ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরেই কোন্দল, টিকিট না পেয়ে শাশুড়িকে তোপ জামাইয়ের

author img

By

Published : Jun 17, 2023, 9:48 PM IST

এবার শাশুড়ি জামাইয়ের কোন্দল প্রকাশ্যে ৷ সেই কোন্দলের প্রভাব পড়ল পঞ্চায়েত ভোটের টিকিটে ৷ বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জেলা পরিষদের প্রার্থীপদ থেকেই বাদ দিলেন সমদীপ সরকারের নাম ৷ আর তাতেই রেগে আগুন জামাই ৷ তোপ দাগতে ছাড়লেন না শাশুড়িকে ৷

candidate ticket
শাশুড়ি জামাইয়ের কোন্দল
ভোটে টিকিট না পেয়ে শাশুড়িকে তোপ জামাইয়ের

মালদা, 17 জুন: পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরেই বাঁধল গৃহযুদ্ধ ৷ মানিকচকের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর জামাই সমদীপ সরকার ৷ তাঁর অভিযোগ, পারিবারিক ঝামেলার জেরে ষড়যন্ত্র করে জেলা পরিষদের প্রার্থীপদ থেকে সমদীপের নাম বাদ দিয়েছেন তাঁরই শাশুড়ি ৷ এ নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে ৷ যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি শাসকদলের কোনও জেলাস্তরের নেতা ৷ মুখে কুলুপ খোদ সাবিত্রী মিত্রেরও ৷ তিনি শুধু জানিয়েছেন, দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয় ৷ যা ঘটেছে, দলের নির্দেশেই হয়েছে ৷ এ নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না ৷

সমদীপ সরকার শুধু সাবিত্রী মিত্রের জামাই নন, তিনি জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদকও বটে ৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে মানিকচকের 28 নম্বর জেলা পরিষদ আসনে ঘাসফুলের প্রার্থী করা হবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা ছিল ৷ কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা যায়, ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী কবিতা মণ্ডলকে ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সমদীপের অনুগামীরা ৷ তাঁদের অনেকে আবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন ৷ একসময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন, সমদীপকে প্রার্থী না করার প্রতিবাদে তাঁরা নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন ৷ যদিও পরিস্থিতি সামাল দেন সমদীপ নিজেই ৷ তিনি তাঁর অনুগামীদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার নির্দেশ দেন ৷

আরও পড়ুন: মনোনয়ন না তোলায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

সমদীপ জানান, পঞ্চায়েতের আগে ছ’মাস নয়, তিনি 2013 সাল থেকেই মানিকচকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজনীতি করছেন ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে তিনি এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাইরে যাননি ৷ চারটি পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথে বুথ কমিটি গঠন, স্বচ্ছভাবে প্রতিটি বুথ থেকে দলীয় প্রার্থীদের নাম নেওয়া, প্রতিটি সংসদে দলকে কীভাবে জিতিয়ে আনতে হবে তার কৌশল ঠিক করা, সবই করেছেন তিনি ৷

যেদিন দলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়, তার আগের দিন পর্যন্ত তাঁরা এলাকার বিধায়কের কাছে গিয়ে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছেন ৷ অনেকদিন ধরেই ঠিক ছিল, 28 নম্বর জেলা পরিষদ আসনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন ৷ কিন্তু প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর দলীয়ভাবে সমদীপ জানতে পারেন, এই আসনে তাঁর বদলে কবিতা মণ্ডলকে প্রার্থী করা হয়েছে ৷ কবিতা মণ্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷ তাঁর আসনটি এবার ওবিসি সংরক্ষিত ৷ তাই তাঁকে মানিকচকের 21 নম্বর আসনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে তাঁকে 28 নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূল প্রার্থীর হাত-পা বেঁধে চোখে চুন ঢালল দুষ্কৃতীরা

সমদীপের সাফ কথা, "আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ৷ এবারের নির্বাচনে প্রতিটি ব্লকে বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতি প্রার্থীদের চূড়ান্ত করেছেন ৷ কারণ, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি প্রার্থীদের বদল করেছেন ৷ এখানে পিকে কিংবা আইপ্যাকের কোনও বিষয় নেই ৷ এসব সাজানো গল্প ৷ মানিকচকে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও ব্লক সভাপতি ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন ৷ আমার সঙ্গে সাবিত্রী মিত্রের পারিবারিক কিছু বিবাদ রয়েছে ৷ আমি তারই শিকার ৷ এটা ঠিক, এই ঘটনার প্রভাব এলাকায় পড়েছে ৷ অনেকে মনোনয়ন জমা দিতে চায়নি ৷ অনেকে প্রত্যাহার করার কথা ভাবছে ৷ আমি তাদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বলেছি ৷ জেলা সভাপতিকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম ৷ তিনিও আকারে ইঙ্গিতে আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন ৷ তবে যাই হোক, ভবিষ্যতে দলের একজন সৈনিক হিসাবেই কাজ করব ৷"

ভোটে টিকিট না পেয়ে শাশুড়িকে তোপ জামাইয়ের

মালদা, 17 জুন: পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরেই বাঁধল গৃহযুদ্ধ ৷ মানিকচকের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বিরুদ্ধে সরাসরি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন তাঁর জামাই সমদীপ সরকার ৷ তাঁর অভিযোগ, পারিবারিক ঝামেলার জেরে ষড়যন্ত্র করে জেলা পরিষদের প্রার্থীপদ থেকে সমদীপের নাম বাদ দিয়েছেন তাঁরই শাশুড়ি ৷ এ নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে ৷ যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি শাসকদলের কোনও জেলাস্তরের নেতা ৷ মুখে কুলুপ খোদ সাবিত্রী মিত্রেরও ৷ তিনি শুধু জানিয়েছেন, দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয় ৷ যা ঘটেছে, দলের নির্দেশেই হয়েছে ৷ এ নিয়ে তিনি কোনও কথা বলতে চান না ৷

সমদীপ সরকার শুধু সাবিত্রী মিত্রের জামাই নন, তিনি জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদকও বটে ৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে মানিকচকের 28 নম্বর জেলা পরিষদ আসনে ঘাসফুলের প্রার্থী করা হবে বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা ছিল ৷ কিন্তু প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর দেখা যায়, ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী কবিতা মণ্ডলকে ৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সমদীপের অনুগামীরা ৷ তাঁদের অনেকে আবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মনোনয়নও জমা দিয়েছেন ৷ একসময় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন, সমদীপকে প্রার্থী না করার প্রতিবাদে তাঁরা নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন ৷ যদিও পরিস্থিতি সামাল দেন সমদীপ নিজেই ৷ তিনি তাঁর অনুগামীদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার নির্দেশ দেন ৷

আরও পড়ুন: মনোনয়ন না তোলায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

সমদীপ জানান, পঞ্চায়েতের আগে ছ’মাস নয়, তিনি 2013 সাল থেকেই মানিকচকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজনীতি করছেন ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে তিনি এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাইরে যাননি ৷ চারটি পঞ্চায়েতের প্রতিটি বুথে বুথ কমিটি গঠন, স্বচ্ছভাবে প্রতিটি বুথ থেকে দলীয় প্রার্থীদের নাম নেওয়া, প্রতিটি সংসদে দলকে কীভাবে জিতিয়ে আনতে হবে তার কৌশল ঠিক করা, সবই করেছেন তিনি ৷

যেদিন দলের তরফে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়, তার আগের দিন পর্যন্ত তাঁরা এলাকার বিধায়কের কাছে গিয়ে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছেন ৷ অনেকদিন ধরেই ঠিক ছিল, 28 নম্বর জেলা পরিষদ আসনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন ৷ কিন্তু প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর দলীয়ভাবে সমদীপ জানতে পারেন, এই আসনে তাঁর বদলে কবিতা মণ্ডলকে প্রার্থী করা হয়েছে ৷ কবিতা মণ্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী ৷ তাঁর আসনটি এবার ওবিসি সংরক্ষিত ৷ তাই তাঁকে মানিকচকের 21 নম্বর আসনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসে তাঁকে 28 নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূল প্রার্থীর হাত-পা বেঁধে চোখে চুন ঢালল দুষ্কৃতীরা

সমদীপের সাফ কথা, "আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার ৷ এবারের নির্বাচনে প্রতিটি ব্লকে বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতি প্রার্থীদের চূড়ান্ত করেছেন ৷ কারণ, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগের দিন পর্যন্ত বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি প্রার্থীদের বদল করেছেন ৷ এখানে পিকে কিংবা আইপ্যাকের কোনও বিষয় নেই ৷ এসব সাজানো গল্প ৷ মানিকচকে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ও ব্লক সভাপতি ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন ৷ আমার সঙ্গে সাবিত্রী মিত্রের পারিবারিক কিছু বিবাদ রয়েছে ৷ আমি তারই শিকার ৷ এটা ঠিক, এই ঘটনার প্রভাব এলাকায় পড়েছে ৷ অনেকে মনোনয়ন জমা দিতে চায়নি ৷ অনেকে প্রত্যাহার করার কথা ভাবছে ৷ আমি তাদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বলেছি ৷ জেলা সভাপতিকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম ৷ তিনিও আকারে ইঙ্গিতে আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়েছেন ৷ তবে যাই হোক, ভবিষ্যতে দলের একজন সৈনিক হিসাবেই কাজ করব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.