ETV Bharat / state

হয়নি রেশন কার্ড, রোজ প্রশাসনিক ভবনের দোড়গোড়ায় BPL তালিকাভুক্তরা

author img

By

Published : Apr 17, 2020, 3:24 PM IST

কার্ড না থাকায় মিলছে না সরকারি খাদ্যসামগ্রী ৷ এই অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে কয়েকজন ৷

Malda
Malda

মালদা, 17 এপ্রিল : কারও ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও হাতে আসেনি ৷ কারও আবার নয়া রেশন কার্ড তৈরিই হয়নি ৷ তাদের অনেকে আবার নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে বাড়িতে বসে রয়েছে ৷ এরা প্রায় সবাই কম আয়ের মানুষ ৷ এমনিতে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার ৷ তার উপর গোদের উপর বিষ ফোঁড়া লকডাউন ৷ সমস্ত কাজ বন্ধ ৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না ৷ কারও ঘরে তেমন একটা খাবার মজুত নেই ৷ যা ছিল, 21 দিনের লকডাউনে শেষ ৷ এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ৷ এই সময় এই পরিবারগুলির রেশন সামগ্রীর বড্ড প্রয়োজন ৷ কিন্তু কার্ড না থাকায় মিলছে না সরকারি খাদ্যসামগ্রী ৷ ত্রাণ হিসাবে যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয় ৷ এই অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে এই মানুষগুলো ৷ আজও তাদের কয়েকজনের দেখা মিলেছে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ৷

আজ রেশনের খোঁজে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে হাজির হয়েছিলেন মালদা শহরের মেনকা সাহা, গোবিন্দ রায়, কাঞ্চনটারের বেলা মণ্ডলরা ৷ এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে নীলমকে কোলে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ঝলঝলিয়া এলাকার জ্যোৎস্না আঢ্যও ৷ প্রত্যেকের এক কথা, রেশন চাই ৷ কিন্তু কার্ড নেই ৷ মেনকাদেবী বলেন, “কার্ড তৈরি হয়ে গেছে ৷ কিন্তু এখনও আমাদের হাতে দেয়নি ৷ কয়েকদিন ধরে BDO অফিসে ঘুরছি ৷ কোরোনার জন্য অফিসের গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে ৷ আমার স্বামী রিকশা চালান ৷ আমি গৃহ পরিচারিকার কাজ করি ৷ লকডাউন শুরু হওয়ার পর দু’জনেরই কাজ বন্ধ ৷ হাতে টাকা-পয়সা যা ছিল সব শেষ ৷ ঘরে খাবারও নেই ৷ ছেলে-মেয়েদের দু’বেলা খাবার দিতে পারছি না ৷ তাই আজ ফের জেলাশাসকের দপ্তরে এসেছি ৷ কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে, খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে ৷ এভাবে আর কতদিন ঘুরতে হবে আমাদের ?”

গোবিন্দবাবু বলেন, “আমার কার্ড তৈরিই হয়নি ৷ ফর্ম উঠিয়ে তা পূরণ করে জমা দেওয়ার অপেক্ষা করছি ৷ কিন্তু লকডাউনে ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছে না ৷ দিনমজুরির কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালায় ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে পেটের খাবার জোগাড় করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷” BPL রেশন কার্ডের জন্য মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কোলে নিয়ে আসা জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, “পরের বাড়িতে ঠিকে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাই৷ স্বামী অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে চলে গেছে ৷ ঘরে একটা ছেলেও রয়েছে ৷ কিন্তু খাবার নেই ৷ তাই এখন ভিক্ষে করেই পেট চালাতে হচ্ছে ৷ এই সময় কেউ ভিক্ষেও দিতে রাজি হচ্ছে না ৷ তাই BPL রেশন কার্ডের জন্য এখানে এসেছি ৷”

এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে উপস্থিত এই মানুষগুলোকে খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয় ৷ এনিয়ে জেলাশাসক কিংবা প্রশাসনের কোনও শীর্ষকর্তা সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “যাদের রেশন কার্ড রয়েছে, আমরা শুধু তাদেরই রেশনে খাদ্যসামগ্রী দিতে পারব ৷ কার্ড না থাকা কাউকে রেশন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনও সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়নি ৷”

মালদা, 17 এপ্রিল : কারও ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও হাতে আসেনি ৷ কারও আবার নয়া রেশন কার্ড তৈরিই হয়নি ৷ তাদের অনেকে আবার নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে বাড়িতে বসে রয়েছে ৷ এরা প্রায় সবাই কম আয়ের মানুষ ৷ এমনিতে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার ৷ তার উপর গোদের উপর বিষ ফোঁড়া লকডাউন ৷ সমস্ত কাজ বন্ধ ৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না ৷ কারও ঘরে তেমন একটা খাবার মজুত নেই ৷ যা ছিল, 21 দিনের লকডাউনে শেষ ৷ এবার শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন ৷ এই সময় এই পরিবারগুলির রেশন সামগ্রীর বড্ড প্রয়োজন ৷ কিন্তু কার্ড না থাকায় মিলছে না সরকারি খাদ্যসামগ্রী ৷ ত্রাণ হিসাবে যা পাওয়া যাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয় ৷ এই অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছে এই মানুষগুলো ৷ আজও তাদের কয়েকজনের দেখা মিলেছে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ৷

আজ রেশনের খোঁজে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে হাজির হয়েছিলেন মালদা শহরের মেনকা সাহা, গোবিন্দ রায়, কাঞ্চনটারের বেলা মণ্ডলরা ৷ এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে নীলমকে কোলে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ঝলঝলিয়া এলাকার জ্যোৎস্না আঢ্যও ৷ প্রত্যেকের এক কথা, রেশন চাই ৷ কিন্তু কার্ড নেই ৷ মেনকাদেবী বলেন, “কার্ড তৈরি হয়ে গেছে ৷ কিন্তু এখনও আমাদের হাতে দেয়নি ৷ কয়েকদিন ধরে BDO অফিসে ঘুরছি ৷ কোরোনার জন্য অফিসের গেটে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে ৷ আমার স্বামী রিকশা চালান ৷ আমি গৃহ পরিচারিকার কাজ করি ৷ লকডাউন শুরু হওয়ার পর দু’জনেরই কাজ বন্ধ ৷ হাতে টাকা-পয়সা যা ছিল সব শেষ ৷ ঘরে খাবারও নেই ৷ ছেলে-মেয়েদের দু’বেলা খাবার দিতে পারছি না ৷ তাই আজ ফের জেলাশাসকের দপ্তরে এসেছি ৷ কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে, খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে ৷ এভাবে আর কতদিন ঘুরতে হবে আমাদের ?”

গোবিন্দবাবু বলেন, “আমার কার্ড তৈরিই হয়নি ৷ ফর্ম উঠিয়ে তা পূরণ করে জমা দেওয়ার অপেক্ষা করছি ৷ কিন্তু লকডাউনে ফর্ম জমা নেওয়া হচ্ছে না ৷ দিনমজুরির কাজ করে কোনওক্রমে সংসার চালায় ৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে পেটের খাবার জোগাড় করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷” BPL রেশন কার্ডের জন্য মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কোলে নিয়ে আসা জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, “পরের বাড়িতে ঠিকে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাই৷ স্বামী অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে অন্য মহিলাকে বিয়ে করে চলে গেছে ৷ ঘরে একটা ছেলেও রয়েছে ৷ কিন্তু খাবার নেই ৷ তাই এখন ভিক্ষে করেই পেট চালাতে হচ্ছে ৷ এই সময় কেউ ভিক্ষেও দিতে রাজি হচ্ছে না ৷ তাই BPL রেশন কার্ডের জন্য এখানে এসেছি ৷”

এদিন জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে উপস্থিত এই মানুষগুলোকে খাদ্য দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলা হয় ৷ এনিয়ে জেলাশাসক কিংবা প্রশাসনের কোনও শীর্ষকর্তা সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থ সাহা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “যাদের রেশন কার্ড রয়েছে, আমরা শুধু তাদেরই রেশনে খাদ্যসামগ্রী দিতে পারব ৷ কার্ড না থাকা কাউকে রেশন দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনও সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়নি ৷”

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.