মালদা, 10 জুন : ফের মালদা জেলায় বাড়ল কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ গত 24 ঘণ্টায় জেলার আরও দুই বাসিন্দার লালারসে কোরোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে৷ সংক্রামিত দু’জনই চাঁচল 1 ব্লকের বাসিন্দা ৷ তাদের একজনের বাড়ি বৈরগাছিতে ও অন্যজনের বাড়ি শিহিপুরে৷ দু’জনেই ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিক ৷ বৈরগাছির আক্রান্ত যুবক মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়েছিল আর শিহিপুরের আক্রান্ত যুবক সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ থেকে ফিরেছে৷ আজই দু’জনকে হরিশ্চন্দ্রপুরের কোরোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভরতি করা হয়েছে৷ এনিয়ে চাঁচল 1 ব্লকে মোট চারজনের লালারসে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল৷ জেলায় মোট সংক্রামিতের সংখ্যা হল 232৷
গতকাল মালদা মেডিকেলে যেসব লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র দুটি নমুনার রিপোর্ট পজিটি়ভ এসেছে৷ মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পর ওই দুই যুবকই প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে 14 দিন সরকারি কোয়ারানটিন সেন্টারে ছিল৷ গত শনিবার তারা ঘরে ফেরে৷ কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকাকালীনই তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ গতকাল রাতে সেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটি়ভ আসে৷ এরপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর৷ আজ সকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা দুই সংক্রামিতের বাড়ি গিয়ে তাদের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠান৷ তবে দু’জনের কারোরই কোনও কোরোনা উপসর্গ ছিল না৷
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে ঘরে ফেরার পর দুই যুবকই গোটা চাঁচলে ঘুরে বেড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা কতজনের সংস্পর্শে এসেছে, তার হিসাব উদ্ধার করতে এখন মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে প্রশাসনের ৷ প্রশাসনেরই একাংশের বক্তব্য, গতকাল কালিয়াচক 2 ব্লকে যে দু’জন কোরোনা সংক্রামিতের খোঁজ মিলেছিল, তারা সম্ভবত গোষ্ঠী সংক্রমণের শিকার৷ এই দুই আক্রান্তের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই তারা গত কয়েকদিনে কতজনের সংস্পর্শে এসেছে তা বের করা খুব জরুরি৷ আপাতত তারই চেষ্টা চালানো হচ্ছে৷ এদিকে এই ঘটনায় চাঁচল জুড়ে বইছে কোরোনা আতঙ্কের চোরাস্রোত৷