মালদা, 22 ডিসেম্বর: প্রথম দেখে কেউ লাউ ভেবে ভুল করতেই পারেন ৷ কিন্তু এ লাউ নয়, বেগুন ৷ ওজন! একেকটির অন্তত এক কিলো ৷ কোনও কোনওটির ওজন দু’কিলোও পেরিয়ে যায় ৷ এ’রাজ্যে শুধুমাত্র মালদাতেই বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় এই বিশেষ প্রজাতির বেগুনের ৷ মালদার ভাষায় যা নবাবগঞ্জের বেগুন বা পলিয়া বেগুন নামে পরিচিত ৷ কিন্তু বিশেষ প্রজাতির বেগুনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দাম না পাওয়ায় ৷ অনেক চাষিই এই বেগুনের বদলে বিকল্প চাষ শুরু করেছেন ৷
বর্তমানে শুধুমাত্র রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের রাজাপুর গ্রামে হাতে গোনা কয়েকজন চাষি নবাবগঞ্জের বেগুন চাষ করেন ৷ কালিন্দ্রী নদীর ধারে হয় সেই চাষ ৷ সেই চাষিদেরই একজন আজমল হোসেন ৷ তিনি বলেন, "আমার বাংশ-পরম্পরায় এই বেগুনের চাষ করি ৷ আগে অনেক বেশি জায়গায় চাষ করতাম ৷ এই বছর মাত্র দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছি ৷ বছর দশেক আগেও এই এলাকার প্রায় 40জন এই বেগুনের চাষ করত ৷ এখন মাত্র 5-6 জন চাষ করে ৷ প্রতি বিঘা জমিতে চাষের খরচ হয় অন্তত 50 হাজার টাকা ৷ কিন্তু সেই হিসাবে লাভ নেই ৷ অথচ কেজি প্রতি 30 টাকা দরে বিক্রি করতে হয় ৷ যাতে চাষের খরচ ওঠে না ৷ চাই চাষ কমিয়ে দিয়েছেন অনেকে ৷ সরকারও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷"
ওই কৃষকের কথার রেশ টেনেই জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সামন্ত লায়েক জানান, নবাবগঞ্জের এই বিশেষ বেগুন সত্যিই রূপে ও স্বাদে অতুলনীয় ৷ রান্না করলে এর স্বাদ একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে ৷ এই প্রজাতির বেগুনকে রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রফতানি করার চিন্তা চলছে ৷ এনিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে ৷ হয়ত দু’এক বছর পরই চাষিরা সারা দেশে এই বেগুন রফতানি করতে পারবেন ৷ চাষের পরিধি বৃদ্ধির পাশপাশি চাষিরা ভালো দাম পাবেন বলেও আশা করেছেন ৷
আরও পড়ুন: