মালদা, 21 মে : ফোনে বিধায়কের কাছে গ্রামে ঢোকার রাস্তা পাকা করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন । কোনও আশ্বাস তো দূরের কথা, বিধায়ক নাকি তাঁকে গালিগালাজ করেন । এর প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে পথ অবরোধ করেন বিধায়কেরই নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট প্রশান্ত মণ্ডল । গালিগালাজের জন্য বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি (TMC MLA allegedly tries to kill his Polling agent) ।
এতটা সাহস দেখানো বোধহয় ঠিক হয়নি তাঁর । ঘটনার 72 ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ওই তৃণমূল কর্মী । তাঁর অভিযোগ, বিধায়কই লোক মারফৎ তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছেন । একই অভিযোগ আক্রান্তের স্ত্রী'রও । এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করবেন বলে জানান আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী । ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বাণীকান্তটোলা গ্রামে ।
রতুয়ার নাককাট্টি ব্রিজ থেকে বাণীকান্তটোলা গ্রামে যাওয়ার প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তায় কখনও পিচ বা সিমেন্ট পড়েনি । সামান্য বৃষ্টি হলেই সেই রাস্তা জলকাদায় মাখামাখি হয়ে যায় । চরম সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা । বিশেষত কোনও রোগী কিংবা প্রসূতিদের হাসপাতাল নিয়ে যেতে গেলে তাঁদের সমস্যার শেষ থাকে না । গ্রামবাসীরা রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার জন্য একাধিকবার স্থানীয় দেবীপুর পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন । আবেদন জানিয়েছেন এলাকার বিধায়ককেও । কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি । শেষপর্যন্ত গ্রামবাসীদের কথায় এই আর্জি নিয়ে বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন তাঁরই বুথ পোলিং এজেন্ট প্রশান্ত মণ্ডল ।
তাঁর দাবি, রাস্তা পাকা করার আশ্বাস দেওয়া তো দূরের কথা, সমরবাবু তাঁকে চিনতেই অস্বীকার করেন । নিজের পরিচয় দিলে বিধায়ক তাঁকে গালিগালাজ করেন । এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁকে খুন করার হুমকিও দেন । তিনি গোটা ঘটনা গ্রামবাসীদের জানালে বাণীকান্তটোলা গ্রামের মানুষ বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন । এমন আচরণের জন্য বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি তুলে গত বুধবারই তাঁরা দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ডে রতুয়া-ভালুকা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন । একই সঙ্গে দাবি করেন, তাঁদের গ্রামের রাস্তা দ্রুত পাকা করে দিতে হবে ।
আরও পড়ুন : 100 দিনের কাজে দুর্নীতিতে তিন সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত মালদার জেলাশাসকের
সেদিন পুলিশের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসীরা । তবে সমরবাবুর এমন ভাষা প্রয়োগের সমালোচনা করেন বিরোধীরা । সমালোচনা করেন খোদ ব্লক তৃণমূল সভাপতিও । সেই ঘটনার 72 ঘণ্টার মধ্যেই বুথ পোলিং এজেন্ট প্রশান্ত মণ্ডলের উপর হামলার ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ।