মালদা, 6 ডিসেম্বর: সাড়ে 3 বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছিল গ্রামেরই এক কিশোর (Child Raped in Malda)। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই কিশোরকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত কিশোর জুভেনাইল হোমে রয়েছে। কিন্তু তারপরেই শুরু হয় হুমকি। ধৃতের বাবা এলাকার তৃণমূল নেতা। ঘটনার পর থেকেই তিনি নাকি ধর্ষিতা শিশুর অভিভাবকদের অভিযোগ তুলে নেওয়ার (Tmc leader accused to threatening for withdraw rape case in malda) জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ না তোলায় তিনি নিগৃহীতার পরিবারকে খুনের হুমকিও দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই শিশুর পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোল থানা এলাকার একটি গ্রামে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গাজোল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 23 অক্টোবর চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই শিশুকে নিভৃতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে গ্রামেরই 17 বছরের কিশোর। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়ি ফিরে এলে তার অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পারেন। জেরায় শিশুটি তার বাবা-মাকে গোটা ঘটনা জানায়। এরপরেই শিশুর বাবা গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তাকে জুভেনাইল হোমে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। শিশুর অভিভাবকদের থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন অভিযুক্তের বাবা। যদিও ওই নেতার চাপে মাথা নোয়াননি ধর্ষিতা শিশুর বাবা-মা।
আরও পড়ুন: সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেফতার পঞ্চায়েত প্রধান, শুরু রাজনৈতিক তরজা
নাবালিকার বাবা বলেন, "মেয়ের সঙ্গে যা হওয়ার হয়েছে। সেই ঘটনায় আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু তারপর থেকেই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ছেলেটির বাবা আর তার লোকজন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ না তুললে আমাদের খুন করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। বাড়ি থেকে বেরোতে পারছি না। এমনকি রাস্তাও ব্যবহার করতে দেবে না বলে শাসাচ্ছে।" ঘটনাটি জানতে পেরেই গাজোল থানাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। তদন্ত সাপেক্ষে সবরকম পুলিশি পদক্ষেপ করা হবে।