ETV Bharat / state

Sub Inspector supended : এক থানার দুই সাব ইন্সপেক্টর সাসপেন্ড, সর্ষের মধ্যে ভূত ? - একই থানার দুই সাব ইন্সপেকটরের সাসপেনশনে

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কালিয়াচক থানার সাব ইন্সপেক্টর রাকেশ বিশ্বাস 30 লাখ টাকার বিনিময়ে গাঁজা কারবারিদের সঙ্গে ডিল করেন ৷ অন্যদিকে অপহৃতকে উদ্ধার করেও নিজের ডেরায় রেখে অপহৃতের পরিবারের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কালিয়াচক থানারই আরেক সাব ইন্সপেক্টর সৌম্যজিৎ মল্লিকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার পুলিশ মহলে ৷

s
s
author img

By

Published : Aug 23, 2021, 10:37 PM IST

মালদা, 23 অগস্ট : সর্ষের মধ্যেই ভূত ? একই সঙ্গে এক থানার দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠছে জেলার পুলিশ মহলে। সেই মহল থেকেই যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চোখ কপালে উঠছে সবার। যদিও এই ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। এমনকি মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ পুলিশ সুপারও। তবে কিছু ঘটনা যে ঘটেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি।

সাসপেন্ড হওয়া দুই সাব ইন্সপেক্টরের নাম রাকেশ বিশ্বাস ও সৌম্যজিৎ মল্লিক। দু’জনেই কালিয়াচক থানায় কর্মরত । জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি রাকেশ বিশ্বাস গাঁজা কারবারিদের সঙ্গে বড় ডিল করেছিলেন। সেই ডিলের পরিমাণ প্রায় 30 লাখ টাকা। তাঁর কাজ ছিল, 65 কিলোগ্রাম গাঁজা মালদার সীমানা পার করে দেওয়া। কিন্তু বিধি বাম। নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে গাজোল থানা এলাকায় সেই গাঁজা পাকড়াও করে কলকাতা এসটিএফ। ধরা হয় দুই কারবারিকেও। তাদের জেরা করেই উঠে আসে রাকেশ বিশ্বাসের নাম। এরপরই নড়েচড়ে বসেন কলকাতা এসটিএফ কর্তারা। খবর পৌঁছায় রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কানে। শুধু এই ঘটনাই নয়, রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কানে পৌঁছায় সৌম্যজিৎ মল্লিকের বিরুদ্ধে ওঠা আরও একটি গুরুতর অভিযোগ। সৌম্যজিৎবাবু নাকি অপহৃত এক মহিলাকে উদ্ধার করে নিজেই গোপন ডেরায় রাখেন। তিনদিন সেই মহিলাকে ওই ডেরায় রেখে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মোটা অঙ্কের ডিল করেন। পরে টাকার বিনিময়ে ওই মহিলাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। এই দুই অভিযোগ পেয়ে প্রথমে রাজ্য পুলিশকর্তারা নিজেরাই প্রাথমিক তদন্ত করেন বলে খবর। তারপরই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে। সেই নির্দেশ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় রাকেশ বিশ্বাস ও সৌম্যজিৎ মল্লিককে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Malda : এবার জাল লটারি চক্রের সন্ধান মালদায়, ধৃত এক

এনিয়ে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে রাজি হননি। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া শুধু বলেন, “এই সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। এটা আমাদের বিভাগীয় বিষয়। কিছু ভুল আছে। আমরা তা খুঁজে পেয়েছি। তার জন্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।”

মালদা, 23 অগস্ট : সর্ষের মধ্যেই ভূত ? একই সঙ্গে এক থানার দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠছে জেলার পুলিশ মহলে। সেই মহল থেকেই যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে চোখ কপালে উঠছে সবার। যদিও এই ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। এমনকি মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ পুলিশ সুপারও। তবে কিছু ঘটনা যে ঘটেছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি।

সাসপেন্ড হওয়া দুই সাব ইন্সপেক্টরের নাম রাকেশ বিশ্বাস ও সৌম্যজিৎ মল্লিক। দু’জনেই কালিয়াচক থানায় কর্মরত । জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি রাকেশ বিশ্বাস গাঁজা কারবারিদের সঙ্গে বড় ডিল করেছিলেন। সেই ডিলের পরিমাণ প্রায় 30 লাখ টাকা। তাঁর কাজ ছিল, 65 কিলোগ্রাম গাঁজা মালদার সীমানা পার করে দেওয়া। কিন্তু বিধি বাম। নিজস্ব সূত্রে খবর পেয়ে গাজোল থানা এলাকায় সেই গাঁজা পাকড়াও করে কলকাতা এসটিএফ। ধরা হয় দুই কারবারিকেও। তাদের জেরা করেই উঠে আসে রাকেশ বিশ্বাসের নাম। এরপরই নড়েচড়ে বসেন কলকাতা এসটিএফ কর্তারা। খবর পৌঁছায় রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কানে। শুধু এই ঘটনাই নয়, রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের কানে পৌঁছায় সৌম্যজিৎ মল্লিকের বিরুদ্ধে ওঠা আরও একটি গুরুতর অভিযোগ। সৌম্যজিৎবাবু নাকি অপহৃত এক মহিলাকে উদ্ধার করে নিজেই গোপন ডেরায় রাখেন। তিনদিন সেই মহিলাকে ওই ডেরায় রেখে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মোটা অঙ্কের ডিল করেন। পরে টাকার বিনিময়ে ওই মহিলাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। এই দুই অভিযোগ পেয়ে প্রথমে রাজ্য পুলিশকর্তারা নিজেরাই প্রাথমিক তদন্ত করেন বলে খবর। তারপরই পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ওই দুই সাব ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে। সেই নির্দেশ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় রাকেশ বিশ্বাস ও সৌম্যজিৎ মল্লিককে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Malda : এবার জাল লটারি চক্রের সন্ধান মালদায়, ধৃত এক

এনিয়ে জেলা পুলিশের কোনও কর্তা সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে রাজি হননি। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া শুধু বলেন, “এই সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। এটা আমাদের বিভাগীয় বিষয়। কিছু ভুল আছে। আমরা তা খুঁজে পেয়েছি। তার জন্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.