মালদা, 10 অক্টোবর : নিজেদের স্থায়ীকরণের দাবিতে এবার অনশনে বসলেন মালদা কলেজের ক্যাজ়ুয়াল কর্মীরা ৷ নিজেদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷ যে সময় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, সেই সময় শিক্ষাকর্মীদের এই আন্দোলন কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিকে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।
মালদা জেলার কলেজগুলিতে প্রায় 110 জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন ৷ তার মধ্যে মালদা কলেজেই রয়েছেন 54 জন কর্মী ৷ গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা 6 হাজারের বেশি ৷ এই অস্থায়ী কর্মীরা নিজেদের স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন । অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, একাধিকবার আবেদন, আন্দোলনের পরেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের স্থায়ীকরণ করা হয়নি ৷ সরকারের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও অস্থায়ী কর্মী বছরে 240 দিন কাজ করলে তাঁকে স্থায়ীকরণ করা যেতে পারে ৷ অন্য সব দপ্তরে এই নির্দেশিকা মেনে চলা হলেও শুধুমাত্র শিক্ষা দপ্তরে এই নির্দেশিকা চালু করা হয়নি ৷ এনিয়ে শিক্ষাকর্মীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন ৷ তারপরও কোনও ফল মেলেনি । বাধ্য হয়ে তাঁরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।
পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজ়ুয়াল এমপ্লয়িজ় সমিতির রাজ্য সভাপতি মেহবুব এলাহি বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের কলেজগুলিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারী ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি আমাদের স্থায়ীকরণ করা হোক ৷ কিন্তু সরকার উদাসীন । আমাদের এখনও স্থায়ীকরণ হয়নি ৷ আমাদের কেউ 2 হাজার টাকা, কেউ 6 হাজার আবার কেউ 8 হাজার টাকায় কলেজগুলোতে কাজ করে যাচ্ছি । আমাদের কেউ 8 বছর আবার কেউ 10 বছর এভাবেই কাজ করছি । কলেজগুলোর শিক্ষাকর্মীদের দিয়েই পরিচালিত হয় । কিন্তু সরকার আমাদের নিয়ে উদাসীন । আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে একাধিকবার জানিয়েছি ৷ কিন্তু ফল মেলেনি ৷ বাধ্য হয়ে আমরা এই অনশন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছি । আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে । আমরা চাইছি সরকারী স্বীকৃতি, আমরা চাইছি 60 বছর পর্যন্ত চাকরির সুনিশ্চিতিকরণ ৷ রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আমাদের এই অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে । বর্ধমানে চারদিন ধরে এই অনশন কর্মসূচি চলছে ৷ এক অস্থায়ীকর্মীর চার বছরের ছোট্ট শিশুও ওই অনশন মঞ্চে আছে ৷ এই হচ্ছে আমাদের মানবিক সরকার ! আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব ৷ আমাদের এই কর্মসূচি লোক দেখানো হয়, আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার ৷”