মালদা, 9 নভেম্বর : ভোটের আগে ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ৷ এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ জমি বিবাদের জেরে এক ব্যবসায়ীর বাড়ির পাঁচিল ভাঙা ও বাড়ির লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে ৷ আরও অভিযোগ, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে পুলিশ ও পঞ্চায়েত প্রশাসন ৷ এই বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী ৷
জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের থানাপাড়ার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী পবন কেডিয়ার বিরুদ্ধে শাসকদলের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েতের জায়গা দখল করে পাঁচিল দিয়েছেন ৷ 5 নভেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েত প্রধান পবনবাবুকে এনিয়ে একটি নোটিস দেন ৷ সেখানে প্রধান জানান, আগামী তিনদিনের মধ্যে পবনবাবুকে ওই পাঁচিল ভেঙে ফেলতে হবে ৷ তা না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ পবনবাবুর দাবি, আজ তাঁর নোটিসের উত্তর দেওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, তার আগেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতির নেতৃত্বে পবনবাবুর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ বাধা দেওয়ায় তাঁর স্ত্রী, মা ও বাবাকেও মারধর করা হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীর পরিবারের ৷ তাঁদের স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
পবনবাবু বলেন, “তৃণমূল নেতা দুর্জয় দাস আমার অফিসে এসে বলে, তার কাছে পঞ্চায়েতের অর্ডার রয়েছে ৷ সে আমাদের বাড়ির পাঁচিল ভাঙবে ৷ সোমবার প্রধানের নোটিসের জবাব দেওয়ার কথা ছিল আমার ৷ কিন্তু, তার আগেই আজ 50-60 জন আমার বাড়িতে ঢুকে পাঁচিল ভেঙে দেয় ৷ সেই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না ৷ ওরা আমার মা-বাবা ও স্ত্রী-কে মারধর করেছে ৷"
জেলা BJP-র সাধারণ সম্পাদক কিষান কেডিয়া এ প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, "হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল যেসব কাজকর্ম করছে, তা লজ্জাজনক ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC-র দাবি, এক্ষেত্রে তাঁর কিছুই করার নেই ৷ পাঁচিল ভাঙার জন্য BDO ও পঞ্চায়েতের অর্ডার রয়েছে ৷ নবান্নেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে ৷
যদিও এ বিষয়ে দুর্জয় দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷ তবে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার সাফ জানিয়েছেন, "ওই নেতাকে তৃণমূলে কেউ পদ দেয়নি ৷ তিনি নিজেই নিজেকে নেতা বলে দাবি করেন ৷ তাঁকে দল কোনও স্বীকৃতি দেয়নি ৷ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি যদি তাঁকে মনোনীত করে থাকেন এবং যদি তিনি দল বিরোধী কাজ করে থাকেন তবে আমরা প্রশাসনকে বলব, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ৷"