ETV Bharat / state

দিদি অনেক কাজ করেছে, আমাদের সঙ্গে থাকুন : দেব - malda

"আজকের রাজনীতি একদমই অন্যরকম। এক দল বলছে আপনারা যদি আমাদের ভোট দেন তবে রাম মন্দির হবে। আজকের রাজনীতি হয়েছে, আপনারা হিন্দু, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন। আপনারা মুসলিম, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন।" আজ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে মৌসম নুরের সমর্থনে প্রচারে এসে একথা বললেন তৃণমূল নেতা দেব।

তৃণমূল নেতা দেব
author img

By

Published : Apr 17, 2019, 11:31 PM IST

Updated : Apr 17, 2019, 11:36 PM IST

মালদা, 17 এপ্রিল : উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মৌসম নুরের সমর্থনে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে আজ প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূল নেতা দেব।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি বলেন, "আজকের দিনে ভোটাররা অনেক বেশি বুদ্ধি রাখেন। তাঁদের আর বোকা বানানো যাবে না। আজকের নির্বাচন উন্নয়ন নিয়ে হোক, কোন দল কোন প্রার্থী আপনাদের জন্য কাজ করেছে তা নিয়ে হোক। নির্বাচন আর কাদা ছোড়াছুড়ি দিয়ে হবে না। 2014 সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার আমাকে সুযোগ দিয়েছিল, ঘাটাল থেকে মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। আজ 2019। যে দল আপনাদের সঙ্গে ছিল, যে দল আপনাদের সঙ্গে আছে এবং যে দল আপনাদের সঙ্গেই থাকবে সেই দলের হাত শক্ত করতে অনুরোধ করছি। 2011 সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে। গত 7-8 বছরে মা-মাটি-মানুষের সরকারের কিছু উন্নয়নের কথা বলি। আগে গ্রাম বাংলায় কোনও মেয়ে জন্ম নিলে, লোকে ভাবত এই মেয়ের পড়াশোনার খরচ আসবে কোথা থেকে। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করল। 7 বছর পরে 60 লাখেরও বেশি মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এটা আমি বলছি না, সমস্ত তথ্য রয়েছে। টিভি খুললেই এখন চোখে পড়ে এক নেতা অপর নেতাকে ছোটো করতে ব্যস্ত। আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের কাছে শুধু উন্নয়নের কথা বললেই যথেষ্ট। কাউকে ছোটো না করলেও চলে। মানুষ আজ সব বোঝে। কেন্দ্রীয় সরকার বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প নিয়ে এসেছে। ভালো প্রকল্প। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সারা দেশ জুড়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 650 কোটি টাকা খরচ করেছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত 7 বছরে 7 হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মেয়েকে অধিকার দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন। অনেক পরিবার আছে যাঁরা নিজেদের মেয়েদের বিয়ে দিতে পারেন না। দিদি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে এসেছে। গরমে স্কুলে যাতায়াতের জন্য দিদি সবুজ সাথির মতো প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এক কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায়। গত সাত বছরে রাজ্যে 42টি সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতাল তৈরি হয়েছে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এতগুলো হাসপাতাল হয়নি, কিন্তু আমাদের রাজ্যে হয়েছে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে 40 লাখ মানুষ ঘর বানানোর টাকা পেয়েছেন।"


বুলবুলচণ্ডীর সভা মঞ্চ থেকে BJP-কে আক্রমণ করেন দেব। তিনি বলেন, "আজকের রাজনীতি একদমই অন্যরকম। এক দল বলছে আপনারা যদি আমাদের ভোট দেন তবে রাম মন্দির হবে। আজকের রাজনীতি হয়েছে, আপনারা হিন্দু, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন। আপনারা মুসলিম, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন। আজকের রাজনীতি মহাকাশ থেকে সেনা পর্যন্ত পৌঁছেছে। গরীব মানুষদের কথা ভাবছে না। সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ আছে কি না কেউ ভাবছে না। কেউ ভাবছে না, কৃষকেরা ঠিক আছে কিনা। সবাই প্রচারে ব্যস্ত, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতেই ব্যস্ত। এই ধরণের রাজনীতি দেখিয়ে ব্রিটিশরা আমাদের উপর 200 বছরের বেশি রাজত্ব করে গেছে। আমরা সেই যুগে আবার ফিরে আসছি। ভোট দেওয়ার আগে আমায় যদি কেউ ভাবায় আমি হিন্দু না মুসলিম, তাহলে সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করা উচিত না। আজকের ছেলে আমি। আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে আমি ভারতবাসী, এর থেকে বড় ধর্ম হতে পারে না। দেশ এগোলে সবাই এগোবে। এই ধর্মের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে শক্ত করতে হবে। গত 7 বছরে দিদি অনেক কাজ করেছেন। অনেক কাজ এখনও বাকি আছে। 7 বছর আগে যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই সময় দিদির মাথায় দেনা ছিল 3 লাখ 50 হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর আমাদের সরকারকে 47 হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হয়। তারপরেও দিদি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে মানুষের জন্য উন্নয়ন করা যায়। গত পাঁচ বছরে সেনা জওয়ানরা সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছেন। গত ৫ বছরে কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি যুবক হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জঙ্গি হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে গত 5 বছরে সব বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান চলছে। কিন্তু পৃথিবীর 15টি দূষিত শহরের মধ্যে 14টি শহর ভারতবর্ষের। এখনও দেশজুড়ে 100 কোটি মানুষের জলের সমস্যা রয়েছে। দেশের 3 কোটি বাড়িতে এখনও ইলেকট্রিক পৌঁছয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাড়িতে ইলেকট্রিক পৌঁছে গেছে। আমরা নিজেদের ঢাক নিজেরা পেটাই না, এটাই আমাদের সমস্যা।"

মালদা, 17 এপ্রিল : উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মৌসম নুরের সমর্থনে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে আজ প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূল নেতা দেব।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

তিনি বলেন, "আজকের দিনে ভোটাররা অনেক বেশি বুদ্ধি রাখেন। তাঁদের আর বোকা বানানো যাবে না। আজকের নির্বাচন উন্নয়ন নিয়ে হোক, কোন দল কোন প্রার্থী আপনাদের জন্য কাজ করেছে তা নিয়ে হোক। নির্বাচন আর কাদা ছোড়াছুড়ি দিয়ে হবে না। 2014 সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার আমাকে সুযোগ দিয়েছিল, ঘাটাল থেকে মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি। আজ 2019। যে দল আপনাদের সঙ্গে ছিল, যে দল আপনাদের সঙ্গে আছে এবং যে দল আপনাদের সঙ্গেই থাকবে সেই দলের হাত শক্ত করতে অনুরোধ করছি। 2011 সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে। গত 7-8 বছরে মা-মাটি-মানুষের সরকারের কিছু উন্নয়নের কথা বলি। আগে গ্রাম বাংলায় কোনও মেয়ে জন্ম নিলে, লোকে ভাবত এই মেয়ের পড়াশোনার খরচ আসবে কোথা থেকে। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করল। 7 বছর পরে 60 লাখেরও বেশি মেয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এটা আমি বলছি না, সমস্ত তথ্য রয়েছে। টিভি খুললেই এখন চোখে পড়ে এক নেতা অপর নেতাকে ছোটো করতে ব্যস্ত। আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। মানুষের কাছে শুধু উন্নয়নের কথা বললেই যথেষ্ট। কাউকে ছোটো না করলেও চলে। মানুষ আজ সব বোঝে। কেন্দ্রীয় সরকার বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প নিয়ে এসেছে। ভালো প্রকল্প। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সারা দেশ জুড়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার 650 কোটি টাকা খরচ করেছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত 7 বছরে 7 হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মেয়েকে অধিকার দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন। অনেক পরিবার আছে যাঁরা নিজেদের মেয়েদের বিয়ে দিতে পারেন না। দিদি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রূপশ্রী প্রকল্প নিয়ে এসেছে। গরমে স্কুলে যাতায়াতের জন্য দিদি সবুজ সাথির মতো প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এক কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায়। গত সাত বছরে রাজ্যে 42টি সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতাল তৈরি হয়েছে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এতগুলো হাসপাতাল হয়নি, কিন্তু আমাদের রাজ্যে হয়েছে। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে 40 লাখ মানুষ ঘর বানানোর টাকা পেয়েছেন।"


বুলবুলচণ্ডীর সভা মঞ্চ থেকে BJP-কে আক্রমণ করেন দেব। তিনি বলেন, "আজকের রাজনীতি একদমই অন্যরকম। এক দল বলছে আপনারা যদি আমাদের ভোট দেন তবে রাম মন্দির হবে। আজকের রাজনীতি হয়েছে, আপনারা হিন্দু, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন। আপনারা মুসলিম, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন। আজকের রাজনীতি মহাকাশ থেকে সেনা পর্যন্ত পৌঁছেছে। গরীব মানুষদের কথা ভাবছে না। সাধারণ মানুষের মাথার উপর ছাদ আছে কি না কেউ ভাবছে না। কেউ ভাবছে না, কৃষকেরা ঠিক আছে কিনা। সবাই প্রচারে ব্যস্ত, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতেই ব্যস্ত। এই ধরণের রাজনীতি দেখিয়ে ব্রিটিশরা আমাদের উপর 200 বছরের বেশি রাজত্ব করে গেছে। আমরা সেই যুগে আবার ফিরে আসছি। ভোট দেওয়ার আগে আমায় যদি কেউ ভাবায় আমি হিন্দু না মুসলিম, তাহলে সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করা উচিত না। আজকের ছেলে আমি। আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে আমি ভারতবাসী, এর থেকে বড় ধর্ম হতে পারে না। দেশ এগোলে সবাই এগোবে। এই ধর্মের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে শক্ত করতে হবে। গত 7 বছরে দিদি অনেক কাজ করেছেন। অনেক কাজ এখনও বাকি আছে। 7 বছর আগে যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই সময় দিদির মাথায় দেনা ছিল 3 লাখ 50 হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর আমাদের সরকারকে 47 হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হয়। তারপরেও দিদি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে মানুষের জন্য উন্নয়ন করা যায়। গত পাঁচ বছরে সেনা জওয়ানরা সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছেন। গত ৫ বছরে কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি যুবক হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে জঙ্গি হয়েছে। সারা দেশ জুড়ে গত 5 বছরে সব বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান চলছে। কিন্তু পৃথিবীর 15টি দূষিত শহরের মধ্যে 14টি শহর ভারতবর্ষের। এখনও দেশজুড়ে 100 কোটি মানুষের জলের সমস্যা রয়েছে। দেশের 3 কোটি বাড়িতে এখনও ইলেকট্রিক পৌঁছয়নি। অথচ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাড়িতে ইলেকট্রিক পৌঁছে গেছে। আমরা নিজেদের ঢাক নিজেরা পেটাই না, এটাই আমাদের সমস্যা।"

Intro:মালদা, ১৭ এপ্রিলঃ পাঁচ বছরে অনেকটাই যেন পক্ত হয়েছেন তিনি৷ অভিনেতা দেব থেকে এখন তিনি যেন সাংসদ দীপক অধিকারী৷ উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মৌসম নূরের সমর্থনে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে আয়োজিত জনসভায় মিনিট দশেকের বক্তব্যে ছত্রে ছত্রে উঠে এল সাংসদ দেবের রাজনৈতিক পরিপক্কতা৷ তাঁর রাজনৈতিক নেত্রীর মতোই হাতে মাইক ধরে মঞ্চের এপাশ থেকে ওপাশ দাপিয়ে বেড়ালেন তিনি৷ গলা থেকে বেরিয়ে এল রাজনীতিতে সেনার আমদানি থেকে সমব্যথীর মতো বিষয়৷Body:কথা ছিল, বেলা ১২টায় বুলবুলচণ্ডীর গিরিজা সুন্দরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে সভা করবেন ঘাঁটালের সাংসদ৷ বৈশাখের চড়া রোদে বেলা ১২টায় সেই মাঠে হাতে গোনা কয়েকজন৷ ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকলেও তা হাজার তিনেকের বেশি হয়নি৷ হবিবপুরের মাটি এখন গেরুয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর জেলার রাজনৈতিক মহল আদিবাসী ও রাজবংশী অধ্যুষিত এই এলাকাকে সেভাবেই দেখছে৷ শেষ পর্যন্ত বেলা আড়াইটে নাগাদ মঞ্চে দেবের আবির্ভাব হতেই হুড়োহুড়ি মাত্রা ছাড়াল৷ সঙ্গে গায়ক নেতা ইন্দ্রনীল সেন থাকলেও মানুষের মুখে তখন দেব, দেব রব৷ উপস্থিত মানুষজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন এই নায়ক সাংসদ৷
দেব বলেন, "আজ যাঁরা মানুষ, আজ যাঁরা ভোটার তাঁরা অনেক বেশি বুদ্ধি রাখে৷ তাঁদের আর বোকা বানানো যাবে না৷ আজকের নির্বাচন উন্নয়ন নিয়ে হোক, কোন দল কোন প্রার্থী আপনাদের জন্য কাজ করেছে তা নিয়ে হোক৷ নির্বাচনে আর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি দিয়ে হবে না৷ ২০১৪ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার আমাকে সুযোগ দিয়েছিল, ঘাঁটাল থেকে মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি৷ আজ ২০১৯৷ আমি আপনাদের জোর করব না আমাদের প্রার্থীকে ভোট দেবেন৷ কিন্তু যে দল আপনাদের সঙ্গে ছিল, যে দল আপনাদের সঙ্গে আছে এবং যে দল আপনাদের সঙ্গে থাকবে সেই দলের হাত শক্ত করতে অনুরোধ করছি৷ ২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসে৷ গত ৭-৮ বছরের মা-মাটি-মানুষের সরকারের কিছু উন্নয়নের কথা বলি৷ আগে গ্রাম বাংলায় কোন মেয়ে জন্ম নিলে, লোকে ভাবত এই মেয়ের পড়াশোনার খরচ আসবে কোথা থেকে৷ আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করল৷ ৭ বছর পরে ৬০ লক্ষের বেশি মেয়েরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে৷ এটা আমি বলছি না, সমস্ত তথ্য রয়েছে৷ টিভি খুললেই এখন চোখে পড়ে এক নেতা অপর নেতাকে ছোটো করতে ব্যস্ত৷ আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না৷ মানুষের কাছে শুধু উন্নয়নের কথা বললেই যথেষ্ট৷ কাউকে ছোটো না করলেও চলে৷ মানুষ আজ সব বোঝে৷ কেন্দ্রীয় সরকার বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্প নিয়ে এসেছে৷ নিঃসন্দেহে ভালো প্রকল্প৷ কিন্তু গত পাঁচ বছরে সারা দেশ জুড়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৬৫০ কোটি টাকা খরচ করেছে৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ৭ বছরে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে৷ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মেয়ের অধিকার দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন৷ অনেক পরিবার আছে যাঁরা নিজেদের মেয়েদের বিয়ে দিতে পারেন না৷ দিদি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ রুপশ্রী প্রকল্প নিয়ে এসেছে৷ গরমে স্কুলে যাতায়াতের জন্য দিদি সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প নিয়ে এসেছে৷ এক কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায়৷ গত সাত বছরে রাজ্যে ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতাল তৈরি হয়েছে৷ সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এতগুলো হাসপাতাল হয়নি, কিন্তু আমাদের রাজ্য হয়েছে৷ গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ৪০ লক্ষ মানুষ ঘর বানানোর টাকা পেয়েছেন৷"
Conclusion:বুলবুলচণ্ডীর সভা মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেন সাংসদ দেব৷ তিনি বলেন, "আজকের রাজনীতি একদমই অন্যরকম৷ এক দল বলছে আপনারা যদি আমাদের ভোট দেব তবে রাম মন্দির হবে৷ আজকের রাজনীতি হয়েছে, আপনারা হিন্দু তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন৷ আপনারা মুসলিম, তবে আপনারা এই দলকে ভোট দিন৷ আজকে রাজনীতি হয়ে মহাকাশ থেকে সেনা পর্যন্ত পৌঁছেছে৷ গরীব মানুষদের কথা ভাবছে না৷ সাধারণ মানুষের মাথার ওপর ছাদ আছে কিনা কেউ ভাবছে না৷ কেউ ভাবছে না, কৃষকেরা ঠিক আছে কিনা৷ সবাই প্রচারে ব্যস্ত, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিতেই ব্যস্ত৷ এই ধরণের রাজনীতি দেখিয়ে ব্রিটিশরা আমাদের ওপর ২০০ বছরের বেশি রাজত্ব করে গিয়েছে৷ আমরা সেই যুগে আবার ফিরে আসছি৷ ভোট দেওয়ার আগে যদি কেউ হিন্দু না মুসলিম ভাবতে ব্যর্থ করে তবে সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করা যায় না৷ আজকের ছেলে আমি৷ আমার কাছে ধর্ম হচ্ছে আমি ভারতবাসী, এর থেকে বড়ো ধর্ম হতে পারে না৷ দেশ এগোলে সবাই এগোবে৷ এই ধর্মের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে শক্ত করতে হবে৷ গত ৭ বছরে দিদি অনেক কাজ করেছেন৷ অনেক কাজ এখনও বাকি আছে৷ ৭ বছর আগে যখন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই সময় দিদির মাথায় দেনা ছিল ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা৷ প্রতি বছর আমাদের সরকারকে ৪৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে হয়৷ তারপরেও দিদি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে মানুষের জন্য উন্নয়ন করা যায়৷ গত পাঁচ বছরে সেনার জওয়ানরা সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছেন৷ গত ৫ বছরে কাশ্মীরে সবচেয়ে বেশি যুবক হাতে অস্ত্র তুলে জঙ্গী হয়েছে৷ সারা দেশ জুড়ে গত ৫ বছরে সব বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান চলছে৷ কিন্তু পৃথিবীর ১৫টি দূষিত শহরের মধ্যে ১৪টি শহর ভারতবর্ষের৷ এখনও দেশজুড়ে ১০০ কোটি মানুষের জলের সমস্যা রয়েছে৷ দেশের ৩ কোটি বাড়িতে এখনও ইলেকট্রিক পৌঁছয়নি৷ অথচ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাড়িতে ইলেকট্রিক পৌঁছে গেছে৷ আমরা নিজেদের ঢাক নিজেরা পেটাই না, এটাই আমাদের সমস্যা৷"
Last Updated : Apr 17, 2019, 11:36 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

debmaldatmc
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.