মালদা, 5 অগাস্ট : এক বেসরকারি আবাসিক স্কুলের হস্টেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল 34 জন ছাত্রছাত্রী ৷ ঘটনাটি কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের বালুয়াচড়া গ্রামের ৷ অসুস্থ পড়ুয়াদের প্রথমে ভরতি করা হয় স্থানীয় বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের মধ্যে বেশিরভাগকে ছেড়ে দেওয়া হলেও দু'জনকে সেখান থেকে রেফার করা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ খবর পেয়ে অসুস্থ পড়ুয়াদের দেখতে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে যান স্থানীয় বিধায়কও ৷ যদিও এই মুহূর্তে অসুস্থরা সবাই ভালো রয়েছে বলে জানা গেছে ৷ গোটা ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷
কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের বালুয়াচড়া গ্রামে রয়েছে একটি আবাসিক বেসরকারি স্কুল ৷ জানা গেছে, ওই স্কুলের হস্টেলে থাকে 57 জন ছাত্রছাত্রী ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষই হস্টেলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা তৈরি করে ৷ অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালেও হস্টেলের আবাসিকদের দেওয়া হয়েছিল চা-বিস্কুট ৷ সকালে তা খায় পড়ুয়ারা ৷ এরপর সকাল 10টা নাগাদ ভাত খেতে যাওয়ার সময় তাদের কয়েকজনের পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ সঙ্গে বমি ও পায়খানাও শুরু হয়ে যায় ৷ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একই উপসর্গ দেখা যায় 34 জন আবাসিকের ৷ বিষয়টি জানতে পেরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ অসুস্থ সব পড়ুয়াকে স্থানীয় বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ তার মধ্যে দু'জনের উপসর্গ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে তাদের মালদা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷
এবিষয়ে এক অভিভাবক আলিম শেখ বলেন, "আমার ছেলে এই স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে ৷ আজ সকালে চা-বিস্কুট খায় ৷ পরে স্নান সেরে ভাত খেতে যাওয়ার সময় তার পেটে ব্যথা শুরু হয় ৷ শুধু ছেলের নয়, একইভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে হস্টেলের আরও অনেকে ৷ সঙ্গে সঙ্গে 22 জনকে বাঙ্গিটোলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ হস্টেলের খাবার খেয়ে ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা আতঙ্কিত ৷ পড়ুয়াদের দেওয়া খাবারের মান স্কুল কর্তৃপক্ষের পরীক্ষা করা উচিত ৷ আমরা চাই, গোটা ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত তদন্ত করুক ৷ খাবারের বিষক্রিয়াতেই এমন ঘটনা ঘটেছে কি না তাও পরীক্ষা করা হোক৷"
এদিকে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে দুপুরে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে যান মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ৷ তিনি বলেন, "আজ সকালে ওই আবাসিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা চা-বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ মোট 34 জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ চিকিৎসায় তারা সবাই সুস্থ রয়েছে ৷ তবুও দু'জনের উপসর্গ কিছুটা বেশি থাকায় পরিবারের সন্তুষ্টির জন্য তাদের মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ এই মুহূর্তে পড়ুয়ারা সবাই সুস্থ রয়েছে ৷ কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা স্কুল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে ৷" তবে এই ঘটনা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি ৷