মালদা, 20 নভেম্বর: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ফের মৃত্যু ৷ এবার এ রাজ্যে ৷ প্রিমিয়াম এই ট্রেনে কাটা পড়ে রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷ প্রাণ হারাল এক দশম শ্রেণির ছাত্রী ৷ সোমবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে সামসি স্টেশনের রেলগেটের কাছে ৷ মৃত ছাত্রীর নাম বাসন্তী মণ্ডল (16) ৷
বাড়ি ইটাহার থানার চাকলাঘাট গ্রামের মণ্ডলপাড়া ৷ সে ইটাহারের কাপাসিয়া এএমআই হাইস্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত ৷ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে রেলপুলিশ ৷
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বাসন্তীর দিদির বাড়ি মানিকচকের ভূতনি চরের নীলকণ্ঠ গ্রামে ৷ দিন তিনেক আগে সে দিদির বাড়ি বেড়াতে এসেছিল ৷ এদিন জামাইবাবুর বাইকে চেপে নিজের বাড়ি ফিরছিল ৷ সঙ্গে ছিল তার দিদিও ৷ সামসী রেলগেট পেরিয়ে শৌচকর্মের জন্য বাসন্তী রেলগেটের কিছুটা দূরে নির্জন জায়গায় যায় ৷ সেই সময় ওই লাইন দিয়ে ঝড়ের গতিতে আসছিল এনজেপি থেকে হাওড়াগামী ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ৷ ট্রেনের চাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার দেহ ৷ বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও সে ফিরে না আসায় তার দিদি ও জামাইবাবু তাকে খুঁজতে যান ৷ তাঁরা বাসন্তীর ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পান ৷
এই ঘটনায় দিদি টুম্পা মণ্ডল বলেন, "বাসন্তী আমার তৃতীয় বোন ৷ দশম শ্রেণিতে পড়ত ৷ কালীপুজোর মেলা দেখতে গত শুক্রবার বোন আমার বাড়িতে এসেছিল ৷ স্কুলে কাজ থাকায় আজ ও বাড়ি ফিরছিল ৷ আমার স্বামীর বাইকে তিনজনই ইটাহার যাচ্ছিলাম ৷ সামসি রেলগেট পেরিয়ে ওর টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে ৷ আমি বোনকে আমার পাশেই বসতে বলেছিলাম ৷ কিন্তু ও একটু দূরে চলে যায় ৷ সেই সময় ট্রেনের ধাক্কায় বোন মারা যায় ৷ হঠাৎ যে এমন ঘটনা ঘটবে তা ভাবতেই পারিনি ৷"
বাসন্তীর জামাইবাবুর কথায়, সামসি রেলগেট আমরা পেরিয়ে গিয়েছিলাম ৷ তখনই আমার স্ত্রী আর শ্যালিকার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে ৷ ওরা রেললাইনের ধারেই শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল ৷ হঠাৎ সেই লাইনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলে আসে ৷ ওরা সেটা বুঝতে পারেনি ৷ শ্যালিকা ট্রেনে কাটা পড়ে যায় ৷ শ্বশুরবাড়িতে গোটা ঘটনা জানিয়েছি ৷"
আরও পড়ুন :
1 বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত মা ও দুই মেয়ে
2 ট্রেনের কামরা নাকি বিলাসবহুল হোটেল ! বন্দে ভারত স্লিপারের নকশায় বিস্মিত দেশবাসী