাতেও গিয়েছিলেন ৷ ঘটনার দিন রাতে তাঁকে ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন গ্রামের লোকজন ৷ তাঁরা মনিরুল ও তাঁর বান্ধবীর বয়ানের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন ৷

সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে গ্রামবাসীদের জেরায় মনিরুল দাবি করেন, সেদিনই তাঁর সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক তৈরি হয় ৷ যদিও তাঁর বান্ধবী স্বীকার করে নেন, তাঁদের মধ্যে এক বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ৷ শাসকদলের নেতার এহেন কাজে হতবাক এলাকাবাসী ৷ বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ খুলতে রাজি নন গ্রামের কেউ ৷ তাতে শাসকের রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ৷

আরও পড়ুন: পরকীয়া ! স্বামীকে অন্য মহিলার ঘর থেকে হাতেনাতে পাকড়াও স্ত্রী'র

কিন্তু শাসক দলের সমালোচনা করার এমন ইস্যু ছাড়তে নারাজ বিরোধীরা ৷ এই নিয়ে সিপিএমের রতুয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “ব্যাপারটা শুনেছি ৷ আসলে তৃণমূলের উঁচুতলার নেতার যা করছেন, নিচুস্তরের নেতারাও সেটাই করছেন ৷ বড় বড় নেতাদের বান্ধবীদের ঘরে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে ৷ আবার কোনও প্রভাবশালী নেতার বিদেশি বান্ধবীরও খোঁজ মিলছে ৷ রাশিয়া, আমেরিকা, কোথায় বান্ধবী নেই ! আসলে এদের অঢেল টাকা ৷ এত টাকা কোথায় খরচ করবে ? তাই আনন্দ-ফুর্তি করছে৷ বান্ধবী জোটাচ্ছে ৷ যে ছেলেটি এখানে বান্ধবীর সঙ্গে ধরা পড়েছে, তার বয়স 55 বছরের উপরে ৷ সে’ও বান্ধবী জোগাড় করে নিয়েছে ৷ তৃণমূল একটা লুম্পেনের দল ৷ ওদের সবাই তো এসব কাজেই থাকবে ৷”

নজরুলের সুরেই রতুয়া-1 ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সিং বলেন, “এটাই তৃণমূলের কালচার ৷ এই কালচারে ওই দলের বড় থেকে ছোট, সবাই জড়িয়ে ৷ আমার মনে হয়, তাঁরা বান্ধবী ছাড়া চলতে পারেন না ৷ আসলে এই বান্ধবীরা একেকটি ব্যাংক ৷ কাটমানির টাকা এসব ব্যাংকেই থাকে ৷ এর আগে তৃণমূলের অনেক বড় নেতার বান্ধবী দেখেছি ৷ অভিষেকের বান্ধবীও নাকি বিদেশে আছেন ৷ এসব নিয়ে কিছু বলতে লজ্জা করছে ৷”

আরও পড়ুন: হাতেনাতে ধরা পড়ল স্বামীর পরকীয়া, প্রেমিকাকে মার স্ত্রী'র

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলছেন, “তৃণমূল তো জলসাতেও টাকা ছেটায় ৷ আমরা সেটা দেখেছি ৷ তারা ধর্ষণ, খুন করে ৷ পুলিশ তাদের ধরে না ৷ মুখ্যমন্ত্রী ছোট ঘটনা বলেন৷ ওদের তাবড় তাবড় নেতারা এসব ঘটনায় জড়িত ৷ এই রাজ্যে অনেক খুন, ধর্ষণ হয়েছে ৷ কোনও ঘটনার কিনারা হয়নি ৷ এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি৷ রতুয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে ৷ এলাকার মানুষ ওই নেতাকে পরকীয়ার সময় হাতেনাতে ধরেছে ৷ এখন অবশ্য তাঁকে দলের বলে স্বীকার করবেন না তৃণমূলের নেতারা ৷ কারণ, অপরাধ করে ধরা পড়লে তাঁরা দলের কাউকে নিজেদের বলে স্বীকার করেন না ৷ এটাই ওদের কালচার ৷”

এদিকে জেলা তৃণমূলের নেতা দেবপ্রিয় সাহার বক্তব্য, “শুনলাম, রতুয়ায় তৃণমূলের কোনও নেতা কোনও অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে ৷ আমি শুধু বলব, দল সবসময় আইনের শাসন মানে ৷ আইন আইনের পথে চলবে ৷ যদি ও তৃণমূলের কর্মী হয় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, দল তার পাশে থাকবে না ৷ আমরা কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.