ETV Bharat / state

পৌরপ্রধানদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিল রাজ্য সরকার

author img

By

Published : Nov 16, 2019, 1:41 PM IST

Updated : Nov 16, 2019, 3:24 PM IST

রাজ্যের পৌরসভাগুলির চেয়ারম্যানের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিল রাজ্য সরকার । সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার সরকারি আধিকারিকদের। এটা কি পৌরসভাগুলিতে প্রশাসক নিয়োগের প্রথম ধাপ? উঠছে প্রশ্ন।

ইংরেজ বাজার

মালদা, 16 নভেম্বর : রাজ্যের পৌরসভাগুলির চেয়ারম্যান, তাঁদের অবর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যানদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিল রাজ্য সরকার ৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার সরকারি আধিকারিকদের ৷ রাজ্য সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে 13 নভেম্বর সম্মতি দেন রাজ্যপাল ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এহেন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ যা গণতন্ত্র বিরোধী ৷ যদিও এমন কোনও নির্দেশিকা তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷

রাজ্যপালের সম্মতির পর এই নির্দেশিকা জারি করেন আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার দপ্তরের যুগ্ম সচিব ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর থেকে পৌরসভাগুলির এগজ়িকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসার যুগ্মভাবে কোনও চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন ৷ কোনও কারণে পৌরসভায় পূর্ণ সময়ের ফিনান্স অফিসার না থাকলে সহকারী ট্রেজ়ারি অফিসার সেই দায়িত্ব পালন করবেন ৷ পৌরসভাগুলির বিভিন্ন প্রকল্প সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷

এই নির্দেশিকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে ৷ মালদা জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে ৷ রাজ্য সরকার বুঝতে পেরেছে, 2020 সালে বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে ৷ রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভাতেই তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে ৷ এই কারণে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সঠিক সময়ে যাতে পৌর নির্বাচন না হয় তার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে ৷ এই সিদ্ধান্ত পৌরসভাগুলিতে প্রশাসক নিয়োগের প্রথম ধাপ ৷"

তিনি আরও বলেন, " যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে জিতে পৌরপ্রধান ও উপ পৌরপ্রধান হয়েছেন, তাঁরা এখন থেকে চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন না ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ম বহির্ভূত ও অগণতান্ত্রিক ৷ এই নির্দেশিকা লাগু করে আগামী দিনে পৌরসভার দায়িত্ব ও ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হল ৷ রাজ্যের শাসকদল বুঝে ফেলেছে, রাজ্যের 128টি পৌরসভাতেই তাদের ভরাডুবি হবে ৷ প্রতিটি জায়গায় BJP-র জয়জয়কার হবে ৷ এই ভয়ে ভীত হয়েই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে ৷ তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে কি না তা রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে ৷”

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য...

এদিকে CPI(M) এর মালদা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাস বলেন, “এই নির্দেশিকার কথা আমিও শুনেছি ৷ এমন নির্দেশিকা রাজ্য সরকার লাগু করলে তা নির্বাচিত স্বায়ত্তশাসিত বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা ৷ এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর চরম আঘাত ৷ এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের দিকেই যাচ্ছে ৷ রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও সেগুলিতে রাজ্য সরকার নির্বাচন করেনি ৷ 2020 সালের মে মাসে রাজ্যের আরও কিছু পৌরসভার সঙ্গে এই জেলার দুটি পৌরসভার মেয়াদও শেষ হচ্ছে ৷ তার আগে এমন নির্দেশিকা আসায় আমার মনে হয় সেই নির্বাচন না করে সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভার ক্ষমতা দখল করবে ৷”

মালদার ইংরেজ বাজার পৌরসভা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে । বর্তমানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইংরেজবাজার বিধানসভার বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এব্যাপারে কোনও খবর নেই৷ রাজ্য সরকারের এমন কোনও নির্দেশিকা পেলে আমরা সেটাকে সম্মান জানাব ৷ আমি গতকাল রাতেও কর্মীদের বেতনের চেকে স্বাক্ষর করেছি৷ এর সঙ্গে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগেরও কোনও বিষয় নেই ৷ "

তিনি আরও বলেন , "আমার মনে আছে, এনিয়ে বিধানসভায় একটি বিল পাশ হয়েছিল ৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেহেতু চেয়ারম্যানের পদটি রাজনৈতিক, তাই অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের অবর্তমানে কর্মীদের বেতন সহ পৌরসভাকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় ৷ সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী পৌরসভাগুলির সরকারি আধিকারিকদের চেকে স্বাক্ষর করার অধিকার দেওয়ার কথা তুলেছিলেন ৷ কিন্তু বিধানসভায় সেই বিল পাশ হলেও এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি ৷ "

এদিকে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে মালদা জেলা কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ ফোন ধরেননি দলের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম ৷

মালদা, 16 নভেম্বর : রাজ্যের পৌরসভাগুলির চেয়ারম্যান, তাঁদের অবর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যানদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিল রাজ্য সরকার ৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার সরকারি আধিকারিকদের ৷ রাজ্য সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে 13 নভেম্বর সম্মতি দেন রাজ্যপাল ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে ৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এহেন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ যা গণতন্ত্র বিরোধী ৷ যদিও এমন কোনও নির্দেশিকা তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷

রাজ্যপালের সম্মতির পর এই নির্দেশিকা জারি করেন আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার দপ্তরের যুগ্ম সচিব ৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর থেকে পৌরসভাগুলির এগজ়িকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসার যুগ্মভাবে কোনও চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন ৷ কোনও কারণে পৌরসভায় পূর্ণ সময়ের ফিনান্স অফিসার না থাকলে সহকারী ট্রেজ়ারি অফিসার সেই দায়িত্ব পালন করবেন ৷ পৌরসভাগুলির বিভিন্ন প্রকল্প সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে ৷

এই নির্দেশিকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে ৷ মালদা জেলা BJP সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে ৷ রাজ্য সরকার বুঝতে পেরেছে, 2020 সালে বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে ৷ রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভাতেই তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে ৷ এই কারণে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সঠিক সময়ে যাতে পৌর নির্বাচন না হয় তার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে ৷ এই সিদ্ধান্ত পৌরসভাগুলিতে প্রশাসক নিয়োগের প্রথম ধাপ ৷"

তিনি আরও বলেন, " যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষের ভোটে জিতে পৌরপ্রধান ও উপ পৌরপ্রধান হয়েছেন, তাঁরা এখন থেকে চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন না ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ম বহির্ভূত ও অগণতান্ত্রিক ৷ এই নির্দেশিকা লাগু করে আগামী দিনে পৌরসভার দায়িত্ব ও ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হল ৷ রাজ্যের শাসকদল বুঝে ফেলেছে, রাজ্যের 128টি পৌরসভাতেই তাদের ভরাডুবি হবে ৷ প্রতিটি জায়গায় BJP-র জয়জয়কার হবে ৷ এই ভয়ে ভীত হয়েই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে ৷ তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে কি না তা রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে ৷”

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য...

এদিকে CPI(M) এর মালদা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাস বলেন, “এই নির্দেশিকার কথা আমিও শুনেছি ৷ এমন নির্দেশিকা রাজ্য সরকার লাগু করলে তা নির্বাচিত স্বায়ত্তশাসিত বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা ৷ এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর চরম আঘাত ৷ এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের দিকেই যাচ্ছে ৷ রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও সেগুলিতে রাজ্য সরকার নির্বাচন করেনি ৷ 2020 সালের মে মাসে রাজ্যের আরও কিছু পৌরসভার সঙ্গে এই জেলার দুটি পৌরসভার মেয়াদও শেষ হচ্ছে ৷ তার আগে এমন নির্দেশিকা আসায় আমার মনে হয় সেই নির্বাচন না করে সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভার ক্ষমতা দখল করবে ৷”

মালদার ইংরেজ বাজার পৌরসভা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে । বর্তমানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইংরেজবাজার বিধানসভার বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এব্যাপারে কোনও খবর নেই৷ রাজ্য সরকারের এমন কোনও নির্দেশিকা পেলে আমরা সেটাকে সম্মান জানাব ৷ আমি গতকাল রাতেও কর্মীদের বেতনের চেকে স্বাক্ষর করেছি৷ এর সঙ্গে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগেরও কোনও বিষয় নেই ৷ "

তিনি আরও বলেন , "আমার মনে আছে, এনিয়ে বিধানসভায় একটি বিল পাশ হয়েছিল ৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেহেতু চেয়ারম্যানের পদটি রাজনৈতিক, তাই অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের অবর্তমানে কর্মীদের বেতন সহ পৌরসভাকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় ৷ সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী পৌরসভাগুলির সরকারি আধিকারিকদের চেকে স্বাক্ষর করার অধিকার দেওয়ার কথা তুলেছিলেন ৷ কিন্তু বিধানসভায় সেই বিল পাশ হলেও এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি ৷ "

এদিকে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে মালদা জেলা কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ ফোন ধরেননি দলের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম ৷

Intro:মালদা, ১৫ নভেম্বর : রাজ্যের পৌরসভাগুলির চেয়ারম্যান, তাঁদের অবর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যানদের আর্থিক ক্ষমতা কেড়ে নিল রাজ্য সরকার৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে সেই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে পৌরসভার সরকারি আধিকারিকদের৷ রাজ্য সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে গত ১৩ নভেম্বর এই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যপাল৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ বিরোধীদের বক্তব্য, এহেন নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার৷ যা গণতন্ত্র বিরোধী৷ যদিও এমন কোনও নির্দেশিকা তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান৷


Body: গত ১৩ নভেম্বর রাজ্যপালের নির্দেশে এই নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেছেন আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার দপ্তরের যুগ্ম সচিব৷ সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৯ নভেম্বর থেকে পৌরসভাগুলির এগজিকিউটিভ অফিসার এবং ফিনান্স অফিসার যুগ্মভাবে কোনও চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন৷ কোনও কারণে পৌরসভায় পূর্ণ সময়ের ফিনান্স অফিসার না থাকলে সহকারী ট্রেজারি অফিসার সেই দায়িত্ব পালন করবেন৷ পৌরসভাগুলির বিভিন্ন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷
         এই নির্দেশিকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে৷ মালদা জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল আজ বলেন, “গোটা বিষয়টিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে৷ রাজ্য সরকার বুঝতে পেরেছে, ২০২০ সালে বিভিন্ন পৌরসভার নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে৷ রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভাতেই তাদের নিজেদের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে৷ এই কারণে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সঠিক সময়ে যাতে পৌর নির্বাচন না হয় তার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে৷ এই সিদ্ধান্ত পৌরসভাগুলিতে প্রশাসক নিয়োগের প্রথম ধাপ৷ যারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জিতে পৌরপ্রধান ও উপ পৌরপ্রধান হয়েছেন, তাঁরা এখন থেকে চেকে স্বাক্ষর করতে পারবেন না৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ম বহির্ভূত ও অগণতান্ত্রিক৷ এই নির্দেশিকা লাগু করে আগামী দিনে পৌরসভার দায়িত্ব ও ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হল৷ রাজ্যের শাসকদল বুঝে ফেলেছে, রাজ্যের ১২৮টি পৌরসভাতেই তাদের ভরাডুবি হবে৷ প্রতিটি জায়গায় বিজেপির জয়জয়কার হবে৷ এই ভয়ে ভীত হয়েই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে কিনা তা রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷”
         সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রণব দাস বলেন, “এই নির্দেশিকার কথা আমিও শুনেছি৷ এমন নির্দেশিকা রাজ্য সরকার লাগু করলে তা নির্বাচিত স্বায়ত্তশাসিত বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা৷ এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর চরম আঘাত৷ এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্য সরকার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের দিকেই যাচ্ছে৷ রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও সেগুলিতে রাজ্য সরকার নির্বাচন করেনি৷ ২০২০ সালের মে মাসে রাজ্যের আরও কিছু পৌরসভার সঙ্গে এই জেলার দুটি পৌরসভার মেয়াদও শেষ হচ্ছে৷ তার আগে এমন নির্দেশিকা বেরোলে আমার মনে হয় সেই নির্বাচন না করে সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভার ক্ষমতা দখল করবে৷”


Conclusion: এনিয়ে জেলা কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ ফোন ধরেননি দলের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম৷ তবে এমন কোনও নির্দেশিকা জারির কথা তাঁর জানা নেই বলে দাবি করেছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ৷ তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এব্যাপারে কোনও খবর নেই৷ এমন কোনও নির্দেশিকা পেলে আমরা সেটাকে সম্মান জানাব৷ আমি গতকাল রাতেও কর্মীদের বেতনের চেকে স্বাক্ষর করেছি৷ এর সঙ্গে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগেরও কোনও বিষয় নেই৷ আমার মনে আছে, এনিয়ে বিধানসভায় একটি বিল পাস হয়েছিল৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেহেতু চেয়ারম্যানের পদটি রাজনৈতিক, তাই অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের অবর্তমানে কর্মীদের বেতন সহ পৌরসভাকে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী পৌরসভাগুলির সরকারি আধিকারিকদের চেকে স্বাক্ষর করার অধিকার দেওয়ার কথা তুলেছিলেন৷ কিন্তু বিধানসভায় সেই বিল পাস হলেও এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা এখনও আমাদের কাছে আসেনি৷”
Last Updated : Nov 16, 2019, 3:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.