মালদা, 25 মার্চ : গতকাল রাতে গোটা দেশে 21 দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তারপর ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী মজুত করতে অলিখিত লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ আজ সকালে মালদা শহরের প্রতিটি বাজারে অসংখ্য মানুষ ভিড় করে ৷ যদিও তৎপর পুলিশ প্রশাসন কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় সরিয়ে দেয় ৷ পরিস্থিতি বুঝে শহরের প্রতিটি বাজার চষে বেড়ান জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু ৷ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার সহ বেশ কিছু কাউন্সিলরও ছিলেন সেই দলে ৷ আগামীকাল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বাজার খোলার সময়সীমা বেঁধে দিল প্রশাসন ৷ প্রতিটি দোকানে নিয়ন্ত্রণরেখারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ এদিকে এই পরিস্থিতিতে মালদার বাজারে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় আনাজপত্রের দাম৷ আজ বাজার পরিদর্শন করে সেকথা স্বীকার করেছেন খোদ জেলাশাসকও৷ তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কোথাও যাতে কোনও কালোবাজারি না হয়, তার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে পুলিশ৷
গতকাল বিকেলে গোটা রাজ্যে আগামী 31 মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাতে প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে আগামী ২১ দিনের জন্য লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসেন ৷ লকডাউন চলাকালীন খাদ্যসামগ্রী পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আগে থেকেই চিন্তিত ছিল সাধারণ মানুষ ৷ এনিয়ে প্রশাসন অভয়বার্তা দিলেও মানুষের মন থেকে ভয় যায়নি ৷ গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সেই ভয় যেন কয়েকগুন বেড়ে যায় ৷ আজ সকাল থেকেই জেলার প্রতিটি বাজারে ছিল ব্যাপক ভিড় ৷ যদিও সঙ্গে সঙ্গে ময়দানে নেমে পড়ে পুলিশ ৷ কোথাও আবেদন করে, কোথাও লাঠিপেটা করে মানুষকে ঘরমুখি করা হয় ৷ মালদা শহরে আজ বেশ কয়েকজন দোকানদারকে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবসও করানো হয়েছে ৷ পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসা করছেন বিদ্বজ্জনরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেপরোয়া মানুষজনকে ঘরবন্দী করতে এছাড়া পুলিশের আর কিছু করার ছিল না ৷
এদিকে এই পরিস্থিতিতে জেলার বাজারগুলিতে আনাজপত্রের দাম বেড়েছে বেশ কিছুটা ৷ যদিও তা এখনই মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ৷ তিনি বলেন, “মানুষকে বাজার করতে হবে, তাদের বাজারে আসতেও হবে৷ কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোশাল ডিস্ট্যান্সিং বাড়াতে হবে৷’’