মালদা, 19 মে:জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরের কোয়ারানটিন সেন্টারগুলির অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াল গ্রামবাসীরা, সুরক্ষিত করল নিজেদেরও। আজ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের কুশিদা ও রশিদাবাদ এলাকার 10টি কোয়ারানটিন সেন্টারে খাবার, মাস্ক ও সাবান বিলি করা হল স্থানীয়দের তরফে।
লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার। জেলায় ফিরতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পরিযায়ী শ্রমিকদের 14 দিনের কোয়ারানটিনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্থানীয়দেরও দাবি, প্রশাসনের তরফে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলোতে খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনের এক সদস্য একবার মাত্র সামান্য কিছু খাদ্যসামগ্রী বিলি করেন। যা শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। বাধ্য হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে কোয়ারানটিন সেন্টারগুলির বাইরে বের হচ্ছেন। যা থেকে এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের। অথচ, শ্রমিকদেরও অন্য উপায় থাকছে না। এইরকম পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ও কোয়ারানটিনে থাকা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল গ্রামবাসীরা। আজ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের কুশিদা ও রশিদাবাদ অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থানীয় কোয়ারানটিন সেন্টারগুলিতে খাদ্য সামগ্রী, মাস্ক ও সাবান বিলি করল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশিদা ও রশিদাবাদ অঞ্চলের 10টি স্কুলে কোয়ারানটিন সেন্টার করা হয়েছে। এই 10টি সেন্টারে প্রায় 300 জন শ্রমিক রয়েছেন। যাঁদের খাবার, মাস্ক ও সাবান বিলি করা হল আজ।
এই প্রসঙ্গে জনৈক গ্রামবাসী বলেন, ''কোরোনা রুখতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিনে থাকতে বলা হচ্ছে। অথচ তাঁদের জন্য সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হচ্ছে না। খাদ্যের অভাবে যদি শ্রমিকদের সেন্টারের বাইরে আসতে হয়, তবে সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে কীভাবে? সেই জন্য তাঁদের খাবার, মাস্ক ও সাবান বিলি করলাম আমরা।''