মালদা, 14 নভেম্বর: ঘরে শুয়েছিল মা-মেয়ে । ডাকাত দল মারধর করে মায়ের কানের দুল ছিনিয়ে নিতে পারলেও মেয়ের এক কানের দুল খুলতে পারেনি । অবশেষে কান কেটে সেই সোনার দুল নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা । আক্রান্ত মা ও মেয়ে বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের (Malda Dacoity) গোপালপুর এলাকায় ।
আক্রান্ত মা ও মেয়ের নাম নূসেরা বেওয়া (62) ও রুলেখা বিবি (45)। বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর এলাকায় (Dacoits cut off woman ear)। মেয়ে রুলেখা ও ছেলে তাসিরুদ্দিনকে নিয়েই বাড়িতে থাকতেন নূসেরা বেওয়া । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে খাবার খাওয়ার পর তাসিরুদ্দিন নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান । পাশের ঘরে মেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন নূসেরা বেওয়াও । অভিযোগ, গভীর রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের বাড়িতে ঢোকে । তাসিরুদ্দিনের ঘরের দরজা শিকল দিয়ে বন্ধ করে পাশের ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা । নূসেরা ও রুলেখাকে মারধর করে সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয় । রুলেখার ডান কানের দুল খুলতে না পারায় ডান কান কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা । চিৎকারে তাসিরুদ্দিন বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা । স্থানীয়দের সহযোগিতায় নূসেরা ও রুলেখাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় । বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা ।
আরও পড়ুন: বাথরুমে ঢুকে রোগীর স্ত্রী'র শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত হাসপাতালের সাফাইকর্মী
মহম্মদ তাসিরুদ্দিন বলেন, “রাতে খাবার খাওয়ার পর আমি নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে গিয়েছিলাম । মা ও দিদি অন্য ঘরে শুয়েছিল । রাতে কিছু দুষ্কৃতী আমার ঘর বাইরে থেকে শিকল দিয়ে বন্ধ করে দেয় । পাশের ঘরে ঢুকে মা ও দিদির সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয় । বোনের ডান কান থেকে দুল নিতে না পারায় মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে কান ছিঁড়ে নিয়ে চলে যায় । মা-বোনের চিৎকার শুনে আমি বাইরে আসার চেষ্টা করি । কিন্তু বাইরে থেকে শিকল দিয়ে ঘর বন্ধ করে দেওয়ায় বাইরে বেরোতে পারিনি । মা-বোন এখন মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন । বিষয়টি আমরা মৌখিকভাবে পুলিশে জানিয়েছি । পুলিশ বাড়িতে এসেছিল । দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে টাকা পয়সা-সহ আর কী কী নিয়ে গিয়েছে তা এখনই বলা যাবে না ।”