মালদা, 23 মে : করোনাকালে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চলছে ব্যবসা ৷ আজ সেই ছবি ধরা পড়েছে চাঁচল থানার সামসি সংলগ্ন কাণ্ডারণ এলাকায় ৷ লকডাউন পরিদর্শনে বেরিয়ে সেই ছবি ধরা পড়েছে খোদ মহকুমাশাসকের চোখে ৷ তেলের কারখানায় ভেজাল সরষের তেল তৈরি করা হচ্ছে ৷
লকডাউন কেমন চলছে তা দেখতে জেলার সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (3) জয়ন্ত বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ৷ দুপুর নাগাদ তিনি ঢোকেন কাণ্ডারণ এলাকায় ৷ তাঁর নজরে পড়ে, লকডাউনের মধ্যেও একটি তেলের কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা ৷ তিনি স্বাস্থ্যকর্তাকে নিয়ে সেই কারখানায় ঢোকেন ৷ যা দেখে চোখ কপালে ওঠে মহকুমাশাসকের ৷ সেখানে তখন তৈরি হচ্ছিল ভেজাল সরষের তেল ৷
উত্তর দিনাজরপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে আসা সাধারণ পাম তেলের সঙ্গে বিভিন্ন রাসায়নিক, রং ও এসেন্স মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভোজ্য তেল ৷ অবিকল সরষের তেলের মতো দেখতে ৷ তার রং ও গন্ধও সরষের তেলের মতোই ৷ সেই তেল টিনে ঢেলে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির লেবেল লাগানো হচ্ছিল ৷ সঙ্গে সঙ্গে চাঁচল থানায় খবর দেন মহকুমাশাসক ৷ ছুটে আসে পুলিশ ৷ কারখানায় কাজ করা পাঁচ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে ৷ তবে, এই সবের মধ্যেই পালিয়ে যান কারখানার মালিক সঞ্জয় সাহা ৷
আরও পড়ুন : ক্যানিংয়ে ভেজাল সর্ষের তেলের কারখানার হদিশ
জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়, বছর দু’য়েক আগেও এই কারখানায় ভেজাল তেল তৈরির কারবার হাতেনাতে ধরেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা ৷ সেবারও কয়েকজন শ্রমিককে আটক করা হয়েছিল ৷ তারপরেও কীভাবে কারখানার মালিক এভাবে ভেজাল তেলের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এই চক্রে প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ জড়িত রয়েছে ৷ সেই কারণেই এর আগে ধরা পড়েও ফের মানুষের জীবন নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সঞ্জয় সাহা ৷