মালদা, 10 জুন : কোরোনায় আক্রান্ত হলেন আরও এক স্বাস্থ্যকর্মী ৷ আক্রান্ত হয়েছেন এক BSF জওয়ানও ৷ তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি কালিয়াচক 2 ব্লকে ৷ তাঁদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে ৷ সব মিলিয়ে মালদা জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল 230 ৷
দুই আক্রান্তেরই বাড়ি কালিয়াচক 2 ব্লকের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ তাঁদের মধ্যে একজন কালিয়াচক 1 ব্লকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির স্থায়ী কর্মী ৷ প্রশাসনিক নির্দেশে সম্প্রতি ওই ব্লকের সব স্বাস্থ্যকর্মীর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৷ তাতেই ওই কর্মীর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ সেখানে কারও সোয়াবের নমুনাও সংগ্রহ করা হয় না ৷ সেক্ষেত্রে ওই কর্মী কীভাবে আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে মোথাবাড়ি কোরোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভরতি করা হয়েছে ৷ তাঁর মধ্যে কোরোনার কোনও উপসর্গ ছিল না ৷”
এদিকে উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও এক বাসিন্দা কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ ওই BSF জওয়ান ভিনরাজ্যে কর্মরত ৷ মাস তিনেক আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন ৷ লকডাউনে বাড়িতেই আটকে পড়েন তিনি ৷ কয়েকদিন আগে তাঁর জ্বর ও সর্দি-কাশি শুরু হয় ৷ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ওয়ার্ডে তাঁকে ভরতি করা হয় ৷ সুস্থ হওয়ার পর গত ৪ জুন তাঁকে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ তার আগে তাঁর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৷ সোমবার রাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ গতকাল বিকেলে তাঁকে সুজাপুরের আইসোলেশন সেন্টারে ভরতি করা হয় ৷
অনেকেরই ধারণা, এই ব্লকে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে ৷ কারণ, যে দু’জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের কেউ কোরোনা রোগীর সংস্পর্শে আসেনি ৷ যদিও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, যে সময় ওই BSF জওয়ান মালদা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন সেই সময় আরও এক রোগী সেখানে ভরতি ছিলেন ৷ তাঁর সোয়াবের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল ৷ ওই ওয়ার্ডে ডিউটি করে যাওয়া এক নার্সও কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ ফলে SARI ওয়ার্ড থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে ৷ যদিও এনিয়ে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি ৷