মালদা, 3 ডিসেম্বর: “ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে ৷ সবাই পিঠে খাবেন ৷ পিঠে খেলে পেটে সইতে পারে কিংবা পেটে খেলে পিঠে ৷ অনেক কিছু ঘটনা ঘটবে (Sukanta Majumdar slams TMC) ৷ সবাই একটু ধৈর্য ধরুন ৷” ডিসেম্বরে বিজেপির ‘খেলা হবে’ নিয়ে বলতে গিয়ে শনিবার এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ সম্প্রতি টুইটারে এক তৃণমূল নেতার ভিডিয়ো পোস্ট নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি ৷
দু’দিন আগেই বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি একটি বাড়িতে গিয়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছেন ৷ বিজেপির তরফে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির নাম চন্দন সাহা ৷ বাড়ি চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের কাণ্ডারণ সংলগ্ন কাজলদিঘি গ্রামে ৷ তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ও তৃণমূলের চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের সম্পাদক ৷ অভিযোগ, মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের 143 নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে তিনি সেই সরকারি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করছেন ৷ সেই ভিডিয়োর সত্যতা ইটিভি ভারত যাচাই করেনি ৷
এই ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওই ব্যক্তি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করেন ৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলা তুলছেন ৷ গোটা রাজ্য জানে, তৃণমূল মানে তোলামূল পার্টি ৷ ওদের তোলা তোলাই কাজ ৷ তোলা ছাড়া ওরা মণিহারা ফণি ৷ তবে আমরা অভিযোগ করে কী করব ! এনিয়ে তদন্ত করার দম পুলিশের আছে ? যে কৃষ্ণেন্দুবাবু অভিযোগ করার কথা বলছেন, তিনি বললে তো পুলিশ বাথরুমেও যায় ৷”
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মমতা ! বড়দিনের আগে টাকির স্কুল পড়ুয়ারা পেল মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উপহার
এদিকে ফিরহাদ হাকিমের নাম করে চাকরি দেওয়ার নামে হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই বোনের কাছ থেকে 16 লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৷ শুক্রবার ওই নেতাকে গণধোলাই দিয়েছে গ্রামবাসীরা ৷ এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, “সেই ঘটনা আমরাও সোশাল মিডিয়ায় দেখছি ৷ জয়হিন্দ বাহিনীর কোনও মাথা ওই নেতা ৷ তবে সেই দিনই আসছে ৷ এভাবেই তৃণমূল নেতাদের রাস্তায় গণধোলাই দেবে জনতা ৷ আর শোভনদেববাবু যাই বলুন না কেন, তাঁদের দলের বেশিরভাগই চোর ৷ সুযোগ না-পেয়ে দু’একজন হয়তো এখনও চুরি করতে পারেননি ৷ সুযোগ পেলেই তাঁরা চুরি করবেন ৷”