মালদা, 24 জানুয়ারি: আগামী মাসেই পরীক্ষা ৷ অথচ এখনও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি প্রায় 400 পড়ুয়া ৷ ভর্তির দাবিতে মঙ্গলবার তাঁদের একাংশ কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন (Students protest demanding admission) ৷ ছাত্রছাত্রীদের সেই বিক্ষোভ চলে বিকেল 5টা পর্যন্ত ৷ যদিও অধ্যক্ষ গোটা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন ৷ এ নিয়ে আজ পুরাতন মালদার গৌড় কলেজে (Gour Mahavidyalaya) শোরগোল পড়ে যায় ৷ পরে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে অধ্যক্ষ আশ্বস্ত করলে ওঠে বিক্ষোভ ৷
বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের মধ্যে একজন অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, "এই কলেজের কাছেই আমাদের বাড়ি ৷ উচ্চমাধ্যমিকে ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করেও কলেজে ভর্তি হতে পারিনি ৷ অনলাইনে দেখতে পাচ্ছি, ইংরেজি, বাংলা-সহ প্রায় সমস্ত বিভাগেই আসন ফাঁকা রয়েছে ৷ পাশ কোর্সেও প্রচুর আসন ফাঁকা ৷ তাহলে আমাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না কেন ? আমরা কেন বঞ্চিত থাকব ?"
রাজনন্দিনী হরিজন নামে এক ছাত্রীর কথায়, "কলেজে অসংখ্য আসন খালি ৷ তবু আমাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না ৷ ভর্তির দাবিতে অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ জেলাশাসককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ কোনও কাজ হয়নি ৷ এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে ৷ ভর্তি না হলে আমরা সেই পরীক্ষাতেও বসতে পারব না ৷ সেক্ষেত্রে আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে ?"
কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার সরকার অবশ্য ছাত্র ভর্তির বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের সামনেই হাত তুলে নিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "শুধু আমাদের কলেজ নয়, মালদা জেলার প্রতিটি কলেজেই বেশ কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে ৷ এটা পুরোপুরি সত্যি ৷ কিন্তু সেই আসনে ছাত্র ভর্তির জন্য সরকারের যে নির্দেশিকা প্রয়োজন, তা আমরা পাইনি ৷ সেই নির্দেশিকা না পেলে আমরা ছাত্র ভর্তি নিতে পারি না ৷ উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ পাওয়ার পরেই পোর্টাল খুলবে ৷ তাই সেই নির্দেশ ছাড়া আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি অপারগ ৷ আমাদের কিছু করার নেই ৷ ভর্তির প্রশ্নই আসে না ৷ এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী হবে, ভর্তি হলেও তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবে, তাও আমার অজানা ৷ এটা পুরোপুরি সরকারি ব্যাপার ৷"
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালা বন্ধ করে বিক্ষোভ অভিভাবকদের