ETV Bharat / state

Malda Congress: কংগ্রেসে ফিরলেন সরলা মুর্মু, মালদায় ধাক্কা খেল তৃণমূল

তৃণমূলকে ধাক্কা দিল মালদা কংগ্রেস ৷ পুরনো দলে ফিরলেন সরলা মুর্মু ৷

ETV Bharat
সরলা মুর্মু কংগ্রেসে যোগ দিলেন
author img

By

Published : Apr 4, 2023, 11:11 PM IST

সরলা মুর্মু ফের ফিরে গেলেন কংগ্রেসে

মালদা, 4 এপ্রিল : পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই মাস্টারস্ট্রোক কংগ্রেসের ৷ তৃণমূল থেকে তারা নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনল জেলা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে ৷ মঙ্গলবার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন মালদা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় ৷ এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের তিন প্রাক্তন বিধায়কও ৷ নিজের পুরোনো দলে ফিরে এসে রাজনীতির একটি বৃত্তও যেন সম্পূর্ণ করলেন সরলা ৷

যদিও তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল ৷ তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরে তফশিলি উপজাতিভুক্ত মহিলা নেত্রী তেমন কেউ নেই ৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরলার দলত্যাগ নিশ্চিতভাবে মালদায় শাসকদলের নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলবে তা বলাই বাহুল্য ৷

2013 সালে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোচপাড়া গ্রামের সরলা মুর্মুকে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী ৷ পঞ্চায়েতে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি ৷ তাঁকেই সভাধিপতি পদের দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস ৷ 2018 সালে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ সেবারও জেলা পরিষদ আসনে ঘাসফুলের প্রতীকে জয়ী হন ৷ তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয় ৷ কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পুরাতন মালদায় প্রার্থী না করে গাজোলের টিকিট দেওয়া হয় ৷ সেটা মেনে নিতে পারেননি সরলা ৷ প্রার্থী ঘোষণার পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও তিনি তেমন কল্কে পাননি ৷ এরপর খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসেন ৷ তিনি এখনও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য ৷

এদিকে জেলা কংগ্রেসে আদিবাসী নেত্রী হিসাবে সেভাবে কেউ সাড়া ফেলতে পারেননি ৷ তার উপর এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনটি তফশিলি উপজাতি সংরক্ষিত ৷ এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের আগেই সরলাকে দলে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সরলাও নিজের পুরোনো দলে ফিরে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন ৷ অবশেষে এদিন বিকেলে পুরাতন মালদার পোপড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন ৷

সরলা মুর্মু এদিন বলেন,"কংগ্রেস থেকেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করি ৷ দলে আমাকে সম্মানও দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তৃণমূলের কিছু নেতার কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ওই দলে যোগ দিই ৷ আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে পারেনি ওরা ৷ এলাকার মানুষও ভেবেছিল, শাসকদলে আমি গেলে এলাকার ভালো উন্নতি হবে ৷ কিন্তু সেখানে তো একটাই পোস্ট৷ নিজেদের মধ্যেই সবসময় ঝগড়া ৷ বুঝতে পারি, সততার সঙ্গে মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হলে কংগ্রেসই করতে হবে ৷ তাই আজ ফের কংগ্রেসে ফিরে এলাম ৷ তবে জেলা পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ব কিনা সেটা দল বলবে ৷"

আরও পড়ুুন: শুভেন্দুদের মদতেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রামনবমীর মিছিলে সুমিত, অভিযোগ কুণালের

সরলাকে দলে ফিরিয়ে আনার মূল কারিগর, পুরাতন মালদার প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন,"কংগ্রেস থেকেই সরলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল ৷ তৃণমূলে গিয়ে যে ভুল করেছিল, সেকথা সে স্বীকার করেছে ৷ সে ক্ষমা চেয়ে কংগ্রেসে ফিরে আসতে চায় ৷ দল তাকে ক্ষমা করেছে ৷ আজ তাকে আমরা দলে ফিরিয়ে নিয়েছি ৷ তবে সভাধিপতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তার উত্তর আগামীতেই পাওয়া যাবে ৷"

সরলা মুর্মু ফের ফিরে গেলেন কংগ্রেসে

মালদা, 4 এপ্রিল : পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই মাস্টারস্ট্রোক কংগ্রেসের ৷ তৃণমূল থেকে তারা নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনল জেলা পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে ৷ মঙ্গলবার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন মালদা জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় ৷ এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের তিন প্রাক্তন বিধায়কও ৷ নিজের পুরোনো দলে ফিরে এসে রাজনীতির একটি বৃত্তও যেন সম্পূর্ণ করলেন সরলা ৷

যদিও তাঁর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল ৷ তবে রাজনৈতিক মহল বলছে, এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরে তফশিলি উপজাতিভুক্ত মহিলা নেত্রী তেমন কেউ নেই ৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সরলার দলত্যাগ নিশ্চিতভাবে মালদায় শাসকদলের নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ ফেলবে তা বলাই বাহুল্য ৷

2013 সালে পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোচপাড়া গ্রামের সরলা মুর্মুকে রাজনীতির আঙিনায় নিয়ে আসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী ৷ পঞ্চায়েতে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি ৷ তাঁকেই সভাধিপতি পদের দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস ৷ 2018 সালে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ সেবারও জেলা পরিষদ আসনে ঘাসফুলের প্রতীকে জয়ী হন ৷ তাঁকে মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ করা হয় ৷ কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পুরাতন মালদায় প্রার্থী না করে গাজোলের টিকিট দেওয়া হয় ৷ সেটা মেনে নিতে পারেননি সরলা ৷ প্রার্থী ঘোষণার পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও তিনি তেমন কল্কে পাননি ৷ এরপর খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসেন ৷ তিনি এখনও জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য ৷

এদিকে জেলা কংগ্রেসে আদিবাসী নেত্রী হিসাবে সেভাবে কেউ সাড়া ফেলতে পারেননি ৷ তার উপর এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনটি তফশিলি উপজাতি সংরক্ষিত ৷ এই অবস্থায় পঞ্চায়েতের আগেই সরলাকে দলে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সরলাও নিজের পুরোনো দলে ফিরে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন ৷ অবশেষে এদিন বিকেলে পুরাতন মালদার পোপড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন ৷

সরলা মুর্মু এদিন বলেন,"কংগ্রেস থেকেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করি ৷ দলে আমাকে সম্মানও দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তৃণমূলের কিছু নেতার কথায় বিভ্রান্ত হয়ে ওই দলে যোগ দিই ৷ আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে পারেনি ওরা ৷ এলাকার মানুষও ভেবেছিল, শাসকদলে আমি গেলে এলাকার ভালো উন্নতি হবে ৷ কিন্তু সেখানে তো একটাই পোস্ট৷ নিজেদের মধ্যেই সবসময় ঝগড়া ৷ বুঝতে পারি, সততার সঙ্গে মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হলে কংগ্রেসই করতে হবে ৷ তাই আজ ফের কংগ্রেসে ফিরে এলাম ৷ তবে জেলা পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ব কিনা সেটা দল বলবে ৷"

আরও পড়ুুন: শুভেন্দুদের মদতেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রামনবমীর মিছিলে সুমিত, অভিযোগ কুণালের

সরলাকে দলে ফিরিয়ে আনার মূল কারিগর, পুরাতন মালদার প্রাক্তন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন,"কংগ্রেস থেকেই সরলার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল ৷ তৃণমূলে গিয়ে যে ভুল করেছিল, সেকথা সে স্বীকার করেছে ৷ সে ক্ষমা চেয়ে কংগ্রেসে ফিরে আসতে চায় ৷ দল তাকে ক্ষমা করেছে ৷ আজ তাকে আমরা দলে ফিরিয়ে নিয়েছি ৷ তবে সভাধিপতি নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে, তার উত্তর আগামীতেই পাওয়া যাবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.