ETV Bharat / state

মালদায় পাঁচজনকে গণপিটুনি, পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটায় চোর সন্দেহে চারজনকে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে গেলে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় ৷ অন্যদিকে, দুষ্কৃতী সন্দেহে ক্লাস ইলেভেনের এক ছাত্রকেও মারধর করেন স্থানীয়রা ৷

আক্রান্তদের উদ্ধার করেছে পুলিশ
author img

By

Published : Sep 19, 2019, 6:30 PM IST

Updated : Sep 19, 2019, 7:40 PM IST

মালদা, 19 সেপ্টেম্বর : মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ইংরেজবাজারে ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে গণধোলাই ৷ অভিযোগ, আক্রান্তদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে RAF ৷

আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকায় ভিনরাজ্য থেকে চার ব্যক্তি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ ও তাবিজ বিক্রি করতে আসেন ৷ ওই চারজন ছেলে পাচার করতে এসেছে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় ৷ নিমেষের মধ্যেই তা এলাকায় চাউর হয়ে যায় ৷ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চারজনকে বিবস্ত্র করে মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয়রা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । ওই চারজনকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস জানান, "বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়েছে ৷ তবে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে ৷ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ৷ "

শুনুন পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য

অন্যদিকে, দুষ্কৃতী সন্দেহে ক্লাস ইলেভেনের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই ছাত্রর নাম অভিজিৎ বাঁশফোড় ৷ সে ইংরেজবাজারের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা ৷ অভিজিৎ বলে, "গতকাল রাতে বন্ধুদের নিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে গেছিলাম ৷ থানার কাছে একটি পেট্রল পাম্পে বাইকে পেট্রল ভরে বেরোনোর সময় দেখি রাস্তায় একটা জটলা ৷ বাইক থামিয়ে সেখানে যেতেই তাদের সন্দেহ হয় ৷ তাদের বক্তব্য, আমি এলাকায় ঝামেলা করতে এসেছি ৷ লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে ৷ পালাতে গেলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ৷ পিঠে টিউবলাইটও ফাটানো হয় ৷ খবর পেয়ে বাবা-মা ঘটনাস্থানে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন ৷ আজ সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ "

আরও পড়ুন : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান পড়ুয়াদের

গণপিটুনি রুখতে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সচেতনতা শিবিরের পাশাপাশি মাইকেও প্রচার করা হচ্ছে ৷ তবে তারপরও চলছে গণধোলাইয়ের ঘটনা ৷ জেলায় জোড়া গণপিটুনির ঘটনায় কপালে ভাঁজ পুলিশ-প্রশাসনের ৷

মালদা, 19 সেপ্টেম্বর : মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ও ইংরেজবাজারে ছেলেধরা সন্দেহে পাঁচজনকে গণধোলাই ৷ অভিযোগ, আক্রান্তদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে RAF ৷

আজ সকালে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকায় ভিনরাজ্য থেকে চার ব্যক্তি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ ও তাবিজ বিক্রি করতে আসেন ৷ ওই চারজন ছেলে পাচার করতে এসেছে বলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় ৷ নিমেষের মধ্যেই তা এলাকায় চাউর হয়ে যায় ৷ এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চারজনকে বিবস্ত্র করে মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয়রা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । ওই চারজনকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস জানান, "বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়েছে ৷ তবে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে ৷ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ৷ "

শুনুন পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য

অন্যদিকে, দুষ্কৃতী সন্দেহে ক্লাস ইলেভেনের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই ছাত্রর নাম অভিজিৎ বাঁশফোড় ৷ সে ইংরেজবাজারের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা ৷ অভিজিৎ বলে, "গতকাল রাতে বন্ধুদের নিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে গেছিলাম ৷ থানার কাছে একটি পেট্রল পাম্পে বাইকে পেট্রল ভরে বেরোনোর সময় দেখি রাস্তায় একটা জটলা ৷ বাইক থামিয়ে সেখানে যেতেই তাদের সন্দেহ হয় ৷ তাদের বক্তব্য, আমি এলাকায় ঝামেলা করতে এসেছি ৷ লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে ৷ পালাতে গেলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ৷ পিঠে টিউবলাইটও ফাটানো হয় ৷ খবর পেয়ে বাবা-মা ঘটনাস্থানে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন ৷ আজ সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ "

আরও পড়ুন : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থান পড়ুয়াদের

গণপিটুনি রুখতে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সচেতনতা শিবিরের পাশাপাশি মাইকেও প্রচার করা হচ্ছে ৷ তবে তারপরও চলছে গণধোলাইয়ের ঘটনা ৷ জেলায় জোড়া গণপিটুনির ঘটনায় কপালে ভাঁজ পুলিশ-প্রশাসনের ৷

Intro:মালদা, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ ফের জোড়া গণপিটুনির ঘটনা। হরিশ্চন্দ্রপুরে ছেলেধরা সন্দেহে চার ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় রযাফ। অন্যদিকে, মালদা শহরের কোতওয়ালিতে এক যুবককেও দুষ্কৃতী সন্দেহে মারধরের অভিযোগ উঠল। পুলিশ প্রশাসন যখন গণপিটুনি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সেই সময় জোড়া গণপিটুনির ঘটনা মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনের।Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে চার সন্ন্যাসী হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা এলাকায় বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ ও তাবিজ বিক্রি করছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়, ওই চার ব্যক্তি সন্ন্যাসী সেজে ছেলে পাচার করতে এসেছে। নিমেষের মধ্যেই সেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চার ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় রযাফ। ওই চার ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এলাকায় এখনও পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানান, “বেশ কয়েকদিন ধরে মানুষের মধ্যে ছেলে ধরার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। তবে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। তুলসীহাটাতেও এই ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”
অন্যদিকে, দুষ্কৃতী সন্দেহে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা শহরে। ইংরেজবাজারের সুকান্তপল্লির বাসিন্দা অভিজিত এক বন্ধুর সঙ্গে গতকাল রাতে কোতওয়ালির আরাপুরে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল। স্থানীয় একটি পেট্রোলপাম্পে বাইকে পেট্রোল নিয়ে রাস্তায় উঠতেই লোকজনের ভিড় দেখতে পায় তারা। অভিযোগ, বাইক থামিয়ে সেখানে যেতেই বাঁশ লাঠি নিয়ে তাদের মারধর করতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিজিত জানিয়েছে, “গতকাল রাতে বন্ধুকে নিয়ে বিশ্বকর্মা ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। কোতওয়ালির একটি পেট্রোল পাম্প থেকে বেড়িতে আসতেই দেখি, স্থানীয় কিছু মানুষ ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে। বাইক থামিয়ে সেখানে যেতেই তাদের সন্দেহ হয় আমি তাদের সঙ্গে ঝামেলা করতে এসেছি। সেই সন্দেহের জেরেই আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। পালাতে গেলে পিস্তলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পিঠে টিউব লাইট ফাটিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থলে বন্দি করে রাখে। খবর পেয়ে আমার বাবা-মা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আজ সকালে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
Conclusion:গণপিটুনি রুখতে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সচেতনতা শিবির, মাইকিংও করা হচ্ছে। তবে তার সুফল আদৌ মিলছে কি? মালদা জেলায় গণপিটুনির জোড়া ঘটনা সেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।
Last Updated : Sep 19, 2019, 7:40 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.