ETV Bharat / state

39 বছরেও অনুমোদন না-মেলায় স্কুলের জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত, আন্দোলনে গ্রামবাসীরা

Villagers Protest For School Land: 39 বছরেও অনুমোদন দেয়নি সরকার ৷ স্কুলের জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল গ্রামবাসীরা ৷ ঘটনাটি মালদার ৷

school land issue
স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 27, 2023, 10:57 PM IST

স্কুলের জমি বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল গ্রামবাসীরা

মালদা, 27 নভেম্বর: স্কুল রয়েছে 1984 সাল থেকে ৷ তবে এখনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি ৷ বাম বা তৃণমূল, কোনও সরকারই গ্রামবাসী এবং স্কুল পরিচালন কমিটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশও উপেক্ষিত বলে অভিযোগ ৷ ইতিমধ্যেই স্কুলের জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন জমিদাতার উত্তরসূরীরা ৷ তার বায়নাও হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকার ছেলেমেয়েদের স্বার্থে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ৷ স্কুলের জমি বিক্রি রুখতে তাঁরা প্রশাসনের সব মহলে আবেদন জানিয়েছেন ৷ নিজেদের দাবির সমর্থনে সোমবার তাঁরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখান ৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ৷

ঘটনাটি পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলদিঘি গ্রামের ৷ স্কুলের নাম কমলদিঘি সরকারু সরকার জুনিয়র হাইস্কুল ৷ ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলদিঘি মৌজায় অবস্থান ৷ এলাকাটি 12 নম্বর জাতীয় সড়কের চেঁচু মোড়ে ৷ মূলত আদিবাসী ও রাজবংশী সমাজের ছেলেমেয়েরাই এই স্কুলে পড়াশোনা করে ৷

এলাকাবাসী সঞ্জীব রাজবংশী বলেন, "জন্মের পর থেকে এই স্কুল আমরা দেখে আসছি ৷ স্কুলের জন্য গ্রামের একজন জমি দান করেছিলেন ৷ সেই জমি স্কুলের নামেই আছে ৷ কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, জমিদাতার ওয়ারিশদের সঙ্গে কিছু প্রোমোটার স্কুলের জায়গা বিক্রি করতে চায় ৷ তারা স্কুল ভবন ভাঙছে, চত্বরের গাছ কেটে দিয়েছে, এমনকী স্কুলের পিছনে থাকা পুকুরের অর্ধেক অংশ ভরাট করে দিয়েছে ৷ আমরা প্রশাসনের আট জায়গায় শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ মালদা থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ স্কুলে যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ স্কুলে পুলিশ রয়েছে ৷ আমরা এই স্কুল কিছুতেই বিক্রি করতে দেব না ৷ প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনে নামব ৷"

স্কুলের জমিদাতার ওয়ারিশ দীপঙ্কর সরকারের বক্তব্য, "এতদিনেও স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পায়নি ৷ তাই ম্যানেজিং কমিটিকে আমরা বলি, তারা স্কুলের সরকারি অনুমোদন করাতে না-পারলে জমি যেন সরকারু সরকারের ওয়ারিশদের ফেরত দেওয়া হয় ৷ ম্যানেজিং কমিটি আমাদের জানায়, তারা সেটা পারবে না ৷ তাই আমরা এই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই ৷ এটা রায়তি সম্পত্তি ৷ খাস জমি নয় ৷ ফলে আমরা নিজেদের রায়তি সম্পত্তি ফেলে রাখতে পারি না৷ তবে এখনও জমি বিক্রি করা হয়নি ৷"

ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক শ্রীদাম সরকার বলেন, "আমাদের পক্ষে স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই আমরা স্কুলের জমি ফেরৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই ৷ তাঁরা এই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ বায়নাও হয়ে গিয়েছে ৷" বিষয়টি জানানো হলে পুরাতন মালদার বিডিও সেঁজুতি পাল মাইতি জানান, এ নিয়ে কিছুই জানা নেই তাঁর ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন তিনি ৷

আরও পড়ুন:

  1. স্কুল ভবনের গেরুয়া রং নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক মালদায়
  2. সুন্দরবনের প্রাথমিক স্কুলে ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স, ছাপিয়ে গেল হাইটেক স্কুলগুলিকেও
  3. গঙ্গার গ্রাস থেকে মাত্র 300 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুল!

স্কুলের জমি বিক্রির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল গ্রামবাসীরা

মালদা, 27 নভেম্বর: স্কুল রয়েছে 1984 সাল থেকে ৷ তবে এখনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি ৷ বাম বা তৃণমূল, কোনও সরকারই গ্রামবাসী এবং স্কুল পরিচালন কমিটির আবেদনে কর্ণপাত করেনি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশও উপেক্ষিত বলে অভিযোগ ৷ ইতিমধ্যেই স্কুলের জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন জমিদাতার উত্তরসূরীরা ৷ তার বায়নাও হয়ে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকার ছেলেমেয়েদের স্বার্থে রুখে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ৷ স্কুলের জমি বিক্রি রুখতে তাঁরা প্রশাসনের সব মহলে আবেদন জানিয়েছেন ৷ নিজেদের দাবির সমর্থনে সোমবার তাঁরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখান ৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ৷

ঘটনাটি পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলদিঘি গ্রামের ৷ স্কুলের নাম কমলদিঘি সরকারু সরকার জুনিয়র হাইস্কুল ৷ ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলদিঘি মৌজায় অবস্থান ৷ এলাকাটি 12 নম্বর জাতীয় সড়কের চেঁচু মোড়ে ৷ মূলত আদিবাসী ও রাজবংশী সমাজের ছেলেমেয়েরাই এই স্কুলে পড়াশোনা করে ৷

এলাকাবাসী সঞ্জীব রাজবংশী বলেন, "জন্মের পর থেকে এই স্কুল আমরা দেখে আসছি ৷ স্কুলের জন্য গ্রামের একজন জমি দান করেছিলেন ৷ সেই জমি স্কুলের নামেই আছে ৷ কিন্তু স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, জমিদাতার ওয়ারিশদের সঙ্গে কিছু প্রোমোটার স্কুলের জায়গা বিক্রি করতে চায় ৷ তারা স্কুল ভবন ভাঙছে, চত্বরের গাছ কেটে দিয়েছে, এমনকী স্কুলের পিছনে থাকা পুকুরের অর্ধেক অংশ ভরাট করে দিয়েছে ৷ আমরা প্রশাসনের আট জায়গায় শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ মালদা থানার পুলিশ ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে ৷ স্কুলে যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ৷ স্কুলে পুলিশ রয়েছে ৷ আমরা এই স্কুল কিছুতেই বিক্রি করতে দেব না ৷ প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনে নামব ৷"

স্কুলের জমিদাতার ওয়ারিশ দীপঙ্কর সরকারের বক্তব্য, "এতদিনেও স্কুলটি সরকারি অনুমোদন পায়নি ৷ তাই ম্যানেজিং কমিটিকে আমরা বলি, তারা স্কুলের সরকারি অনুমোদন করাতে না-পারলে জমি যেন সরকারু সরকারের ওয়ারিশদের ফেরত দেওয়া হয় ৷ ম্যানেজিং কমিটি আমাদের জানায়, তারা সেটা পারবে না ৷ তাই আমরা এই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই ৷ এটা রায়তি সম্পত্তি ৷ খাস জমি নয় ৷ ফলে আমরা নিজেদের রায়তি সম্পত্তি ফেলে রাখতে পারি না৷ তবে এখনও জমি বিক্রি করা হয়নি ৷"

ম্যানেজিং কমিটির সম্পাদক শ্রীদাম সরকার বলেন, "আমাদের পক্ষে স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাই আমরা স্কুলের জমি ফেরৎ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই ৷ তাঁরা এই জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ বায়নাও হয়ে গিয়েছে ৷" বিষয়টি জানানো হলে পুরাতন মালদার বিডিও সেঁজুতি পাল মাইতি জানান, এ নিয়ে কিছুই জানা নেই তাঁর ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন তিনি ৷

আরও পড়ুন:

  1. স্কুল ভবনের গেরুয়া রং নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক মালদায়
  2. সুন্দরবনের প্রাথমিক স্কুলে ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স, ছাপিয়ে গেল হাইটেক স্কুলগুলিকেও
  3. গঙ্গার গ্রাস থেকে মাত্র 300 মিটার দূরে দাঁড়িয়ে কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুল!
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.