ETV Bharat / state

মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার দাবি সামশুল হকের - মালদা

মালদার মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আসন্ন নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী করার দাবি তুললেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামশুল হক ৷

Shamsul Haque demands for ticket in Maltipur
সাংবাদিক বৈঠকে সামশুল হক
author img

By

Published : Aug 12, 2020, 5:11 AM IST

মালদা, 11 অগাস্ট : এগিয়ে আসছে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ডান-বাম সব পক্ষই ৷ এরই মধ্যে উঠে আসছে নির্বাচনের টিকিটের দাবি ৷ মালদার মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আসন্ন নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী করার দাবি তুললেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামশুল হক ৷ তবে, এই দাবি সফল করতে গেলে তাঁকে যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটাও বিলক্ষণ জানেন তিনি ৷ কারণ, ওই কেন্দ্রে দলীয় টিকিটের দাবিদার নেহাত কম নয় ৷ দাবিদারদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বকশি থেকে শুরু করে ইমদাদুল হকের মতো বাঘা তৃণমূল নেতারা ৷ তবে, এদিন রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই নিজেকে প্রার্থী করার দাবি তুলে দিয়েছেন সামশুল সাহেব ৷ যদিও দলনেত্রীর মেজাজ নিয়ে সতর্ক তিনি ৷ তাই এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নেত্রী যাঁকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই এখানে প্রার্থী হবেন ৷"

আজ রতুয়া 2 ব্লক কমিউনিটি হলে একটি কর্মীসভা করেন সামশুল সাহেব ৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন রতুয়া 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সুমিত্রা সাহা এবং আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান ৷ সভার শুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ সেখান থেকে তিনি বলেন, “তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার যে উন্নয়ন করেছেন, 34 বছরের বাম জমানায় কেউ তা ভাবেনি ৷ রতুয়া 2 ব্লকের যে আটটি অঞ্চলের আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি, তার প্রতিটিতে অন্তত পাঁচটি করে বড় রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থানুকূল্যে তৈরি হয়েছে ৷ প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ একাধিক কাজ হয়েছে ৷ এই এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রতুয়া ও মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে চোখ বন্ধ করে আমাদের দখলে আসবে ৷ উন্নয়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজই BJP-এর বিরুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার ৷ বিরোধীরা শুধু মন্তব্য করেই খালাস ৷ তাঁরা কিছু কাজ করতে পারে না ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল জয়ী হবে ৷”

এরপরেই সামশুল সাহেবের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রসঙ্গে বলেন, “আমি চার দফায় জেলা পরিষদের সদস্য ৷ প্রত্যেকটা মানুষই সামনে এগোনোর চেষ্টা করে ৷ আমিও উপরে ওঠার চেষ্টা করি ৷ অনেকেই করছে ৷ তবে শেষ সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন ৷ টিম পিকে গোটা রাজ্য জুড়ে সার্ভে করছে ৷ ওঁরা দলের মধ্যে সোনা খুঁজছে ৷ তাঁরা যাকে চাইবে, আমার দল তাকেই মাথায় তুলে নেবে ৷ মালতিপুর থেকে কে প্রার্থী হবে তা দলের সিদ্ধান্ত ৷ আমিও দাঁড়াতে পারি ৷ আমিও এই টিকিটের দাবিদার ৷ যে কাজ করে, তার কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমার মনে হয় ৷ আমি আশাবাদী ৷ তবে দিদির উপর কেউ নয় ৷ এলাকার মানুষও আমাকেই প্রার্থী হিসাবে দেখতে চাইছে ৷"

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ৷ তিনি বেশ কিছু জেলার সভাপতি পরিবর্তন করেছেন ৷ জেলা কমিটি সহ বুথ কমিটিকেও নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দুর্নীতি রুখতে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছেন ৷ দক্ষিণবঙ্গে অনেককে সাসপেন্ড করেছেন ৷ উত্তরবঙ্গেও অনেকে সাসপেন্ড হতে পারে ৷ এসব দলের পক্ষে ভালো হবে৷ "

তবে সামশুল সাহেবের মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি তিনি ৷

মালদা, 11 অগাস্ট : এগিয়ে আসছে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে ডান-বাম সব পক্ষই ৷ এরই মধ্যে উঠে আসছে নির্বাচনের টিকিটের দাবি ৷ মালদার মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আসন্ন নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী করার দাবি তুললেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামশুল হক ৷ তবে, এই দাবি সফল করতে গেলে তাঁকে যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটাও বিলক্ষণ জানেন তিনি ৷ কারণ, ওই কেন্দ্রে দলীয় টিকিটের দাবিদার নেহাত কম নয় ৷ দাবিদারদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক আবদুর রহিম বকশি থেকে শুরু করে ইমদাদুল হকের মতো বাঘা তৃণমূল নেতারা ৷ তবে, এদিন রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই নিজেকে প্রার্থী করার দাবি তুলে দিয়েছেন সামশুল সাহেব ৷ যদিও দলনেত্রীর মেজাজ নিয়ে সতর্ক তিনি ৷ তাই এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "নেত্রী যাঁকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই এখানে প্রার্থী হবেন ৷"

আজ রতুয়া 2 ব্লক কমিউনিটি হলে একটি কর্মীসভা করেন সামশুল সাহেব ৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন রতুয়া 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সুমিত্রা সাহা এবং আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান ৷ সভার শুরুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি ৷ সেখান থেকে তিনি বলেন, “তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার যে উন্নয়ন করেছেন, 34 বছরের বাম জমানায় কেউ তা ভাবেনি ৷ রতুয়া 2 ব্লকের যে আটটি অঞ্চলের আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি, তার প্রতিটিতে অন্তত পাঁচটি করে বড় রাস্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থানুকূল্যে তৈরি হয়েছে ৷ প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ একাধিক কাজ হয়েছে ৷ এই এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রতুয়া ও মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে চোখ বন্ধ করে আমাদের দখলে আসবে ৷ উন্নয়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজই BJP-এর বিরুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার ৷ বিরোধীরা শুধু মন্তব্য করেই খালাস ৷ তাঁরা কিছু কাজ করতে পারে না ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল জয়ী হবে ৷”

এরপরেই সামশুল সাহেবের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট প্রসঙ্গে বলেন, “আমি চার দফায় জেলা পরিষদের সদস্য ৷ প্রত্যেকটা মানুষই সামনে এগোনোর চেষ্টা করে ৷ আমিও উপরে ওঠার চেষ্টা করি ৷ অনেকেই করছে ৷ তবে শেষ সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেবেন ৷ টিম পিকে গোটা রাজ্য জুড়ে সার্ভে করছে ৷ ওঁরা দলের মধ্যে সোনা খুঁজছে ৷ তাঁরা যাকে চাইবে, আমার দল তাকেই মাথায় তুলে নেবে ৷ মালতিপুর থেকে কে প্রার্থী হবে তা দলের সিদ্ধান্ত ৷ আমিও দাঁড়াতে পারি ৷ আমিও এই টিকিটের দাবিদার ৷ যে কাজ করে, তার কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমার মনে হয় ৷ আমি আশাবাদী ৷ তবে দিদির উপর কেউ নয় ৷ এলাকার মানুষও আমাকেই প্রার্থী হিসাবে দেখতে চাইছে ৷"

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ৷ তিনি বেশ কিছু জেলার সভাপতি পরিবর্তন করেছেন ৷ জেলা কমিটি সহ বুথ কমিটিকেও নতুন করে তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দুর্নীতি রুখতে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছেন ৷ দক্ষিণবঙ্গে অনেককে সাসপেন্ড করেছেন ৷ উত্তরবঙ্গেও অনেকে সাসপেন্ড হতে পারে ৷ এসব দলের পক্ষে ভালো হবে৷ "

তবে সামশুল সাহেবের মন্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.