মালদা, 28 ডিসেম্বর: সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ উঠল (Govt Land Acquisition In malda) খোদ শাসকদলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়কের বিরুদ্ধে। হাটের জায়গার বেশ কিছু অংশ তিনি পাঁচিল তুলে ঘিরে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে পথে নেমেছেন এলাকার মানুষজন। পথ অবরোধ করে তাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বিধায়কের ছেলে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি, ওই জায়গা তাঁর পুত্রবধূর নামে রেকর্ড রয়েছে। তবে তিনিও বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি নন। সব মিলিয়ে তীব্র আলোড়ন পড়েছে রতুয়ায়।
রতুয়া থেকে বিহারগামী মহানন্দটোলা যাওয়ার রাস্তায় রতুয়া হাই মাদ্রাসার সামনেই রয়েছে হাট। ৩০ শতক জায়গায় এই হাট নাকি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। এখন সেখানে দৈনিক বাজারও বসে। অভিযোগ, সেই হাটেরই নয় শতক অংশ ঘেরার কাজ শুরু করেন মালতীপুরের তৃণমূল বিধায়ক-জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির ছেলে বাবু বক্সি। এর প্রতিবাদে প্রশাসনের সব মহলে অভিযোগ জানান স্থানীয়রা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিবাদে রতুয়া-মহানন্দটোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: দশ বছরের পুরোনো মামলায় গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা
এই বিষয়ে রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলেরই প্রাক্তন প্রধান শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরি বলেন, "আমাদের জেলা সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সির নির্দেশে তাঁর ছেলে বাবু বক্সি এই হাটে অন্যায়ভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছিল। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমেছি। অন্তত 80 বছর ধরে এই হাট চলছে। এখন সেখানে দৈনিক বাজারও বসে। রতুয়া থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। " তাঁর অভিযোগ, থানার আইসি জানিয়েছেন, জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তিনি কিছু করতে পারবেন না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেভাবে আবদুর রহিম বক্সি হাটের জমি দখল করার চেষ্টা করছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয়ে বাবু বক্সিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। একই বক্তব্য আবদুর রহিম বক্সির। তিনি বলেন, " ওই জায়গা আমার পুত্রবধূর নামে রেকর্ড রয়েছে। তাই এখানে দখলের কোনও প্রশ্নই নেই। "