মালদা, 16 নভেম্বর: পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় রতুয়ার কাহালা হাইস্কুলে একটি কর্মীসভার আয়োজন করে বিজেপি (BJP) ৷ সজল ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, দলীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, গোপালচন্দ্র সাহা, উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত-সহ আরও অনেকে ৷ সেই সভাতেই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন সজলবাবু (Sajal Ghosh) ৷ নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নাম না করে সুর্পণখা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷
বক্তব্য রাখতে গিয়ে সজল বলেন, "রাবণের দেশ শ্রীলঙ্কায় মানুষ না খেতে পেয়ে বিদ্রোহ করেছেন ৷ দেশটাই ভিখিরি হয়ে গিয়েছে ৷ মানুষ রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে ৷ রাবণের দেশে যদি এমন হতে পারে, তবে আপনারা চাইলে সুর্পণখার রাজত্বেও তা হতে পারে ৷ পুলিশ কিছু করতে পারবে না ৷ পুরনো রাইফেল দিয়ে গুলি বেরোয় না ৷ শুধু ভয় দেখানো যায় ৷ আর গাঁজা কেস এখন শেষ ৷ গাঁজা কেস দিলেই সিবিআই ডেকে পাঠাবে ৷ ওরা শুধু চমকাবে, ধমকাবে ৷ মনে রাখতে হবে, লোহা দিয়েই লোহাকে কাটা যায় ৷ তাই যদি কেউ ভাবে, ভোটের দিন আপনাদের হাত-পা ভাঙবে, তাদের যোগ্য জবাব দিন ৷ পালটা আঘাত পেলে ওরা পালানোর পথ পাবে না ৷ সহ্য করলেই ওরা বুকের উপর চেপে বসবে ৷"
আরও পড়ুন: 'অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে চার্জশিটে মিথ্যে লিখতে এজেন্সিকে চাপ দিচ্ছে বিজেপি' ! বিস্ফোরক কুণাল
তিনি আরও বলেন, "মানুষ অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছে ৷ কিন্তু লেখাপড়া করে এখানে চাকরি করা যায় না ৷ ধর্মতলায় অবস্থান করতে হয় ৷ সেখানে সপ্তাহে একদিন পুলিশ ডাণ্ডা মারবে, আর মাসে একদিন কামড়ে দেবে ৷ এটাই আমাদের সরকার ৷ আগে বলতো, পুলিশ কুকুর ৷ এখন বলছে, পুলিশই কুকুর ৷ একটা বড় অংশের পুলিশের এখন এই অবস্থা ৷ বাংলার মানুষকে বাঁচাতে যদি হাতে হাতিয়ার তুলে নিতে হয়, তবে মানুষকে সেটাই করতে হবে ৷ আমরা প্রতিবাদ করতে জানি ৷ তবে এই অস্ত্র সাধারণ মানুষ, তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে নয় ৷ অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে ৷"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কলকাতা কর্পোরেশনের এই বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, "একদিন বলেছিল, আমার মুখ দেখে ভোট দাও ৷ বাকি আর কেউ নয় ৷ সবটাই আমি ৷ নন্দীগ্রামের মানুষ সেই মুখে চুন আর কালি লেপে দিয়েছে ৷ নন্দীগ্রাম পারলে আপনারাও পারবেন ৷ অনুব্রত মণ্ডল আগে বাজারে মাগুর মাছ কাটত, এখন নিজেই মগর মাছ হয়ে গিয়েছে ৷ এক হাজার কোটি টাকার উপর সম্পত্তি ৷ কোথা থেকে এল? মানুষকে মেরে যারা খায়, তারাই তৃণমূল ৷ "
আরও পড়ুন: 'কারও বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি, দম থাকলে সিআইডি তদন্ত করাক', তোপ দিলীপের
তিনি আরও বলেন, বাংলার মানুষের জন্য এরা শুধু 500 টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছাড়া আর কিছু রাখেনি ৷ এই 500 টাকায় বাজারে এক কিলো পাঁঠার মাংসও পাওয়া যায় না ৷ এরা মানুষকে ভিখিরি বানিয়ে দিয়েছে ৷ বলছে, সরকারের কাছে ভিক্ষা চাও ৷ কিন্তু আমরা ভিক্ষা চাইব না ৷ আমি চাকরি চাই ৷ আমি খেটে উপার্জন করতে চাই ৷ 2011 সালের আগে আমরাও অনেকে দিদির সঙ্গে ছিলাম ৷ যেদিন থেকে দিদি পিসি হয়ে গিয়েছে, আমরা আর তার সঙ্গে নেই ৷ "