মালদা, 25 ফেব্রুয়ারি: পুকুর সংস্কার করতে গিয়ে উদ্ধার জোড়া মূর্তি ৷ পরে দু’টি মূর্তিকে গাছতলায় বসিয়ে পুজো করতে শুরু করে দিলেন স্থানীয়রা ৷ কিন্তু, সেই মূর্তি উদ্ধার করতে গিয়ে বাধার মুখে পুলিশ প্রশাসন ৷ পরবর্তী সময়ে কোনওরকমে স্থানীয় বাসিন্দাদের বুঝিয়ে মূর্তি দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ (Two Black Stone Idol Recover During Pond Renovation) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা গাজোলের শাহজাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদো গ্রামে ৷ মনে করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মূর্তি দু’টি কষ্টি পাথরের তৈরি ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গাজোলের ভাদো গ্রামের সাতকাদিঘিতে পুকুর খননের কাজ চলছিল ৷ সেই সময় মাটি কাটার যন্ত্রের ফলায় উঠে আসে দুটি মূর্তি ৷ তবে, সেই মূর্তি দু’টি কতদিন পুরনো তা জানা যায়নি ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উদ্ধার হওয়া মূর্তি দু’টির একটি বিষ্ণুর এবং আরেকটি হনুমানের ৷ সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গাজলের বিভিন্ন গ্রামে ৷ বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাসিন্দারা সেখানে ভিড় করেন উদ্ধার হওয়া মূর্তি দেখার জন্য ৷ এমনকী গ্রামের বেশ কয়েকজন মহিলা উদ্ধার হওয়া মূর্তি দু’টিকে গাছ তলায় রেখে পুজো করতে শুরু করেন ৷
পুরো ঘটনার খবর পৌঁছায় গাজোল থানায় ৷ খবর পেয়ে গাজোল থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও ৷ তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি দু’টি নিয়ে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ৷ এরপর পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ দীর্ঘক্ষণ গ্রামবাসীদের বোঝানোর পর মূর্তি দু’টি নিয়ে যেতে সফল হয় গাজোল থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে প্রথম জলপাইগুড়িতেই স্থাপিত হয় নেতাজির মর্মর মূর্তি
ওই পুকুরের মালিক সুবোধ চৌধুরী জানান, পুকুর সংস্কারের কাজ করতে গিয়ে মাটি কাটার মেশিনে মূর্তি দু’টি উঠে আসে ৷ দু’টি মূর্তির মধ্যে একটি হনুমানের ৷ আর অন্যটি বিষ্ণু মূর্তি ৷ খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা পুকুর পাড়ে ভিড় করেন ৷ তিনি কিছু বলার আগেই নাকি গ্রামের মহিলারা মূর্তি দু’টিকে কবজা করেন এবং গাছতলায় রেখে পুজো শুরু করে দেন ৷ তিনি এরপর মূর্তি উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানান ৷ কিন্তু, সেখানে পুলিশ পৌঁছালে তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয় মূর্তি উদ্ধার করতে ৷ সুবোধ চৌধুরী দাবি করেছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তি দু’টি সম্ভবত কষ্টি পাথরের তৈরি ৷ তবে, কত দিনের পুরনো তা বলা সম্ভব নয় ৷