মালদা, 24 জুলাই: সশস্ত্র ডাকাতি চক্রে ধরা পড়ল এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতার ছেলে ৷ জানা গিয়েছে এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ৷ এলাকায় সে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবেই পরিচিত (TMC Leader Son Among Armed Criminals Who Were Arrested) ৷
গোপন সূত্রে মানিকচক থানার পুলিশ শনিবার গভীর রাতে জানতে পারে, ডাকাতি করার জন্য বালুটোলার একটি আমবাগানে জড়ো হয়েছে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ৷ তাদের প্রত্যেকেরই হাতে রয়েছে ধারালো অস্ত্র ৷ আইসি পার্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে গভীর রাতে সেই বাগানে হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেখান থেকে বেশিরভাগ দুষ্কৃতী পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় তিনজন।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার অর্পিতা, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার উচ্চশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসি’র নথি
তাদের নাম মহম্মদ কর্নেল আনোয়ার, নুর হোসেন এবং কাশেম আলি। সবার বাড়ি গোপালপুরের জিসারাটোলা এলাকায়। তাদের থেকে একটি একনলা বন্দুক, একটি মাস্কেট, চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি ধারালো হাঁসুয়া বাজেয়াপ্ত করে। পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতদের রবিবার জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত তাদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷
ধৃত কর্নেল আনোয়ার তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সইফুদ্দিন শেখের ছেলে। সইফুদ্দিন এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কর্নেলের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। দিন চারেক আগে বালুটোলায় বিস্ফোরণের ঘটনাতেও তার নামে মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিমেন্টের বস্তাবোঝাই গাড়ি থেকে উদ্ধার 348 কেজি গাঁজা, ধৃত 1
এ নিয়ে বিজেপির জেলা নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, যে দলের মহাসচিব তথা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চুরির দায়ে গ্রেফতার হন, সেই দলের এমন ছোটখাটো দুষ্কৃতীর গ্রেফতারিতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এমন ঘটনা আরও ঘটবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সইফুদ্দিন শেখ তাঁদের দলের নেতা হলেও তাঁর ছেলের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।