মালদা, 16 মার্চ: উচ্চমাধ্যমিকের (H.S Exam) ইংরেজি পরীক্ষায় নকলে বাধা পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে তাণ্ডব চালাল পরীক্ষার্থীরা ৷ অভিযোগ মারধর করা হয়েছে কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষককেও (Student beats head teacher)৷ নিগ্রহের শিকার আরও এক শিক্ষিকা ৷ এমনই অভিযোগ উঠেছে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রথবাড়ি হাইস্কুলের বেশ কিছু পরীক্ষার্থীদেের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় স্থানীয় থানায় ছয় জন ছাত্রের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অভিযোগ জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরেও ৷ অভিযুক্ত ছাত্রদের কঠোর শাস্তির সওয়াল করেছেন খোদ বিডিও ৷
জানা গিয়েছে, কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের রথবাড়ি হাইস্কুলে সিট পড়েছিল স্থানীয় বাঙ্গীটোলা হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীদের ৷ এদিন ওই স্কুলের কিছু ছাত্র পকেটে করে টুকলির কাগজ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকে (cheating in higher secondary exam) ৷ বিষয়টি বুঝতে পেরে পরীক্ষকরা তাদের সেগুলি জমাও দিতে বলেন ৷ কিন্তু তারা সেই নকল করার কাগজ দিতে অস্বীকার করেন ৷ এরপর এক পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে নকল করতে গেলে বাধা দেন খোদ প্রধান শিক্ষক ৷ এরপরেই বাঙ্গীটোলা হাইস্কুলের ছাত্ররা ক্লাসরুমে তাণ্ডব শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ ৷ প্রধান শিক্ষককে মারধরের পাশাপাশই ভাঙচুর করা হয়েছে ক্লাসের চেয়ার-বেঞ্চও ৷ গণ্ডগোলের খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয় ৷
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে বাধা শ্বশুরবাড়ির, পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গৃহবধূ
বিষয়টি নিয়ে রথবাড়ি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সমণ্বয় সরকার বলেন, “14 তারিখ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৷ সেদিনও বেশ কিছু ছাত্র পকেটে নকল নিয়ে এসেছিল ৷ আমরা নকলগুলি ফেলে দিই ৷ আজও ইংরেজি পরীক্ষার কিছু ছাত্র নকল নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসে ৷ নকল চাওয়ার সময় তারা আপত্তিজনক কথা বলতে থাকে ৷ যে ছেলেটির কাছে মোবাইল ছিল, সে পরীক্ষা দেবে না বলে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যেতে গেলে আমরা তাকে বাধা দিই ৷ তখনই কিছু ছাত্র আমাকে মারধর করে ৷ ক্লাসরুমে ভাঙচুর চালায় ৷ ”
মোথাবাড়ি থানায় ওই ছয় ছাত্রের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সমন্বয়বাবু ৷ এই ঘটনায়, কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের বিডিও রমল সিং বিরদি জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ৷ ছয় পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষা দফতর ও স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক ৷ দোষী পরীক্ষার্থীদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ৷ শুক্রবার থেকে রথবাড়ি হাইস্কুলে আরও কড়া পুলিশি নজরদারি চালানো হবে ৷”